'বাঞ্ছা' শব্দের অর্থ কী?
A
বিষাদ
B
ইচ্ছা
C
উপহাস
D
কর্জ
উত্তরের বিবরণ
বাঞ্ছা (বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে):
-
অর্থ: ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা, অভিলাষ, সাধ।
অন্যান্য সম্পর্কিত শব্দ:
-
বিষাদ – দুঃখ, বিষণতা
-
উপহাস – বিদ্রুপ, ঠাট্টা, পরিহাস, কৌতুক
-
কর্জ – ঋণ, ধার, হাওলাত
0
Updated: 1 month ago
'মর্সিয়া' শব্দের অর্থ কী?
Created: 1 week ago
A
সাগর
B
গান
C
শোক
D
সাহিত্য
‘মর্সিয়া’ শব্দের অর্থ হলো শোক প্রকাশ করা বা বেদনা প্রকাশ করা। এটি মূলত আরবি শব্দ ‘মার্সিয়া’ (Marsiya) থেকে এসেছে, যার অর্থ মৃত ব্যক্তির স্মরণে লেখা শোকগাথা বা বিলাপমূলক কবিতা। বাংলা সাহিত্যে ‘মর্সিয়া সাহিত্য’ বলতে সেইসব কাব্যকে বোঝানো হয়, যেখানে কারবালার শোকগাথা বা ইমাম হোসেন (রাঃ) ও তাঁর সঙ্গীদের শাহাদাতের ঘটনা আবেগঘনভাবে বর্ণিত হয়েছে।
-
মধ্যযুগে বাংলা সাহিত্যে এই ধারার ব্যাপক বিকাশ ঘটে, বিশেষ করে মুসলমান কবিদের মধ্যে এটি জনপ্রিয় ছিল।
-
এই কাব্যে কারবালার যুদ্ধ, ইমাম হোসেন (রাঃ)-এর আত্মত্যাগ, যোদ্ধাদের সাহস ও শহীদদের বীরত্ব গভীর আবেগে প্রকাশ করা হয়েছে।
-
উল্লেখযোগ্য মর্সিয়া সাহিত্য রচয়িতাদের মধ্যে অন্যতম হলেন দৌলত উজির বহরাম খান, যিনি রচনা করেন ‘জঙ্গলনামা’।
-
আরেকজন বিশিষ্ট কবি শেখ ফয়জুল্লাহ, যিনি রচনা করেন ‘জয়নবের চৌতিশা’, যা মর্সিয়া ধারার অন্যতম শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হিসেবে বিবেচিত।
-
এই সাহিত্যধারা শুধু ধর্মীয় আবেগ নয়, বরং মানবিক বেদনা, আত্মত্যাগ ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানোর এক অনন্য প্রতিচ্ছবি বহন করে।
0
Updated: 1 week ago
‘জোড়’ ও ‘জোর’ শব্দের অর্থ যথাক্রমেঃ-
Created: 1 week ago
A
যুক্ত ও বল
B
যুগল ও শক্তি
C
যুক্ত ও যুগ্ম
D
শক্তি ও যুগল
জোড় শব্দটি দ্বারা বোঝায় যুগল বা দুইটি মিলিত বস্তু। এটি সাধারণত সংখ্যা বা যুগল অর্থে ব্যবহৃত হয়, যেমন— জোড় সংখ্যা, জোড় হাত, জোড় জুতা ইত্যাদি।
অন্যদিকে, জোর শব্দের অর্থ শক্তি, বল বা প্রভাব। এটি ক্ষমতা বা শক্তিমত্তা প্রকাশে ব্যবহৃত হয়, যেমন— জোরে ধাক্কা দেওয়া, জোরে কথা বলা, জোর করে নেওয়া ইত্যাদি।
-
জোড় = যুগল, মিলিত, একত্রিত।
-
জোর = শক্তি, বল, প্রভাব।
-
দুটি শব্দ উচ্চারণে প্রায় কাছাকাছি হলেও অর্থে সম্পূর্ণ ভিন্ন।
-
বানান ও অর্থের পার্থক্য বুঝে সঠিক প্রেক্ষিতে ব্যবহার করা উচিত।
0
Updated: 1 week ago
'অমরা' শব্দের অর্থ কী?
Created: 1 week ago
A
স্বর্গ
B
জীবন্মৃত
C
নরক
D
বনবাস
বাংলা শব্দ “অমরা” মূলত সংস্কৃত শব্দ “অমর” থেকে উদ্ভূত, যার অর্থ অমর বা চিরন্তন জীবন ধারণকারী। এই শব্দটি প্রায়শই দেবতা বা স্বর্গবাসীদের বর্ণনা করতে ব্যবহৃত হয়, যারা মৃত্যুর সীমার বাইরে থেকে চিরস্থায়ী জীবন লাভ করে। সাহিত্য, ধর্মীয় গ্রন্থ এবং উপন্যাসিক রচনায় “অমরা” শব্দটি স্বর্গ বা স্বর্গীয় জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে, যা মৃত্যুহীন বা চিরস্থায়ী আনন্দের প্রতীক।
-
“অমরা” শব্দটি চিরন্তন, অবিনশ্বর বা অমরত্ববোধক ধারণাকে প্রকাশ করে।
-
এটি সাধারণত দেবতার বসবাস বা স্বর্গীয় জীবন নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হয়, যেখানে মৃত্যু বা নষ্ট হওয়ার কোনো ভয় থাকে না।
-
অন্যান্য বিকল্প যেমন “জীবন্মৃত”, “নরক” বা “বনবাস” অর্থের দিক থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। “জীবন্মৃত” শব্দটি জীবনমানের ভিন্ন অর্থ বোঝায়, “নরক” হলো শাস্তি বা দণ্ডপ্রাপ্ত স্থল, আর “বনবাস” হলো বনভূমিতে অবস্থান, যা “অমরা”-এর সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
-
সাহিত্যে এবং ধর্মগ্রন্থে “অমরা” প্রায়শই এমন চরিত্র বা স্থান বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, যারা অমরত্ব এবং চিরস্থায়ী সুখের অধিকারী।
সুতরাং, অর্থ ও প্রয়োগের দিক থেকে “অমরা” শব্দের সঠিক অর্থ হলো স্বর্গ, যা চিরন্তন সুখ এবং মৃত্যুহীন জীবন প্রকাশ করে।
0
Updated: 1 week ago