কোনটি নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি নয়?
A
মস্যাধার
B
অন্যান্য
C
মার্তণ্ড
D
কুলটা
উত্তরের বিবরণ
যে সন্ধি ব্যাকরণর কোনো নিয়ম মানে না বা নিয়ম অনুসারে হয় না, তাকে নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি বলে।
যেমন: কুল + অটা= কুলটা, গো + অক্ষ = গবাক্ষ, অন্য + অন্য = অন্যান্য।
0
Updated: 1 month ago
নিপাতনে সিদ্ধ 'ষ' এর ব্যবহার হয়েছে কোনটিতে?
Created: 1 week ago
A
মুমূর্ষু
B
অনুজ্ঞা
C
বর্ষণ
D
ভূষণ
বাংলা ভাষায় স্বভাবতই ‘ষ’ বা নিপাতনে সিদ্ধ 'ষ' ব্যবহৃত হয় এমন কিছু শব্দ রয়েছে, যা মূলত সংস্কৃত বা প্রাচীন উৎস থেকে এসেছে।
-
উদাহরণ হিসেবে কিছু শব্দ:
-
ষড়ঋতু
-
রোষ
-
কোষ
-
আষাঢ়
-
ভাষণ
-
ভাষা
-
ঊষা
-
পৌষ
-
কলুষ
-
পাষাণ
-
মানুষ
-
ঔষধ
-
ষড়যন্ত্র
-
ভূষণ
-
দ্বেষ
-
-
এই ধরনের শব্দগুলোতে ‘ষ’ স্বাভাবিকভাবেই বা নিপাতনে সিদ্ধ অবস্থায় ব্যবহৃত হয়।
0
Updated: 1 week ago
নিপাতনে সিদ্ধ স্বরসন্ধির দৃষ্টান্ত কোনটি?
Created: 1 month ago
A
গো + অক্ষ = গবাক্ষ
B
পৌ + অক = পাবক
C
বি + অঙ্গ = বঙ্গ
D
যতি + ইন্দ্র = যতীন্দ্র
নিপাতনে সিদ্ধ স্বরসন্ধি হলো স্বরধ্বনির সঙ্গে স্বরধ্বনির মিলনের একটি বিশেষ প্রক্রিয়া, যেখানে সবসময় স্বরসন্ধির সাধারণ নিয়ম অনুসরণ হয় না। এই ধরনের সন্ধিকে নিপাতনে সিদ্ধ স্বরসন্ধি বলা হয়। অর্থাৎ, সাধারণ স্বরসন্ধির নিয়ম অনুযায়ী ধ্বনিগত পরিবর্তন না ঘটিয়ে শব্দগুলো গঠিত হয়।
-
স্বরসন্ধি হলো স্বরধ্বনির সাথে স্বরধ্বনির মিলন।
-
নিপাতনে সিদ্ধ স্বরসন্ধিতে স্বরধ্বনির মিলনের সময় স্বরধ্বনিগত নিয়ম পরিবর্তন হয় না।
-
উদাহরণস্বরূপ:
-
কুল + অটা = কুলটা (কুলাটা নয়)
-
গো + অক্ষ = গবাক্ষ (গবক্ষ নয়)
-
প্র + ঊঢ় = প্রৌঢ় (প্রোঢ় নয়)
-
অন্য + অন্য = অন্যান্য
-
মার্ত + অণ্ড = মার্তণ্ড
-
শুদ্ধ + ওদন = শুদ্ধোদন
-
অন্যদিকে, সাধারণ স্বরসন্ধির নিয়ম অনুসারে তৈরি শব্দের উদাহরণ:
-
পৌ + অক = পাবক
-
বি + অঙ্গ = বঙ্গ
-
যতি + ইন্দ্র = যতীন্দ্র
এই উদাহরণগুলো দেখায় যে, নিপাতনে সিদ্ধ স্বরসন্ধিতে শব্দের মিলনে ধ্বনিগত নিয়ম অনুসরণ করা হয় না, আর সাধারণ স্বরসন্ধিতে সেই নিয়ম অনুসরণ করা হয়।
0
Updated: 1 month ago
কোন সন্ধিটি নিপাতনে সিদ্ধ?
Created: 1 day ago
A
পর + পর = পরস্পর
B
বাক + দান = বাগদান
C
উৎ + ছেদ = উচ্ছেদ
D
সম + সার = সংসার
পর + পর = পরস্পর নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি।
-
নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি হলো এমন ধরনের শব্দযোজন যেখানে সাধারণ ব্যাকরণগত বা ধ্বনিগত নিয়ম অনুসরণ করে ব্যাখ্যা করা যায় না, কিন্তু ভাষায় প্রচলিত ও স্বীকৃত।
-
এখানে “পর + পর” একত্রিত হয়ে “পরস্পর” হয়েছে, যা নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধির উদাহরণ।
-
অন্য শব্দ যেমন “বাগদান”, “উচ্ছেদ”, “সংসার”— এদের ক্ষেত্রে ব্যঞ্জনসন্ধি বা স্বরসন্ধির নিয়ম অনুসরণ করা হয়েছে।
-
“পরস্পর” শব্দটি ব্যবহৃত হয় পারস্পরিক সম্পর্ক বা পরস্পরের ক্রিয়া বোঝাতে, যেমন— তারা পরস্পর সাহায্য করে।
-
নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি সাধারণত প্রচলন ও স্বীকৃতির মাধ্যমে গৃহীত, ব্যাকরণগত নিয়মের সঙ্গে সরাসরি মেলানো যায় না।
-
এটি বাংলা ব্যাকরণে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ অনেক প্রচলিত শব্দ এভাবে গঠিত।
0
Updated: 1 day ago