'তেল-নুন-লাকড়ি' প্রবন্ধটি কার লেখা?
A
সুকান্ত ভট্টাচার্য
B
জহির রায়হান
C
প্রমথ চৌধুরী
D
হুমায়ুন আজাদ
উত্তরের বিবরণ
“তেল-নুন-লাকড়ি” প্রবন্ধটি প্রমথ চৌধুরীর লেখা, যিনি বাংলা গদ্যে চলিত রীতির প্রবর্তক এবং বিদ্রূপাত্মক প্রাবন্ধিক হিসেবে খ্যাত।
-
প্রমথ চৌধুরী:
-
জন্ম: ১৮৬৮ সালের ৭ আগস্ট, যশোর।
-
বাংলা ভাষার সাধু ও চলিত রূপের তুলনামূলক গবেষক।
-
সাহিত্যিক ছদ্মনাম: বীরবল।
-
প্রথমবার গদ্য/প্রবন্ধে চলিত রীতি প্রয়োগ করেন।
-
বাংলা কাব্য সাহিত্যে ইতালীয় সনেটের প্রবর্তক।
-
মাসিক ‘সবুজপত্র’ (১৯১৪) পত্রিকার সম্পাদক।
-
মৃত্যু: ১৯৪৬, শান্তিনিকেতন।
-
-
কাব্যগ্রন্থ:
-
সনেট পঞ্চাশৎ
-
পদচারণ
-
-
গল্পগ্রন্থ:
-
চার-ইয়ারি কথা
-
নীললোহিত ও গল্পসংগ্রহ
-
আহুতি
-
-
প্রবন্ধগ্রন্থ:
-
তেল-নুন-লাকড়ি
-
বীরবলের হালখাতা
-
নানাকথা
-
নানা চর্চা
-
রায়তের কথা
-
প্রবন্ধ সংগ্রহ
-
0
Updated: 1 month ago
'অ্যা গ্রামার অফ দ্যা বেঙ্গল ল্যাঙ্গুয়েজ' গ্রন্থটি কত প্রকাশিত হয়?
Created: 1 month ago
A
১৭৮০ সাল
B
১৭২০ সাল
C
১৭৭৮ সাল
D
১৭৬৯ সাল
বাংলা ভাষার ব্যাকরণচর্চার ইতিহাসে ন্যাথানিয়েল ব্র্যাসি হ্যালহেড-এর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তাঁর রচিত ‘A Grammar of the Bengal Language’ গ্রন্থটি ছিল প্রথম পূর্ণাঙ্গ ও প্রামাণ্য বাংলা ব্যাকরণ, যা বাংলা ভাষাকে গবেষণার ক্ষেত্র হিসেবে বিশ্বে পরিচিত করে তোলে।
মূল তথ্যসমূহ:
-
ন্যাথানিয়েল ব্র্যাসি হ্যালহেড রচিত ‘A Grammar of the Bengal Language’ গ্রন্থটি ১৭৭৮ সালে হুগলি থেকে প্রকাশিত হয়।
-
এটি ছিল ইংরেজি ভাষায় রচিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাংলা ব্যাকরণগ্রন্থ।
-
তিনি বাংলা ভাষাকে বিশ্লেষণমূলকভাবে উপস্থাপন করেন এবং ব্যাকরণে বাংলা উদাহরণ ও বাংলা লিপি ব্যবহার করেন—যা পূর্বে কেউ করেননি।
-
এর আগে পর্তুগিজ ধর্মযাজকরা রোমান অক্ষরে সীমিত আকারে বাংলা ব্যাকরণ ও অভিধান রচনার চেষ্টা করেছিলেন, তবে তা ছিল অনিয়মিত ও অসম্পূর্ণ।
-
হ্যালহেডই প্রথম নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বাংলা ব্যাকরণ রচনা করেন, যা পরবর্তী বাংলা ভাষাবিদদের জন্য ভিত্তি স্থাপন করে।
হ্যালহেড সম্পর্কে অতিরিক্ত তথ্য:
-
তিনি ১৭৫১ সালের ২৫ মে লন্ডনের এক উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
-
পেশাগতভাবে তিনি ছিলেন একজন প্রাচ্যবিদ ও বৈয়াকরণিক।
0
Updated: 1 month ago
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ব্যবহৃত ছদ্মনাম—
Created: 1 month ago
A
কালকূট
B
সুনন্দ
C
জাবালি
D
চিত্রগুপ্ত
• নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ব্যবহৃত ছদ্মনাম — সুনন্দ।
অন্যদিকে,
- সমরেশ বসুর ছদ্মনাম- কালকূট ও ভ্রমর।
- বিমল মিত্রের ছদ্মনাম- জাবালি।
- সতীনাথ ভাদুড়ীর ছদ্মনাম- চিত্রগুপ্ত।
0
Updated: 1 month ago
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী কত সালে নেপালের রাজগ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন?
Created: 2 months ago
A
১৯১৭ সালে
B
১৯০৭ সালে
C
১৯১৬ সালে
D
১৯০৫ সালে
চর্যাপদ
-
বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগের একমাত্র নির্ভরযোগ্য ঐতিহাসিক নিদর্শন।
-
১৮৮২ সালে Sanskrit Buddhist Literature in Nepal গ্রন্থে রাজা রাজেন্দ্রলাল মিত্র নেপালের বৌদ্ধতান্ত্রিক সাহিত্যের কথা প্রথম প্রকাশ করেন।
-
মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজগ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদের কতকগুলো পদ আবিষ্কার করেন।
-
তাঁর সম্পাদনায় বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ ১৯১৬ সালে (১৩২৩ বঙ্গাব্দ) চারটি পুঁথি একত্রে ‘হাজার বছরের পুরাণ বাংলা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা’ নামে প্রকাশ করে।
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম
0
Updated: 2 months ago