’অগ্নিবীণা’ কাব্যগ্রন্থ কত সালে প্রকাশিত হয়?
A
১৯২১ সালে
B
১৯১৯ সালে
C
১৯২৩ সালে
D
১৯২২ সালে
উত্তরের বিবরণ
কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত প্রধান কবিতাগুলো হলো প্রলয়োল্লাস, বিদ্রোহী, রক্তাম্বর, ধারিণী মা, আগমণী, ধূমকেতু, কামাল পাশা, আনোয়ার, রণভেরী, শাত-ইল-আরব, খেয়াপারের তরণী, কোরবানী এবং মোহররম।
কাজী নজরুল ইসলামের অন্যান্য কাব্যগ্রন্থসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
-
অগ্নি-বীণা
-
সঞ্চিতা
-
চিত্তনামা
-
মরুভাস্কর
-
সর্বহারা
-
ফণি-মনসা
-
চক্রবাক
-
সাম্যবাদী
-
ছায়ানট
-
নতুন চাঁদ

0
Updated: 8 hours ago
'দেখবার ইচ্ছা' এর এক কথায় প্রকাশ কী?
Created: 3 weeks ago
A
লিপ্সা
B
বুভুক্ষা
C
বিবক্ষা
D
দিদৃক্ষা
এক কথায় ইচ্ছার প্রকাশ
-
দেখবার ইচ্ছা: দিদৃক্ষা
-
বলবার ইচ্ছা: বিবক্ষা
-
ভোজন করার ইচ্ছা: বুভুক্ষা
-
লাভ করার ইচ্ছা: লিপ্সা
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা; ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ

0
Updated: 3 weeks ago
'দেশের যত নদীর ধারা জল না, ওরা অশ্রুধারা' - এই উক্তিটি নিচের কোন পারিভাষিক অলংকার দ্বারা শোভিত?
Created: 1 week ago
A
অপহৃতি
B
যমক
C
অর্থোন্নতি
D
অভিযোজন
অপহৃতি অলঙ্কার এমন এক বিশেষ রূপ, যেখানে প্রকৃত অর্থাৎ উপমেয়কে নিষেধ বা আড়াল করে অপ্রকৃত অর্থাৎ উপমানকে প্রতিষ্ঠা করা হয়। সাধারণত এটি দুইভাবে প্রকাশিত হয়।
-
প্রথমত না, নহে, নয় প্রভৃতি না-সূচক অব্যয় ব্যবহারের মাধ্যমে।
-
দ্বিতীয়ত ব্যাজ, ছল, ছলনা, ছদ্ম প্রভৃতি সত্য গোপনকারী শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে।
প্রথম ক্ষেত্রে উপমান ও উপমেয় আলাদা বাক্যে থাকে, আর দ্বিতীয় ক্ষেত্রে তারা একই বাক্যে অবস্থান করে।
উদাহরণ:
-
“মেয়ে ত নয়, হলদে পাখির ছা,” – জসীম উদ্দীন
এখানে উপমেয় ‘মেয়ে’, উপমান ‘ছা’। ‘নয়’ অব্যয় ব্যবহার করে উপমেয়কে অস্বীকার করে উপমানকে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তাই এটি অপহৃতি অলঙ্কার। -
“তারাই আজি নিঃস্ব দেশে, কাঁদছে হয়ে অন্ন হারা;
দেশের যত নদীর ধারা জল না, ওরা অশ্রু ধারা।” – কাজী নজরুল ইসলাম
এখানে উপমেয় ‘জল’, উপমান ‘অশ্রু’। কবি ‘না’ সূচক অব্যয় ব্যবহার করে উপমেয়কে অস্বীকার করে উপমানকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ফলে এটি অপহৃতি অলঙ্কার। -
“নীর বিন্দু যত
দেখিতে কুসুম-দলে, হে সুধাংশু নিধি,
অভাগীর অশ্রু বিন্দু কহিনু তােমারে।” – মাইকেল মধুসূদন দত্ত
এখানে উপমেয় ‘নীর বিন্দু’, উপমান ‘অশ্রু বিন্দু’। যদিও সরাসরি ‘না’ অব্যয় নেই, তবে ব্যঞ্জনায় অস্বীকার স্পষ্ট। তাই এটিও অপহৃতি অলঙ্কার। -
“নারী নহ, কাব্য তুমি, তােমা ’পরে কবির প্রসাদ।” – বুদ্ধদেব বসু
এখানে উপমেয় ‘নারী’, উপমান ‘কাব্য’। ‘নহ’ অব্যয় দ্বারা উপমেয়কে অস্বীকার করে উপমানকে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তাই এটি অপহৃতি অলঙ্কার।

0
Updated: 1 week ago
'কৈ' শব্দেটি কোন দ্বিস্বরধ্বনি যোগে গঠিত?
Created: 3 weeks ago
A
ওই্
B
অঐ
C
এই্
D
উই্
দ্বিস্বরধ্বনি
-
সংজ্ঞা:
যখন পূর্ণ স্বরধ্বনি ও অর্ধস্বরধ্বনি একত্রে উচ্চারিত হয়, তখন তাকে দ্বিস্বরধ্বনি বলা হয়। -
উদাহরণ – কৈ:
-
‘কৈ’ শব্দে [ও] পূর্ণ স্বরধ্বনি এবং [ই্] অর্ধস্বরধ্বনি একত্রে উচ্চারিত হয়ে [ওই্] তৈরি হয়েছে।
-
-
দ্বিস্বরধ্বনির আরও উদাহরণ:
দ্বিস্বরধ্বনি | উদাহরণ |
---|---|
[আই্] | তাই, নাই |
[এই্] | সেই, নেই |
[আও্] | যাও, দাও |
[আএ্] | খায়, যায় |
[উই্] | দুই, রুই |
[অএ্] | নয়, হয় |
[ওউ্] | মৌ, বউ |
[ওই্] | কৈ, দই |
[এউ্] | কেউ, ঘেউ |
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম–দশম শ্রেণি (২০২১ সংস্করণ)

0
Updated: 3 weeks ago