প্রকৃত বাংলা ব্যঞ্জনসন্ধি কোন নিয়মে হয়ে থাকে?
A
সমীভবন
B
বিষমীভবন
C
অপিনিহিতি
D
অসমীকরণ
উত্তরের বিবরণ
শব্দের মধ্যে পাশাপাশি অবস্থিত দুটি পৃথক ব্যঞ্জনধ্বনি যখন একে অপরের প্রভাবে বা উভয় উভয়ের প্রভাবে পরিবর্তিত হয়ে দুটি একই ব্যঞ্জনে পরিণত হয় অথবা উচ্চারণগত সমতা লাভ করে, তবে সেই ধ্বনি পরিবর্তন প্রক্রিয়াকে বলে সমীভবন।

0
Updated: 8 hours ago
উচ্চারণস্থান অনুসারে 'ল' কোন ধরনের ব্যঞ্জন?
Created: 2 days ago
A
তালব্য ব্যঞ্জন
B
মূর্ধন্য ব্যঞ্জন
C
দন্তমূলীয় ব্যঞ্জন
D
দন্ত্য ব্যঞ্জন
দন্তমূলীয় ব্যঞ্জন হলো সেই সমস্ত ব্যঞ্জনধ্বনি যেগুলি উচ্চারণের সময় জিভের ডগা উপরের পাটির দাঁতের গোড়ার সঙ্গে লেগে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি করে। উদাহরণস্বরূপ: ন, র, ল, স—যেমন শব্দ: নানা, রাত, লাল, সালাম।
অন্য ব্যঞ্জনধ্বনির শ্রেণি:
-
তালব্য ব্যঞ্জন: চ, ছ, জ, ঝ, শ
-
মূর্ধন্য ব্যঞ্জন: ট, ঠ, ড, ঢ, ড়, ঢ়
-
দন্ত্য ব্যঞ্জন: ত, থ, দ, ধ

0
Updated: 2 days ago
’দিগন্ত’ কোন নিয়মে ব্যঞ্জনসন্ধি?
Created: 2 weeks ago
A
ব্যঞ্জন + স্বর
B
স্বর + স্বর
C
স্বর + স্বর
D
ব্যঞ্জন + ব্যঞ্জন
’দিগন্ত’ শব্দটি (ব্যঞ্জন + স্বর) নিয়মে গঠিত।
যেমন-
- ক/চ/ট/ত/প + স্বর = গ/জ/ড (ড়)/দ/ব।
- যেমন
- দিক্ + অন্ত = দিগন্ত,
- সৎ + উপায় = সদুপায়
- স্বরধ্বনিগুলো ঘোষবৎ হয়। এখানে ঘোষবৎ স্বরধ্বনির প্রভাবে পূর্ববর্তী অঘোষ ধ্বনি (ক, চ, ট, ত, প) পরিবর্তিত হয়ে ঘোষধ্বনিতে (গ, জ, ড, দ, ব) পরিণত হয়।
উল্লেখ্য,
- ব্যঞ্জনসন্ধি
- স্বরে-ব্যঞ্জনে, ব্যঞ্জনে-স্বরে ও ব্যঞ্জনে-ব্যঞ্জনে যে সন্ধি হয়, তাকে ব্যঞ্জনসন্ধি বলে।
• পরি+ছেদ = পরিচ্ছেদ (স্বর + ব্যঞ্জন) ।
• চলৎ+চিত্র = চলচ্চিত্র (ব্যঞ্জন + ব্যঞ্জন) ।

0
Updated: 2 weeks ago
'মৃন্ময়' শব্দের শুদ্ধ সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
মৃদ + ময় = মৃন্ময়
B
মৃন + ময় = মৃন্ময়
C
মৃত + ময় = মৃন্ময়
D
মৃৎ + ময় = মৃন্ময়
• ব্যঞ্জন সন্ধির নিয়ম:
আগে ৎ বা দ্ এবং পরে ন/ম্ থাকলে ৎ বা দ্ স্থানে ন্ হয়, এবং পরের ন-এর সঙ্গে মিলে ন্ন কিংবা ম-এর সঙ্গে মিলে ন্ম হয়। কিন্তু, ৎ/দ্-এর পর ল্ থাকলে ৎ/দ্ সন্ধিতে ল্ হয় এবং ল্ পরের ল-এর সঙ্গে মিলে ল্ল হয়।
যেমন:
- উৎ + নতি = উন্নতি,
- তদ্ + নিমিত্ত = তন্নিমিত্ত,
- মৃৎ + ময় = মৃন্ময়,
- তদ্ + মধ্যে = তন্মধ্যে,
- উৎ + লিখিত = উল্লিখিত।
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ।

0
Updated: 2 weeks ago