'মস্যাধার' এর সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ -
A
মৎস + আধার
B
মসা + আধার
C
মসি + আধার
D
মসী + আধার
উত্তরের বিবরণ
‘মস্যাধার’ এর সন্ধি-বিচ্ছেদ:
-
মস্যাধার = মসী + আধার
সূত্র (য-ফলা):
ই-কার (ই/ঈ) এবং পরবর্তী স্বর ভিন্ন হলে ই বা ঈ স্থানে য (য-ফলা) আসে। য-ফলা লেখার সময় পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনের সাথে লেখা হয়।
উদাহরণসমূহ:
-
ই + অ = য্ + অ → অতি + অন্ত = অত্যন্ত
-
ই + আ = য্ + আ → ইতি + আদি = ইত্যাদি
-
ই + উ = য্ + উ → অতি + উক্তি = অত্যুক্তি
-
ই + ঊ = য্ + ঊ → প্রতি + ঊষ = প্রত্যূষ
-
ঈ + আ = য্ + আ → মসী + আধার = মস্যাধার
-
ই + এ = য্ + এ → প্রতি + এক = প্রত্যেক
-
ঈ + অ = য্ + অ → নদী + অম্বু = নদ্যম্বু
অন্যান্য উদাহরণ:
প্রত্যহ, অত্যধিক, গত্যন্তর, প্রত্যাশা, প্রত্যাবর্তন, আদ্যন্ত, যদ্যপি, অভ্যুত্থান, অত্যাশ্চর্য, প্রত্যুপকার ইত্যাদি।
0
Updated: 1 month ago
সন্নিহিত দুটি ধ্বনির মিলনের নাম-
Created: 2 months ago
A
সমাস
B
সন্ধি
C
প্রকৃতি
D
কারক
• সন্ধি:
- সন্নিহিত দুটি ধ্বনির মিলনের নাম সন্ধি।
যেমন
- আশা + অতীত = আশাতীত।
- হিম + আলয় = হিমালয়।
• সন্ধির উদ্দেশ্য:
- সন্ধির উদ্দেশ্য স্বাভাবিক উচ্চারণে সহজপ্রবণতা এবং
- ধ্বনিগত মাধুর্য সম্পাদন। যেমন- 'আশা' ও
- 'অতীত' উচ্চারণে যে আয়াস প্রয়োজন, 'আশাতীত' তার চেয়ে অল্প আয়াসে উচ্চারিত হয়।
- সেরূপ 'হিম আলয়' বলতে যেরূপ শোনা যায়, 'হিমালয়' তার চেয়ে সহজে উচ্চারিত এবং শ্রুতিমধুর।
0
Updated: 2 months ago
সন্ধি ব্যাকরণের কোন অংশে আলোচিত হয়?
Created: 2 months ago
A
রূপতত্ত্বে
B
বাক্যতত্ত্বে
C
অর্থতত্ত্বে
D
ধ্বনিতত্ত্বে
সন্ধি ব্যাকরণের ধ্বনিতত্ত্ব অংশে আলোচিত হয়। ধ্বনির উচ্চারণ প্রণালী, উচ্চারণের স্থান, বর্ণ বিন্যাস, ধ্বনি সংযোগ বা সন্ধি, ধ্বনির পরিবর্তন ও লোপ, ণত্ব ও ষত্ব বিধান ইত্যাদি ধ্বনিতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়।
0
Updated: 2 months ago
সন্ধির প্রধান সুবিধা কী?
Created: 1 month ago
A
পড়ার সুবিধা
B
লেখার সুবিধা
C
উচ্চারণের সুবিধা
D
শোনার সুবিধা
সন্ধি:
- পাশাপাশি ধ্বনির মিলনকে সন্ধি বলে।
- অন্য কথায়, সন্নিহিত দুটি ধ্বনির মিলনকে সন্ধি বলে।
- সন্ধির প্রধান উদ্দেশ্য স্বাভাবিক উচ্চারণের সহজপ্রবণতা এবং ধ্বনিগত মাধুর্য সম্পাদন।
- সন্ধি শব্দ গঠনেরও একটি উপায়।
- তবে সন্ধির প্রধান সুবিধা হলো উচ্চারণের সুবিধা।
- তবে বাংলা ভাষায় উপসর্গ, প্রত্যয় ও সমাস প্রক্রিয়ায় শব্দ গঠনের ক্ষেত্রে সন্ধির সূত্র কাজে লাগে।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২২ সংস্করণ)।
0
Updated: 1 month ago