'জয়গুন' কোন উপন্যাসের চরিত্র?
A
জননী
B
সূর্য-দীঘল বাড়ী
C
সারেং বৌ
D
হাজার বছর ধরে
উত্তরের বিবরণ
• 'সূর্য দীঘল বাড়ী' উপন্যাস:
- আবু ইসহাক রচিত একটি সামাজিক উপন্যাস।
- ১৯৫৫সালে উপন্যাসটি প্রকাশিত হয়।
- বাংলাদেশের গ্রাম জীবনের বিশ্বস্ত দলিল এই গ্রন্থ।
- বিশ্বযুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, দেশবিভাগ প্রভৃতি পরপর চারটি বড় ঐতিহাসিক ঘটনার পটভূমিতে তিনি রচনা করেন 'সূর্য দীঘল বাড়ী'।
- জয়গুন এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র।
• উপন্যাসের অন্যান্য চরিত্র:
- হাসু,
- মায়মুন,
- শাফি,
- ডা. রমেশ চক্রবর্তী,
-মোরল গদু ইত্যাদি।
---------------------
• আবু ইসহাক:
- আবু ইসহাক কথাসাহিত্যিক, অভিধান-প্রণেতা। জন্ম শরিয়তপুর জেলার শিরঙ্গল গ্রামে, ১৯২৬ সালের ১ নভেম্বর।
- কাজী নজরুল ইসলাম সম্পাদিত নবযুগ পত্রিকায় আবু ইসহাকের ‘অভিশাপ’ নামে একটি গল্প প্রকাশিত হয়।
- পরে কলিকাতার সওগাত, আজাদ প্রভৃতি পত্রিকায় তাঁর বিভিন্ন রচনা প্রকাশিত হয়।
- আবু ইসহাকের দ্বিতীয় উপন্যাস পদ্মার পলিদ্বীপ (১৯৮৬); এ উপন্যাসে পদ্মার বুকে জেগে-ওঠা চরের শ্রমজীবী মানুষের জীবন-সংগ্রামের কথা আছে।
- ২০০৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় তাঁর মৃত্যু হয়।
• আবু ইসহাক রচিত অন্যান্য উপন্যাস:
- পদ্মার পলিদ্বীপ,
- জাল।
• গল্পগ্রন্থ:
- হারেম,
- মহাপতঙ্গ।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর এবং বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 3 months ago
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের বড়াই কি ধরনের চরিত্র?
Created: 3 months ago
A
শ্রী রাধার ননদিনী
B
শ্রী রাধার শাশুড়ি
C
রাধাকৃষ্ণের প্রেমের দূতী
D
জনৈক গোপবালা
‘বড়ায়ি’ ছিলেন রাধাকৃষ্ণ প্রেমপর্বের একজন গুরুত্বপূর্ণ দূতী চরিত্র।
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য
বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের প্রাচীনতম কাব্য হিসেবে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন বিশেষভাবে স্বীকৃত।
১৯০৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার কাকিল্যা গ্রামে শ্রী দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির গোয়ালঘরে পুথিটি আবিষ্কার করেন বিশিষ্ট পণ্ডিত বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ।
পুথিটির প্রারম্ভে কোনো শিরোনাম অনুপস্থিত থাকায়, আবিষ্কারক বসন্তরঞ্জন রায়ই একে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন নামে অভিহিত করেন। একে শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ নামেও চিহ্নিত করা হয়।
১৯১৬ সালে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ-এর উদ্যোগে এই পুথিটি প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়, বসন্তরঞ্জন রায়ের সম্পাদনায়।
চলমান পাণ্ডুলিপির প্রথম দুটি ও শেষ পৃষ্ঠা অনুপস্থিত থাকায় কবির পরিচয় নির্দিষ্টভাবে পাওয়া না গেলেও, কবিতায় পাওয়া “চণ্ডীদাস” ও “বড়ু চণ্ডীদাস” নামের ভিত্তিতে এই কাব্যের রচয়িতা হিসেবে বড়ু চণ্ডীদাস-কে গ্রহণ করা হয়েছে।
এই কাব্যটি মূলত এক গীতি-আলেখ্য যেখানে শ্রীকৃষ্ণ ও রাধার প্রেমপর্বের নানা রূপ ও পরিণতি তুলে ধরা হয়েছে।
এখানে তিনটি মুখ্য চরিত্র—শ্রীকৃষ্ণ, রাধা ও বড়ায়ি—যারা কাব্যের কাহিনি গঠনে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে।
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন মোট ১৩টি খণ্ডে বিভক্ত, যেগুলো হলো:
-
জন্ম খণ্ড
-
তাম্বুল খণ্ড
-
দান খণ্ড
-
নৌকা খণ্ড
-
ভার খণ্ড
-
ছত্র খণ্ড
-
বৃন্দাবন খণ্ড
-
কালিয়দমন খণ্ড
-
যমুনা খণ্ড
-
হার খণ্ড
-
বাণ খণ্ড
-
বংশী খণ্ড
-
বিরহ খণ্ড
এই কাব্য বাংলা সাহিত্য এবং ধর্মীয় ভক্তিমূলক চর্চার এক অমূল্য নিদর্শন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর
0
Updated: 3 months ago
শচীন, দামিনী ও শ্রীবিলাস রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন উপন্যাসের চরিত্র?
