আমরা হিন্দু বা মুসলমান যেমন সত্য তার চেয়ে বেশি সত্য আমরা বাঙালি।’উক্তিটি কার?
A
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
B
আবু জাফর শামসুদ্দীন
C
মীর মশাররফ হোসেন
D
প্রমথ চৌধুরী
উত্তরের বিবরণ
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
-
জন্ম: ১০ জুলাই ১৮৮৫, পেয়ারা গ্রাম, চব্বিশ পরগনা, পশ্চিমবঙ্গ।
-
মৃত্যু: ১৯৬৯।
-
তিনি একজন শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও ভাষাতত্ত্ববিদ।
-
বিখ্যাত উক্তি: “আমরা হিন্দু বা মুসলমান যেমন সত্য, তার চেয়ে বেশি সত্য আমরা বাঙালি।”
অর্জন ও কর্মকাণ্ড:
-
ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ে বহু প্রবন্ধ লিখেছেন এবং বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন।
-
মুসলিম বাংলার প্রথম শিশুপত্রিকা আঙুর (১৯২০) তাঁর সম্পাদনায় আত্মপ্রকাশ করে।
-
আঞ্চলিক ভাষার অভিধান সম্পাদনা তাঁর বিশেষ কীর্তি।
-
মুহম্মদ আবদুল হাই-এর সঙ্গে যুগ্ম-সম্পাদিত Traditional Culture in East Pakistan (১৯৬১)।
-
Buddhist Mystic Songs (১৯৬০) চর্যাপদের অনুবাদ ও সম্পাদনা।
-
চর্যাপদ সম্পূর্ণ বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম প্রমাণের স্বীকৃতি তার।
প্রকাশিত ও সম্পাদিত গ্রন্থসমূহ:
-
সিন্দবাদ সওদাগরের গল্প
-
ভাষা ও সাহিত্য
-
বাঙ্গালা ব্যাকরণ
-
দীওয়ান-ই-হাফিজ
-
শিকওয়াহ ও জওয়াব-ই-শিকওয়াহ
-
রুবাইয়াত-ই-উমর খয়্যাম
-
Essays on Islam
-
আমাদের সমস্যা
-
পদ্মাবতী
-
বাংলা সাহিত্যের কথা (২ খণ্ড)
-
বিদ্যাপতি শতক
-
বাংলা আদব কী তারিখ
-
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস
-
বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত
-
কুরআন শরীফ
-
অমরকাব্য
-
সেকালের রূপকথা

0
Updated: 7 hours ago
'আঞ্চলিক ভাষার অভিধান' সম্পাদনা করেন কে?
Created: 1 day ago
A
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
B
মুহম্মদ এনামুল হক
C
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
D
সুকুমার সেন
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের একজন খ্যাতিমান বাঙালি ব্যক্তিত্ব, বহুভাষাবিদ, শিক্ষক ও দার্শনিক। তিনি ১৮৮৫ সালের ১০ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার পেয়ারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ‘জ্ঞানতাপস’ নামে পরিচিত এবং তাঁকে ‘চলিষ্ণু অভিধান’ বলেও অভিহিত করা হয়।
-
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে তাঁর বিখ্যাত উক্তি:
“আমরা হিন্দু বা মুসলমান যেমন সত্য, তার চেয়ে বেশি সত্য আমরা বাঙালি।” -
১৯৫৯ সালে তিনি ‘বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত’ রচনা করেন।
-
তিনি বাংলা একাডেমির ‘আঞ্চলিক ভাষার অভিধান’ সম্পাদনা করেন, যা প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৬৫ সালে। এটি বাংলা ভাষার প্রথম ও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ভাষার অভিধান।
তাঁর ভাষা ও সাহিত্যবিষয়ক উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ:
-
ভাষা ও সাহিত্য
-
বাঙ্গালা ব্যাকরণ
-
বাংলা সাহিত্যের কথা ইত্যাদি
উৎস:

0
Updated: 1 day ago
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ সম্পাদিত 'Buddhist Mystic Songs' গ্রন্থে চর্যাপদের কয়টি পদ সংখ্যার উল্লেখ্য রয়েছে?
Created: 6 days ago
A
সাড়ে ৪৬টি
B
৫০টি
C
৫১টি
D
৫২টি
চর্যাপদ
-
চর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যগ্রন্থ, কবিতা সংকলন বা গানের সংকলন হিসেবে পরিচিত।
-
এটি বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
-
ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজ দরবার গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন।
-
চর্যাপদে রচিত গানগুলো বৌদ্ধ সহজিয়াগণ রচনা করেছেন এবং এতে বৌদ্ধধর্মের বিষয়বস্তু আলোচিত হয়েছে।
-
১৯১৬ সালে কলকাতার বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ চর্যাপদ আধুনিক লিপিতে প্রকাশ করে। হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর সম্পাদনায় এটি ‘হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা’ নামে প্রকাশিত হয়।
চর্যাপদ বিষয়ক গবেষণা ও তথ্য:
-
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ সম্পাদিত Buddhist Mystic Songs গ্রন্থে চর্যাপদের ২৩ জন কবির নাম উল্লেখ আছে; তিনি পদসংখ্যা ৫০টি মনে করেন।
-
ড. সুকুমার সেন ‘বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস’ (প্রথম খণ্ড) গ্রন্থে ২৪ জন পদকর্তার নাম উল্লেখ করেছেন। তিনি পদসংখ্যা ৫১টি মনে করলেও, চর্যাগীতি পদাবলী গ্রন্থে ৫০টি পদের উল্লেখ করেছেন। মুনিদত্ত আলোচনায় ৫০টি পদের ব্যাখ্যা করেছেন।
-
চর্যাপদকে তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেছেন কীর্তিচন্দ্র; ১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী এই তিব্বতি অনুবাদ আবিষ্কার করেন।
-
চর্যাপদকে সংস্কৃত ভাষায় ব্যাখ্যা করেছেন মুনিদত্ত; তিনি ১১ নম্বর পদের ব্যাখ্যা করেননি।

0
Updated: 6 days ago
বাংলা একাডেমি ’আঞ্চলিক ভাষার অভিধান’- এর সম্পাদক কে?
Created: 1 month ago
A
মুহাম্মদ আবদুল হাই
B
ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
C
সৈয়দ আলী আহসান
D
ড. দীনেশচন্দ্র সেন
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
-
তিনি একজন শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও ভাষাতত্ত্ববিদ।
-
জন্ম: ১৮৮৫ সালের ১০ জুলাই, পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার পেয়ারা গ্রামে।
-
তিনি ‘জ্ঞানতাপস’ হিসেবে পরিচিত। তাঁকে ‘চলিষ্ণু অভিধান’ বলা হয়।
-
১৯৫৫-৫৮ সাল পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ও সংস্কৃত বিভাগের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন।
-
১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইমেরিটাস নিযুক্ত হন।
-
তাঁর সম্পাদনা ও প্রকাশনায় মুসলিম বাংলার প্রথম শিশুপত্রিকা আঙুর আত্মপ্রকাশ করে।
-
এছাড়া তিনি ইংরেজি মাসিক পত্রিকা দি পীস, বাংলা মাসিক সাহিত্য পত্রিকা বঙ্গভূমি এবং পাক্ষিক তকবীর সম্পাদনা করেন।
-
তিনি বাংলা একাডেমির ‘আঞ্চলিক ভাষার অভিধান’ সম্পাদনা করেন।
তাঁর রচিত অনুবাদ গ্রন্থ
-
দীওয়ানে হাফিজ
-
মহানবী (১৯৪০)
-
অমিয়শতক (১৯৪০)
-
বাণী শিকওয়াহ
-
জওয়াব-ই-শিকওয়াহ
-
রুবাইয়াত-ই-ওমর খ্যায়াম
তাঁর সংকলিত ও সম্পাদিত গ্রন্থ
-
পদ্মবতী
-
প্রাচীন ধর্মগ্রন্থে শেষ নবী
-
গল্প সংকলন
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago