কাজী নজরুল ইসলাম রচিত কাব্যগ্রন্থ নয় কোনটি?
A
প্রলয় শিখা
B
অগ্নিবীণা
C
পূজারিণী
D
চন্দ্ৰবিন্দু
উত্তরের বিবরণ
'পূজারিণী' কাজী নজরুল ইসলাম রচিত কোনো পৃথক কাব্যগ্রন্থ নয়, এটি মূলত তাঁর 'দোলন চাঁপা' কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত একটি কবিতা।
• কাজী নজরুল ইসলামের কাব্যগ্রন্থসমূহ:
-
অগ্নিবীণা
-
সঞ্চিতা
-
চিত্তনামা
-
মরুভাস্কর
-
প্রলয়শিখা
-
নির্ঝর
-
ভাঙার গান
-
সর্বহারা
-
শেষ সওগাত
-
ফণি-মনসা
-
চক্রবাক
-
সাম্যবাদী
-
ছায়ানট
-
পুবের হাওয়া
-
জিঞ্জির
-
বিষের বাঁশি
-
দোলনচাঁপা
-
চন্দ্রবিন্দু
-
সিন্ধু হিন্দোল
-
নতুন চাঁদ ইত্যাদি
0
Updated: 1 month ago
কাজী নজরুল ইসলামের 'অগ্নি-বীণা' কাব্যের প্রথম কবিতা কোনটি?
Created: 2 months ago
A
আগমনী
B
কোরবানী
C
প্রলয়োল্লাস
D
বিদ্রোহী
‘অগ্নিবীণা’ কাব্য
‘অগ্নিবীণা’ কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ। এটি তিনি বিপ্লবী শ্রী বারীন্দ্রকুমার ঘোষকে উৎসর্গ করেছিলেন। কাব্যগ্রন্থে মোট ১২টি কবিতা স্থান পেয়েছে।
কাব্যের প্রথম কবিতা হলো ‘প্রলয়োল্লাস’, এবং এই গ্রন্থের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় কবিতা ‘বিদ্রোহী’। ‘বিদ্রোহী’ কবিতার জন্যই নজরুল ইসলাম বিশেষভাবে ‘বিদ্রোহী কবি’ নামে পরিচিত।
অগ্নিবীণা কাব্যের অন্তর্ভুক্ত ১২টি কবিতা:
-
প্রলয়োল্লাস
-
বিদ্রোহী
-
রক্তাম্বর-ধারিণী মা
-
আগমণী
-
ধূমকেতু
-
কামাল পাশা
-
আনোয়ার
-
রণভেরী
-
শাত-ইল-আরব
-
খেয়াপারের তরণী
-
কোরবানী
-
মহররম
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর, ‘অগ্নিবীণা’ কাব্যগ্রন্থ, কাজী নজরুল ইসলাম।
0
Updated: 2 months ago
”নাই বা পেলাম কন্ঠে আমার তোমার কণ্ঠহার/তোমায় আমি করবো সৃজন এ মোর অহংকার”- কবি নজরুলের এ অপ্রাপ্তিপনিত বেদনা কাকে ঘিরে?
