আলাওল রচিত 'পদ্মাবতী' একটি-
A
মৌলিক কাব্য
B
অনুবাদ কাব্য
C
উপন্যাস
D
মহাকাব্য
উত্তরের বিবরণ
‘পদ্মাবতী’ কাব্য:
-
পদ্মাবতী কবি আলাওলের প্রথম ও শ্রেষ্ঠ কাব্য।
-
এটি মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের একটি জনপ্রিয় প্রণয়কাব্য।
-
কাব্যটি প্রখ্যাত হিন্দি কবি মালিক মুহাম্মদ জায়সির ‘পদুমাবৎ’ কাব্যের অনুবাদ।
-
রচনা সাল ও প্রেক্ষাপট: ১৬৫১ সালে আরাকান রাজ সাদ থদোমিন্তার রাজত্বকালে, মন্ত্রী মাগন ঠাকুরের আদেশে রচিত।
-
কাব্যের কাঠামো: দুইটি পর্ব:
১. সিংহলের রাজকন্যা পদ্মাবতীকে লাভ করার জন্য চিতোররাজ রত্নসেনের সফল অভিযান
২. পদ্মাবতীকে লাভের জন্য দিল্লির সুলতান আলাউদ্দিন খিলজির ব্যর্থ সামরিক অভিযান
আলাওল:
-
মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি।
-
পদ্মাবতী তাঁর প্রথম ও শ্রেষ্ঠ কাব্য।
আলাওলের অন্যান্য বিখ্যাত গ্রন্থ:
-
পদ্মাবতী
-
তোহফা
-
সপ্তপয়কার
-
সিকান্দারনামা
-
সয়ফুল্মুলুক বদিউজ্জামাল
-
সতীময়না
-
রগতালনামা ইত্যাদি

0
Updated: 7 hours ago
মাইকেল মধুসূদন দত্তের 'বীরাঙ্গনা কাব্য' কোন ধরনের কাব্য?
Created: 1 month ago
A
মহাকাব্য
B
সনেট
C
পত্রকাব্য
D
গীতিকাব্য
বীরাঙ্গনা কাব্য
-
‘বীরাঙ্গনা কাব্য’ হল মাইকেল মধুসূদন দত্তের লেখা একটি পত্রকাব্য (চিঠির মতো করে লেখা কবিতা)।
-
এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম পত্রকাব্য হিসেবে পরিচিত।
-
কাব্যটি প্রকাশিত হয় ১৮৬২ সালে।
-
এটি রোমান কবি ওভিড-এর ‘হেরোইডাইডস’ নামক কাব্যের অনুসরণে লেখা।
-
পুরো কাব্যে আছে মোট ১১টি পত্র।
-
এই চিঠিগুলোর মাধ্যমে পৌরাণিক নারীরা তাদের ভালোবাসা, আকাঙ্ক্ষা ও আবেগ প্রকাশ করেছে।
-
মধুসূদনের হাতে তারা যেন আধুনিক নারীর রূপে ফিরে এসেছে।
● মাইকেল মধুসূদন দত্ত
-
তিনি ছিলেন একজন মহাকবি ও নাট্যকার।
-
জন্ম: ২৫ জানুয়ারি ১৮২৪, যশোর জেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে, কপোতাক্ষ নদের তীরে।
-
বাংলা সাহিত্যে তিনিই প্রথম চালু করেন:
-
সনেট রচনার ধারা,
-
অমিত্রাক্ষর ছন্দ।
-
-
প্রথম অমিত্রাক্ষর ছন্দ ব্যবহৃত হয় তাঁর নাটক ‘পদ্মাবতী’-তে (দ্বিতীয় অঙ্ক, দ্বিতীয় গর্ভাঙ্ক)।
-
‘তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য’ হলো বাংলা সাহিত্যে প্রথম সম্পূর্ণ অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত কাব্য।
-
তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ছিল ‘দ্য ক্যাপটিভ লেডি’, যা তিনি ইংরেজিতে লেখেন।
● তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগুলো
-
তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য,
-
মেঘনাদবধ কাব্য,
-
ব্রজাঙ্গনা কাব্য,
-
বীরাঙ্গনা কাব্য (পত্রকাব্য),
-
চতুর্দশপদী কবিতাবলী।
-
এছাড়াও তিনি গদ্যে অনুবাদ করেন ‘হেক্টরবধ’।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (ড. সৌমিত্র শেখর), বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago
বাংলা সাহিত্য চতুর্দশপদী কবিতা বা সনেটের প্রবর্তক কে?
Created: 1 month ago
A
প্যারীচাঁদ মিত্র
B
মোহিতালাল মজুমদার
C
বিহারীলাল চক্রবর্তী
D
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
বাংলা সাহিত্য চতুর্দশপদী কবিতা বা সনেটের প্রবর্তক মাইকেল মধুসূদন দত্ত। চতুর্দশপদী (Sonnet) হল এক ধরনের কবিতা যার প্রথম উদ্ভব হয় মধ্যযুগে ইতালিতে। এর বৈশিষ্ট হল যে এই কবিতাগুলো ১৪টি চরণে সংগঠিত এবং প্রতিটি চরণে সাধারণভাবে মোট ১৪টি করে অক্ষর থাকবে।
এর প্রথম আট চরণের স্তবককে অষ্টক এবং পরবর্তী ছয় চরণের স্তবককে ষটক বলে। অষ্টকে মূলত ভাবের প্রবর্তনা এবং ষটকে ভাবের পরিণতি থাকে। বাংলায় চতুর্দশপদী কবিতার জনক – মাইকেল মধুসূদন দত্ত।

0
Updated: 1 month ago
মধুসূদন দত্ত রচিত 'মেঘনাদবধ কাব্য' এর উৎস গ্রন্থ কোনটি?
Created: 6 days ago
A
রামায়ণ
B
মহাভারত
C
ভাগবত
D
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ তাঁর দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ এবং বাংলা সাহিত্যের প্রথম ও শ্রেষ্ঠ মহাকাব্য হিসেবে পরিচিত। এটি রচিত হয় ১৮৬১ সালের জুন মাসে এবং মূলত সংস্কৃত মহাকাব্য ‘রামায়ণ’ এর ক্ষুদ্র অংশের ওপর ভিত্তি করে।
কাব্যটি নয়টি সর্গে বিভক্ত এবং এতে মোট তিন দিন দুই রাতের ঘটনা বর্ণিত হয়েছে।
প্রধান চরিত্রগুলো:
-
রাবণ
-
মেঘনাদ
-
লক্ষ্মণ
-
রাম
-
প্রমীলা
-
বিভীষণ
-
সীতা
-
সরমা ইত্যাদি
কাব্যের সর্গসমূহ:
-
অভিষেক
-
অস্ত্রলাভ
-
সমাগম
-
অশোক বন
-
উদ্যোগ
-
বধ
-
শক্তিনির্ভেদ
-
প্রেতপুরী
-
সংস্ক্রিয়া
মেঘনাদবধ কাব্য অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত।
উৎস:

0
Updated: 6 days ago