‘ঠাকুর’ শব্দের লিঙ্গান্তর কোনটি?
A
ঠাকুরাইন
B
ঠাকুরানি
C
ঠাকুরণী
D
ঠাকুরণি
উত্তরের বিবরণ
পুংলিঙ্গ বা পুরুষবাচক শব্দকে স্ত্রীলিঙ্গ বা স্ত্রীবাচক শব্দে রূপান্তর করাকে লিঙ্গান্তর বা লিঙ্গ পরিবর্তন বলে। লিঙ্গ পরিবর্তনের কিছু সাধারণ নিয়ম আছে। যেমন: ১. পুরুষবাচক শব্দের শেষে –আ (1), —ঈ (ী), -নী, –আনি, –ইনি ইত্যাদি স্ত্রীপ্রত্যয় জুড়ে পুংলিঙ্গ শব্দকে ত্রীলিঙ্গে রূপান্তর করা যায়। যেমন: ঠাকুর – ঠাকুরানী।
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন বাক্যটি প্রয়ােগগত দিক থেকে শুদ্ধ?
Created: 1 month ago
A
আমি কারও সাতেও নেই, সতেরােতেও নেই।
B
আপনি স্বপরিবারে আমন্ত্রিত।
C
তার দু'চোখ অশ্রুতে ভেসে গেল।
D
সারা জীবন ভূতের মজুরি খেটে মরলাম ।
প্রশ্নের অপশন গ) তে থাকা বাক্য "তার দু'চোখ অশ্রুতে ভেসে গেল।" পুরোপুরি শুদ্ধ এবং প্রয়োগের দিক থেকে সঠিক। অন্যান্য অশুদ্ধ বাক্যগুলোর শুদ্ধরূপ নিম্নরূপ:
-
অশুদ্ধ: আমি কারও সাতেও নেই, সতেরােতেও নেই।
শুদ্ধ: আমি কারও সাতেও নেই, পাঁচেও নেই। -
অশুদ্ধ: আপনি স্বপরিবারে আমন্ত্রিত।
শুদ্ধ: আপনি সপরিবারে আমন্ত্রিত। -
অশুদ্ধ: সারা জীবন ভূতের মজুরি খেটে মরলাম।
শুদ্ধ: সারা জীবন ভূতের বেগার খেটে মরলাম।
0
Updated: 1 month ago
'ব্যাং' শব্দটি 'ং' দিয়ে লিখতে হবে, কারণ-
Created: 1 month ago
A
ঙ-এর হসন্ত উচ্চারণ ং হয়
B
্যা-এর পর ং হয়
C
' ং’ বাংলা ভাষার নিজস্ব বর্ণ
D
ব্যাং একটি একাক্ষর শব্দ
সঠিক উত্তর হলো ক) ঙ-এর হসন্ত উচ্চারণ ং হয়।
বাংলা ভাষায় ‘ব্যাং’ শব্দটি আসলে ‘ব্যাঙ’ থেকে উৎপন্ন। এখানে ‘ঙ’ অনুনাসিক বর্ণ হলেও যখন এটি হসন্ত অবস্থায় থাকে, তখন তার উচ্চারণ অনুস্বার ‘ং’ ধ্বনিতে রূপ নেয়। তাই শব্দের শেষে অনুনাসিক ধ্বনি প্রকাশের জন্য ‘ব্যাং’-এ ‘ং’ ব্যবহার করা হয়।
"ঙ এবং ং"-এর উচ্চারণ
-
শব্দের শেষে প্রাসঙ্গিক ক্ষেত্রে সাধারণভাবে অনুস্বার (ং) ব্যবহৃত হয়।
যেমন: গাং, ঢং, পালং, রং, রাং, সং। -
অনুস্বারের সঙ্গে স্বর যুক্ত হলে সেখানে ‘ঙ’ ব্যবহৃত হয়।
যেমন: বাঙালি, ভাঙা, রঙিন, রঙের। -
তবে কিছু বিশেষ শব্দে যেমন বাংলা ও বাংলাদেশ-এ অনুস্বার ব্যবহৃত হয়।
0
Updated: 1 month ago
দিক বা স্থান বা সময় নির্দেশের ক্ষেত্রে কোন চিহ্ন বসে?
Created: 1 month ago
A
সেমিকোলন
B
হাইফেন
C
কোলন
D
ড্যাস
হাইফেন বা সংযোগ চিহ্ন (-) সবসময় দুই বা ততোধিক শব্দের মধ্যে ব্যবহৃত হয়। বাংলা লেখায় এর ব্যবহার ভাষার অর্থ ও গঠন স্পষ্ট করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এর ব্যবহারিক দৃষ্টান্তগুলো হলো—
-
সমাসবদ্ধ পদের অংশগুলো আলাদা করে দেখানোর জন্য হাইফেন ব্যবহৃত হয়।
যেমন— হাট-বাজার, সাত-পাঁচ। -
একই শব্দ পরপর দুবার ব্যবহৃত হলে, তাদের মাঝে হাইফেন বসে।
যেমন— চলতে-চলতে কোথায় চলে যায়। যেতে-যেতে হয়রান হয়ে পড়েছি। -
দিক, স্থান বা সময় নির্দেশের ক্ষেত্রে হাইফেন ব্যবহৃত হয়।
যেমন— উত্তর-পশ্চিম কোণে মেঘ জমেছে। -
কিছু নির্দিষ্ট উপসর্গের পরে হাইফেন বসে।
যেমন— অ-তৎসম, কু-অভ্যাস, বে-আঙ্কেল।
0
Updated: 1 month ago