মীর মশাররফ হোসেন রচিত প্রথম গ্রন্থের নাম কী?
A
রত্নবতী
B
বসন্তকুমারী
C
বিষাদ-সিন্ধু
D
জমীদার দর্পণ
উত্তরের বিবরণ
রত্নবতী
-
গ্রন্থ: ‘রত্নবতী’ মীর মশাররফ হোসেন রচিত প্রথম গ্রন্থ।
-
প্রকাশ: ১৮৬৯ সালে প্রকাশিত।
-
ধরণ: রূপকথা জাতীয় শিক্ষামূলক দীর্ঘ গল্প।
-
বিষয়বস্তু: রাজপুত্র সুকুমার ও মন্ত্রীপুত্র সুমন্তের মধ্যে ‘ধন বড় না বিদ্যা বড়’ বিতর্ক ও তার সমাধান।
-
গুরুত্ব: মুসলিম সাহিত্যিকদের মধ্যে প্রথম ঐতিহাসিকভাবে মূল্যবান গ্রন্থ।
মীর মশাররফ হোসেন
-
জন্ম: ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর, কুষ্টিয়া জেলার লাহিনীপাড়া।
-
পেশা: ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক।
-
অ্যাক্টিভিটি: ছাত্রাবস্থায় সংবাদ প্রভাকর ও গ্রামবার্তার মফঃস্বল সংবাদদাতা; ‘আজিজননেহার’ ও ‘হিতকরী’ পত্রিকা সম্পাদনা।
-
গুরুত্ব: বঙ্কিমযুগের প্রধান গদ্যশিল্পী; উনিশ শতকের বাঙালি মুসলমান সাহিত্যিকদের পথিকৃৎ।
রচিত নাটক:
-
বসন্তকুমারী
-
জমীদার দর্পণ
-
বেহুলা গীতাভিনয়
-
টালা অভিনয়
রচিত উপন্যাস:
-
বিষাদ-সিন্ধু
রচিত অন্যান্য গ্রন্থ:
-
উদাসীন পথিকের মনের কথা
-
গাজী মিয়াঁর বস্তানী
আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ:
-
আমার জীবনী
-
কুলসুম জীবনী

0
Updated: 7 hours ago
'উদাসীন পথিকের মনের কথা' কোন ধরনের সাহিত্য রচনা?
Created: 6 days ago
A
প্রহসন
B
প্রবন্ধ
C
আত্মজীবনীনির্ভর উপন্যাস
D
ভ্রমণকাহিনি
'উদাসীন পথিকের মনের কথা' গ্রন্থে মীর মশাররফ হোসেন 'উদাসীন পথিক' ছদ্মনামে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের পটভূমিতে পারিবারিক ইতিহাস ও সমসাময়িক বাস্তব ঘটনার চিত্র তুলে ধরেছেন।
-
“উদাসীন পথিকের মনের কথা” (১৮৯০) কে উপন্যাস বা আত্মজীবনীমূলক রচনা বলা যায় না; বরং এটি লেখকের আত্মজীবননির্ভর কিছু বাস্তব ও কাল্পনিক ঘটনার মিশেল, যা উপন্যাসসুলভ সাহিত্যিকভাবে উপস্থাপিত।
-
গ্রন্থে লেখকের পারিবারিক ইতিবৃত্ত বর্ণনা করা হয়েছে এবং মাতা-পিতাকে যথেষ্ঠ শ্রদ্ধার সঙ্গে চিত্রিত করা হয়েছে।
-
এতে হিন্দু-মুসলমানের মিলন-কামনার গভীর তাৎপর্যও প্রতিফলিত হয়েছে।

0
Updated: 6 days ago
উদাসী বাউলের জীবনদর্শনের প্রভাব পরিলক্ষিত হয় মীর মশাররফ হোসেনের কোন রচনায়?
Created: 1 week ago
A
উদাসীন পথিকের মনের কথা
B
বেহুলা গীতাভিনয়
C
গাজী মিয়াঁর বস্তানী
D
বসন্তকুমারী
‘গাজী মিয়াঁর বস্তানী’ আত্মজৈবনিক উপন্যাস
-
রচয়িতা: মীর মশাররফ হোসেন
-
প্রকৃতি: আত্মজৈবনিক ও উপন্যাসজাতীয় রস-রচনা।
-
প্রকাশ: প্রথম অংশ ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে। দ্বিতীয় অংশ পুস্তকাকারে প্রকাশিত হয়নি; এর অংশসমূহ তাঁর ‘আমার জীবনী’-তে মুদ্রিত।
-
ছদ্মনাম: প্রকাশক হিসেবে লেখা হয়েছে ‘উদাসীন পথিক’।
-
বিষয়বস্তু:
-
উদাসী বাউলের জীবনদর্শনের প্রভাব।
-
তৎকালীন সমাজের অন্যায়, অবিচার, দুর্নীতি, মানুষের নৈতিক অবক্ষয় ও বর্বর আচরণ।
-
উপন্যাসে প্রধান ঘটনা: দুই বিধবা মহিলা, সোনাবিবি ও মনিবিবি’র জমিদার দ্বন্দ্ব।
-
চরিত্র ও স্থান: অভিনব নামকরণ যেমন—অরাজকপুর, যমদ্বার, নচ্ছারপুর, পয়জারন্নেসা, সবলোট চৌধুরী, ভেড়াকান্ত, জয়ঢাক। ভেড়াকান্ত চরিত্রে লেখকের নিজের ছায়াপাত রয়েছে।
-
-
ব্যঙ্গরসের ব্যবহার অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
-
অক্ষয় কুমার মৈত্রেয় মন্তব্য: “গাজী মিয়াঁর বস্তানী একখানি বিচিত্র সমাজচিত্র, সুশোভিত, সুলিখিত উপন্যাস।”
মীর মশাররফ হোসেনের অন্যান্য রচনাসমূহ
-
নাটক: বসন্তকুমারী, জমীদার দর্পণ, বেহুলা গীতাভিনয়
-
উপন্যাস: বিষাদ-সিন্ধু
-
আত্মজীবনীমূলক রচনা: উদাসীন পথিকের মনের কথা, গাজী মিয়াঁর বস্তানী, আমার জীবনী, কুলসুম জীবনী