Created: 4 weeks ago
A
নার্গিস
B
প্রমীলা
C
ফজিলাতুন্নেসা
D
রানু সোম
কবি কাজী নজরুল ইসলামের জীবনে ফজিলাতুন্নেসা নামের এক মেধাবী ও সৌন্দর্যপূর্ণ নারীর প্রতি গভীর প্রেমের কাহিনি তাঁর জীবনের এক আবেগময় অধ্যায়। নজরুল তাঁর প্রতি অনুরক্ত হলেও এই ভালোবাসা পূর্ণতা পায়নি।
-
ফজিলাতুন্নেসা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুসলিম ছাত্রী এবং গণিত বিভাগে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থানাধিকারী।
-
তিনি পড়াশোনা করেন ইডেন কলেজ ও পরবর্তীতে কলকাতার বেথুন কলেজে।
-
নজরুলের ভালোবাসার প্রস্তাব তিনি বিনয়ের সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করেন, যা কবিকে গভীরভাবে আঘাত করেছিল।
-
এই প্রত্যাখ্যানের বেদনা নজরুলের চিঠি, কবিতা ও গানে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। তাঁর বন্ধু কাজী মোতাহার হোসেনকে লেখা চিঠিগুলোতে সেই মর্মবেদনার সুর স্পষ্ট।
-
এই মানসিক আঘাত থেকেই নজরুল লিখেছিলেন—
“নাইবা পেলাম আমার গলায় তোমার গলার হার,
তোমায় আমি করব সৃজন, এ মোর অহংকার।”
যা তাঁর প্রেম ও আত্মমর্যাদার এক অনন্য ঘোষণা। -
ফজিলাতুন্নেসার প্রতি এই অপ্রাপ্ত প্রেমই নজরুলের অনেক প্রেমমূলক ও বেদনামিশ্রিত কবিতা ও গানের প্রেরণাসূত্র হয়ে ওঠে।
অতএব, সঠিক উত্তর: গ) ফজিলাতুন্নেসা।
0
Updated: 4 weeks ago
"তবুও থামে না যৌবন বেগ জীবনের উল্লাসে
চলেছে চন্দ্র মঙ্গল গ্রহে স্বর্গে অসীমাকাশে।" - কে লিখেছেন?
Created: 1 month ago
A
সুকান্ত ভট্টাচার্য
B
হেলাল হাফিজ
C
কাজী নজরুল ইসলাম
D
ফররুখ আহমদ
কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা ‘জীবন-বন্দনা’-এর এই অংশে কবি জীবনের অদম্য গতি ও যৌবনের অনিঃশেষ উদ্দীপনাকে তুলে ধরেছেন। মানুষের অগ্রযাত্রা যে কখনো থামে না, বরং সে চন্দ্র, মঙ্গল, গ্রহ ও স্বর্গ পর্যন্ত ছুটে চলে—এই ভাবকেই কবি চিত্রিত করেছেন তাঁর কবিতার পংক্তিতে।
‘জীবন-বন্দনা’ কবিতা সম্পর্কিত তথ্য:
-
‘জীবন-বন্দনা’ কবিতাটি কাজী নজরুল ইসলামের ‘সন্ধ্যা’ কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত।
-
কবিতাটি মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত।
-
‘সন্ধ্যা’ কাব্যগ্রন্থটি ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়।
-
বাংলাদেশের রণসংগীত “চল চল চল, উর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল” এই কাব্যগ্রন্থ থেকেই নেওয়া হয়েছে।
‘জীবন-বন্দনা’ কবিতার ভাব:
-
কবি এখানে মানুষের শ্রম, সাহস ও সৃষ্টিশীল শক্তির বন্দনা করেছেন।
-
তিনি সেই সব মানুষকে স্মরণ করেছেন, যারা কঠিন পরিশ্রমে পৃথিবীকে ফলবান করেছে।
-
মানুষের অদম্য ইচ্ছাশক্তি ও অগ্রযাত্রাই ধরণিকে করেছে “কুসুমিতা মনোহরা”।
-
কবির ভাষায়, এই জীবনের চলা যেন উল্কার মতো—অবিরাম, অপ্রতিরোধ্য।
-
শেষে তিনি ঘোষণা করেছেন যে, যৌবনের বেগ থামে না—মানবজীবনের উল্লাস অনন্ত, যা চন্দ্র, মঙ্গল ও স্বর্গ পর্যন্ত ছুটে চলে।
কাজী নজরুল ইসলামের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থসমূহ:
-
অগ্নিবীণা
-
বিষের বাঁশি
-
ভাঙার গান
-
সাম্যবাদী
-
সর্বহারা
-
সন্ধ্যা
-
ঝিঙেফুল
-
ফণি-মনসা
-
জিঞ্জিরা
-
প্রলয়শিখা ইত্যাদি
0
Updated: 1 month ago