’চিত্তনামা’ কী ধরনের রচনা?
A
প্রবন্ধ
B
কাব্য
C
নাটক
D
গল্প
উত্তরের বিবরণ
'চিত্তনামা' কাব্যগ্রন্থটি ১৯২৫ সালে প্রকাশিত হয়, যা কাজী নজরুল ইসলামের সমকালীন প্রেক্ষাপটে রচিত। ১৩৩২ বঙ্গাব্দের ২ আষাঢ়ে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ দার্জিলিংয়ে মৃত্যুবরণ করলে কবি শোকাহত হয়ে সমকালীন পত্রিকায় কবিতা রচনা করেন এবং সেই কবিতাগুলো সংগ্রহ করে 'চিত্তনামা' প্রকাশিত হয়।
-
কাব্যগ্রন্থের প্রকাশ: ১৯২৫
-
প্রেক্ষাপট: চিত্তরঞ্জন দাশের মৃত্যু ও তার প্রভাব
-
কাজী নজরুল ইসলামের অন্যান্য কাব্যগ্রন্থসমূহ:
-
অগ্নি-বীণা
-
সঞ্চিতা
-
চিত্তনামা
-
মরুভাস্কর
-
সর্বহারা
-
ফণি-মনসা
-
চক্রবাক
-
সাম্যবাদী
-
ছায়ানট
-
নতুন চাঁদ
-
পুবের হাওয়া
-
জিঞ্জির
-
বিষের বাঁশি
-
দোলনচাঁপা
-
চন্দ্রবিন্দু
-
সিন্ধু হিন্দোল
-
ভাঙার গান
-
সন্ধ্যা
-
0
Updated: 1 month ago
’গোরক্ষবিজয়’ কাব্যগ্রন্থের লেখক কে?
Created: 2 months ago
A
সৈয়দ হামজা
B
গোঁজলা গুই
C
আলাওল
D
শেখ ফয়জুল্লাহ
শেখ ফয়জুল্লাহ
-
মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের কবি (১৬শ শতক)
-
জন্মস্থান: বিভিন্ন মতানুসারে পশ্চিমবঙ্গের বারাসত, দক্ষিণ রাঢ় বা কুমিল্লা
-
প্রধান কাব্যগ্রন্থ:
-
সত্যপীরবিজয়
-
গোরক্ষবিজয়
-
গাজীবিজয়
-
-
অন্যান্য রচনা: জয়নবের চৌতিশা, সুলতান জমজমা, রাগমালা, পদাবলী
0
Updated: 2 months ago
'আমীর হামজা' কাব্য রচনা করেন কে?
Created: 5 months ago
A
আলাওল
B
ফকির গরীবুল্লাহ
C
সৈয়দ হামজা
D
রেজাউদ্দৌলা
ফকির গরীবুল্লাহ
পুঁথি সাহিত্যের প্রথম সফল ও জনপ্রিয় কবি ছিলেন।
-
হুগলি জেলার বালিয়া পরগনার হাফিজপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন তিনি।
-
তার নামে মোট পাঁচটি কাব্যের সন্ধান মেলে।
সেই কাব্যগুলো হলো:
-
ইউসুফ জোলেখা
-
আমীর হামজা (প্রথম অংশ)
-
জঙ্গনামা
-
সোনাভান
-
সত্যপীরের পুঁথি
তবে এসব কাব্য মূলত বটতলার পুঁথি প্রকাশকদের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তির নামে ছাপা হয়েছে।
উৎস: বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 5 months ago
কাজী নজরুল ইসলাম রচিত 'বিদ্রোহী' কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?