0
Updated: 1 week ago
মীর মশাররফ হোসেন সম্পর্কে কোন তথ্যটি যথার্থ নয়?
Created: 1 week ago
A
তিন খণ্ডে 'বিষাদ-সিন্ধু' রচনা করেন
B
নিজের জীবনী রচনা করেন
C
জমিদারি দেখাশোনার কাজ করেছেন
D
বিবি কুলসুম তাঁর প্রথম স্ত্রী
মীর মশাররফ হোসেন একজন বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও সমাজচিন্তক, যিনি বিষাদ-সিন্ধু উপন্যাস, আত্মজীবনীমূলক রচনা ও জমিদারি পরিচালনার কাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তাঁর জীবন ও সাহিত্যকর্ম সম্পর্কে মূল তথ্যগুলো নিম্নরূপ:
তিন খণ্ডে ‘বিষাদ-সিন্ধু’ রচনা করেছেন
-
‘বিষাদ-সিন্ধু’ (১৮৮৫–১৮৯১) ইতিহাসভিত্তিক একটি উপন্যাস।
-
হাসান ও হোসেনের সঙ্গে দামেস্ক অধিপতি মাবিয়ার একমাত্র পুত্র এজিদের কারবালা প্রান্তরের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ এবং ইমাম হাসান-হোসেনের করুণ মৃত্যু কাহিনি এতে বর্ণিত।
-
গ্রন্থে ঐতিহাসিক সত্যতা থাকলেও ইতিহাসের অন্ধ অনুসরণ করা হয়নি।
-
উপন্যাসটি তিনটি পর্বে সম্পন্ন হয়েছে: ‘মহরম পর্ব্ব’ (১৮৮৫), ‘উদ্ধার পর্ব্ব’ (১৮৮৭), ‘এজিদ-বধ পর্ব্ব’ (১৮৯১)।
-
মোট ৬৩টি অধ্যায় নিয়ে উপন্যাসটি লেখা হয়েছে, যার মধ্যে উপক্রমণিকা ও উপসংহার অন্তর্ভুক্ত।
• নিজের জীবনী রচনা করেছেন:
-
‘উদাসীন পথিকের মনের কথা’ (১৮৯০): লেখকের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক ইতিহাস, সমসাময়িক ঘটনা এবং কিছু কাল্পনিক উপাদান মিশিয়ে আত্মজীবনীমূলক উপস্থাপনা।
-
‘কুলসুম জীবনী’ (১৯১০): দ্বিতীয় স্ত্রী বিবি কুলসুমকে কেন্দ্র করে রচিত, যেখানে তার জীবন ও চরিত্রের বিস্তারিত বর্ণনা আছে।
-
‘গাজী মিয়াঁর বস্তানী’: কর্মজীবনভিত্তিক আত্মজীবনীমূলক রচনা, সমাজের অন্যায়, দুর্নীতি এবং মানুষের নৈতিক অধঃপতন নিয়ে তীব্র ব্যঙ্গাত্মক সমালোচনা। লেখক নিজেকে ‘ভেড়াকান্ত’ নামে উল্লেখ করেছেন।
• জমিদারি দেখাশোনার কাজ করেছেন:
-
মীর মশাররফ হোসেন পারিবারিক জমিদারি ও অন্যান্য প্রশাসনিক কাজে যুক্ত ছিলেন, যা তার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
• দাম্পত্য জীবন ও বিবি কুলসুম:
-
কুলসুম তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী, প্রথম স্ত্রীর নাম আজিজননেহার।
-
প্রথম বিবাহ অশান্ত ও অসুখী ছিল। বিবি কুলসুমের সঙ্গে পরিচয় ও প্রেমের ফলে ১২৮১ সালের পৌষ মাসে বিয়ে হয়।
-
দ্বিতীয় বিবাহ আত্মীয়স্বজন ও প্রথম স্ত্রী মেনে নেননি; তবে কুলসুমের আগমন মশাররফের জীবনে নতুন সুখ, অনুপ্রেরণা ও সৃজনশীলতা বয়ে এনেছিল।

0
Updated: 1 week ago