Created: 1 month ago
A
চতুরঙ্গ
B
চার অধ্যায়
C
নৌকাডুবি
D
ঘরে বাইরে
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন ১৮৬১-১৯৪১ সালে জীবিত, একজন বহুপ্রতিভাবান ব্যক্তি যিনি কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজ সংস্কারক হিসেবে পরিচিত।
তিনি মূলত কবি হিসেবেই বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত, এবং ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন। এশিয়ার মধ্যে তিনিই প্রথম এই গৌরব অর্জন করেন। রবীন্দ্রনাথ মোট বারোটি উপন্যাস রচনা করেছেন।
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপন্যাস হলো চতুরঙ্গ, যা প্রকাশিত হয় ১৯১৬ সালে।
-
এটি তাঁর সর্বশেষ উপন্যাস, যা সাধু ভাষায় লেখা।
-
চতুরঙ্গ সমালোচকদের মধ্যে বিশেষভাবে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছিল, কারণ প্রথমে এটি মাসিক পত্রিকা **‘সবুজপত্র’**ে ১৩২১ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ থেকে ফাল্গুন পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়।
-
প্রথম প্রকাশের সময় প্রতিটি অধ্যায় আলাদা আলাদা গল্প হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছিল। এই গল্পগুলোর নাম ছিল জ্যাঠামশায়, শচীশ, দামিনী, শ্রীবিলাস।
উপন্যাসের মূল চরিত্রগুলো:
-
জ্যাঠামশায়
-
শচীশ
-
দামিনী
-
শ্রীবিলাস
-
তৎকালীন ‘সবুজপত্র’ পাঠকরা ভাবতেন যে তারা আলাদা আলাদা গল্প পড়ছেন, কিন্তু পরে জানা যায় এগুলো ছিল এককভাবে চতুরঙ্গ উপন্যাসের অংশ।
-
রবীন্দ্রনাথ নিজেই উপন্যাসটির সংক্ষিপ্ত বিবরণে উল্লেখ করেছেন: “এই বইখানির নাম চতুরঙ্গ। ‘জ্যাঠামশায়’, ‘শচীশ’, ‘দামিনী’ ও ‘শ্রীবিলাস’ ইহার চারি অংশ।”
0
Updated: 1 month ago
'মনােরমা’ বঙ্কিমচন্দ্রের কোন উপন্যাসের চরিত্র?
Created: 1 month ago
A
কৃষ্ণকান্তের উইল
B
দুর্গেশনন্দিনী
C
মৃণালিনী
D
বিষবৃক্ষ
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৮-১৮৯৪) ছিলেন বাংলা সাহিত্যের একজন প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক, যিনি বর্তমান উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার নৈহাটি শহরের নিকটস্থ কাঁঠালপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
তাঁকে বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ঔপন্যাসিক এবং বাংলা উপন্যাসের জনক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া তিনি 'বাংলার স্কট' এবং 'সাহিত্য সম্রাট' নামেও পরিচিত।
-
উল্লেখযোগ্য উপন্যাস: মৃণালিনী
-
প্রকাশিত: ১৮৬৯
-
পটভূমি: ত্রয়োদশ শতাব্দীর বাংলাদেশ এবং তুর্কি আক্রমণ
-
কাহিনী: মগধের রাজপুত্র হেমচন্দ্রের সঙ্গে মৃণালিনীর প্রণয় এবং দেশের জন্য হেমচন্দ্রের সংকল্প ও ব্যর্থতা
-
রহস্যময়ী চরিত্র: মনোরমা, যার কাহিনী হেমচন্দ্র-মৃণালিনী গল্পের সঙ্গে যুক্ত
-
বৈশিষ্ট্য: ঐতিহাসিক ঘটনার প্রেক্ষাপটে হেমচন্দ্র-মৃণালিনী এবং পশুপতি-মনোরমার প্রেমকাহিনী প্রধান কেন্দ্রীয় বিষয়
-
0
Updated: 1 month ago