Created: 2 weeks ago
A
সিন্ধু হিন্দোল
B
অগ্নিবীণা
C
ভাঙার গান
D
বিষের বাঁশি
কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর কবিতা ‘বিদ্রোহী’-এর মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে এক অনন্য বিপ্লবের সূচনা করেন। এই কবিতাটি তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘অগ্নিবীণা’-তে অন্তর্ভুক্ত, যা প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই পাঠক সমাজে আলোড়ন তোলে। নিচে এই কবিতা ও কাব্যগ্রন্থ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া হলো।
• ‘অগ্নিবীণা’ প্রকাশিত হয় ১৯২২ সালে। এটি কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম কাব্যগ্রন্থ, যার মাধ্যমে তিনি বাংলা সাহিত্যে নিজের অবস্থান শক্ত করে তোলেন। এই গ্রন্থেই প্রকাশ পায় তাঁর বিদ্রোহী, মানবতাবাদী ও স্বাধীনতাকামী মনোভাব।
• ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২১ সালের জানুয়ারিতে। কবিতাটি প্রথম ‘বিজলী’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। প্রকাশের পরই এটি বাংলার সাহিত্য ও সমাজে বিপুল আলোড়ন সৃষ্টি করে, কারণ এতে প্রকাশ পেয়েছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে এক অগ্নিমূর্তির মতো প্রতিবাদ।
• কবিতার মূল ভাব হচ্ছে বিদ্রোহ ও মুক্তির আহ্বান। নজরুল এখানে নিজেকে রূপান্তরিত করেছেন বিশ্বমানবের প্রতীক হিসেবে—যিনি অত্যাচার, অন্যায় ও দাসত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন।
• ‘অগ্নিবীণা’ গ্রন্থের অন্যান্য বিখ্যাত কবিতা হলো—‘প্রলয়োল্লাস’, ‘রক্তাম্বর ধরণী মা’, ‘রণভেরী’, ‘দারিদ্র্য’, ‘শাত-ইল-আরব’ প্রভৃতি। সবগুলো কবিতাতেই আগুন, শক্তি, প্রতিবাদ ও মানবতার বার্তা ধ্বনিত হয়েছে।
• ‘বিদ্রোহী’ কবিতায় ব্যবহৃত প্রতীক ও অলংকার নজরুলের অসাধারণ কাব্যশক্তির প্রমাণ বহন করে। দেব-দেবী, ইতিহাস, পুরাণ, প্রকৃতি—সবকিছুর সঙ্গে তিনি বিদ্রোহী মানসিকতার মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন।
• নজরুলের এই কবিতার প্রভাব ছিল রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উভয় ক্ষেত্রেই। এটি শুধু সাহিত্য নয়, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনেও অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে ওঠে। তরুণ প্রজন্ম এই কবিতাকে স্বাধীনতার সংগ্রামের প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করে।
• ‘অগ্নিবীণা’ নামের প্রতীক অর্থও গভীর। ‘অগ্নি’ মানে আগুন—ধ্বংস ও সৃষ্টির প্রতীক; আর ‘বীণা’ সংগীত ও সৌন্দর্যের প্রতীক। দুইয়ের মিলনে নজরুল প্রকাশ করেছেন ধ্বংসের মধ্য দিয়েই নতুন সৃষ্টির তত্ত্ব।
• এই কাব্যগ্রন্থ নজরুলকে ‘বিদ্রোহী কবি’ উপাধি এনে দেয়। তাঁর কবিতার ভেতর দিয়ে প্রকাশ পায় সমাজের শোষিত ও নিপীড়িত মানুষের কণ্ঠস্বর।
• অন্য বিকল্পগুলোর সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
– ‘সিন্ধু হিন্দোল’ (১৯২৭): এই কাব্যগ্রন্থে প্রেম, প্রকৃতি ও সৃষ্টির ভাব প্রাধান্য পেয়েছে।
– ‘ভাঙার গান’ (১৯২৪): এখানে সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আহ্বান শোনা যায়।
– ‘বিষের বাঁশি’ (১৯২৪): রাজনৈতিক প্রতিবাদের তীব্র সুর এই গ্রন্থে প্রকাশিত হয়েছে।
সুতরাং, ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি ‘অগ্নিবীণা’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত, যা কাজী নজরুল ইসলামকে চিরকালীন বিদ্রোহী কবি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
0
Updated: 2 weeks ago