আধুনিক বাংলা গানের জগতে 'বুলবুল' নামে খ্যাত ছিলেন কে?
A
বিহারীলাল চক্রবর্তী
B
কাজী নজরুল ইসলাম
C
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
D
শহীদ কাদরী
উত্তরের বিবরণ
কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন একজন কবি, সাহিত্যিক ও সমাজসেবক, যিনি বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি হিসেবে খ্যাত। তিনি ২৪ মে ১৮৯৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং তাঁর ডাক নাম ছিল ‘দুখু মিয়া’। নজরুল বাংলা আধুনিক গানের জগতে ‘বুলবুল’ নামে সুপরিচিত। তাঁর কবি ও শিল্পী জীবনের সূচনা লেটোদল থেকে। সাহিত্যকর্ম এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি অবিভক্ত বাংলায় পরাধীনতা, সাম্প্রদায়িকতা, সাম্রাজ্যবাদ, উপনিবেশবাদ, মৌলবাদ এবং দেশি-বিদেশি শোষণের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন। বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে তিনি স্বীকৃত। ২৯ আগস্ট ১৯৭৬ তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
কাজী নজরুল ইসলামের কাব্যগ্রন্থসমূহ:
-
অগ্নিবীণা
-
বিষের বাঁশি
-
ছায়ানট
-
প্রলয়শিখা
-
চক্রবাক
-
সিন্ধুহিন্দোল
তাঁর উপন্যাসসমূহ:
-
বাধন-হারা
-
মৃত্যুক্ষুধা
-
কুহেলিকা
উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধগ্রন্থসমূহ:
-
যুগবাণী
-
দুর্দিনের যাত্রী
-
রাজবন্দীর জবানবন্দী
0
Updated: 1 month ago
কাজী নজরুল ইসলামের উপন্যাস কোনটি?
Created: 2 months ago
A
পদ্মগোখরা
B
ঝিলিমিলি
C
মধুমালা
D
বাঁধন-হারা
কাজী নজরুল ইসলাম রচিত সাহিত্যকর্ম
উপন্যাস:
-
বাঁধন-হারা
-
কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম উপন্যাস
-
বাংলা সাহিত্যের প্রথম পত্রোপন্যাস, এতে ১৮টি পত্র রয়েছে
-
করাচীতে অবস্থানকালে রচনা শুরু
-
‘মোসলেম ভারত’ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত
-
নায়ক: নুরুল হুদা
-
অন্যান্য চরিত্র: রবিউল, রাবেয়া, সােফিয়া, মাহবুবা প্রমুখ
-
-
মৃত্যক্ষুধা
-
কুহেলিকা
গল্প:
-
পদ্মগোখরা
নাটক (সংকলন):
-
ঝিলিমিলি
-
মধুমালা
উৎস:
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
-
বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago
কাজী নজরুল ইসলামের জন্মস্থান-
Created: 3 weeks ago
A
কুমিল্লা
B
ত্রিশাল
C
বর্ধমান
D
চট্টগ্রাম
কাজী নজরুল ইসলামের জন্মস্থান বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামটি তাঁর জীবন ও সাহিত্যচর্চার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে ইতিহাসে স্থান পেয়েছে।
-
চুরুলিয়া গ্রাম: এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমায় অবস্থিত। ১৮৯৯ সালের ২৪ মে (১১ জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬ বঙ্গাব্দ) তিনি এখানে জন্মগ্রহণ করেন।
-
পারিবারিক পটভূমি: তাঁর পিতা কাজী ফকির আহমদ ছিলেন স্থানীয় মসজিদের ইমাম ও মক্তবের শিক্ষক, আর মা জাহেদা খাতুন ছিলেন একজন ধর্মপ্রাণ গৃহিণী। পরিবারটি ছিল দরিদ্র, কিন্তু ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক পরিবেশে বেড়ে ওঠায় নজরুলের মানস গঠনে তা গভীর প্রভাব ফেলে।
-
শৈশব শিক্ষা: বর্ধমানের চুরুলিয়াতেই তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয়। পরবর্তীতে তিনি লেটো দলে যোগ দেন, যেখানে গান, কবিতা ও নাটকের মাধ্যমে তাঁর সাহিত্য প্রতিভার বিকাশ ঘটে।
-
বাংলা সাহিত্যে অবদান: চুরুলিয়া গ্রামের পটভূমিতেই তাঁর মানবতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি, ধর্মীয় সহিষ্ণুতা ও সামাজিক বিদ্রোহের চেতনা গড়ে ওঠে, যা পরবর্তীতে তাঁর রচনাসমগ্রে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়।
-
চুরুলিয়ার ঐতিহাসিক গুরুত্ব: আজও চুরুলিয়া গ্রামটি নজরুলপ্রেমীদের কাছে তীর্থস্থানস্বরূপ। এখানে প্রতিষ্ঠিত কাজী নজরুল ইসলাম স্মৃতি কেন্দ্র তাঁর জীবনের স্মৃতিকে ধরে রেখেছে।
-
মৃত্যুর পর সম্পর্ক: যদিও নজরুল জীবনের শেষ সময়ে বাংলাদেশে এসে নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন এবং মৃত্যুর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সমাধিস্থ হন, তবুও তাঁর জন্মভূমি বর্ধমানের চুরুলিয়া আজও তাঁর শিকড়ের প্রতীক হয়ে আছে।
অতএব, কাজী নজরুল ইসলামের জন্মস্থান বর্ধমান—এই উত্তরটি সঠিক, কারণ এখান থেকেই তাঁর জীবন, সাহিত্য ও বিপ্লবী মননের সূচনা হয়েছিল।
0
Updated: 3 weeks ago
কাজী নজরুল ইসলাম কত সালে 'একুশে পদক' লাভ করেন?
Created: 1 month ago
A
১৯৭২ সালে
B
১৯৭৩ সালে
C
১৯৭৪ সালে
D
১৯৭৬ সালে
বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্যে বিপ্লবী চেতনা ও মানবিক মূল্যবোধের প্রতীক। তিনি ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে ১৮৯৯) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
কাজী নজরুল ইসলামের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো হলো:
-
তিনি মোট ১৩ বার ঢাকায় আসেন।
-
প্রথমবার ঢাকায় আসেন ১৯২৬ সালে, এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ বার উপস্থিত হন।
-
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর, ১৯৭২ সালের ২৪ মে কবি এবং তার পরিবারকে ভারত থেকে ঢাকায় আনা হয়।
-
১৯৭৪ সালের ৯ মে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ সমাবর্তনের মাধ্যমে তাকে ‘ডি. লিট’ উপাধি প্রদান করে।
-
১৯৭৬ সালের জানুয়ারি মাসে তাকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়, এবং ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি একুশে পদক লাভ করেন।
-
তিনি ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট (১২ ভাদ্র ১৩৮৩ বঙ্গাব্দ) ঢাকার পিজি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
-
কবিকে সমাহিত করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশে।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago