বিহারীলাল চক্রবর্তীকে “ভোরের পাখি” নামে কে আখ্যায়িত করেছেন?
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
জীবনানন্দ দাশ
C
কাজী নজরুল ইসলাম
D
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
উত্তরের বিবরণ
বিহারীলাল চক্রবর্তীকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর “ভোরের পাখি” নামে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি আধুনিক বাংলা গীতিকবিতার অন্যতম পুরোধা এবং রবীন্দ্রনাথের কাব্যগুরু হিসেবে পরিচিত।
-
বিহারীলাল চক্রবর্তী:
-
জন্ম: ১৮৩৫, নিমতলা, কলকাতা।
-
বাংলা সাহিত্যের আধুনিক গীতিকবিতার স্রষ্টা হিসেবে পরিচিত।
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর সারদা মঙ্গল কাব্য পড়ে তাঁকে ‘ভোরের পাখি’ বলে অভিহিত করেন।
-
শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ: সারদা মঙ্গল
-
শেষ কাব্যগ্রন্থ: সাধের আসন, যা সারদা মঙ্গল কাব্যের পরিশিষ্ট।
-
মৃত্যু: ২৪ মে ১৮৯৪।
-
-
কাব্যগ্রন্থসমূহ:
-
স্বপ্নদর্শন
-
সঙ্গীত শতক
-
বন্ধু-বিয়োগ
-
প্রেম প্রবাহিণী
-
নিসর্গ সন্দর্শন
-
বঙ্গসুন্দরী (সার্থক গীতিকবিতা)
-
সারদা মঙ্গল
-
-
সম্পাদিত পত্রিকা:
-
পূর্ণিমা
-
সাহিত্য সংক্রান্তি
-
অবোধ বন্ধু
-

0
Updated: 9 hours ago
”টুনি” কোন উপন্যাসের চরিত্র?
Created: 1 month ago
A
দেবী চৌধুরাণী
B
শেষের কবিতা
C
আনন্দমঠ
D
হাজার বছর ধরে
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রধান উপন্যাসসমূহ
-
গোরা – সমাজ ও জাতীয়তাবাদ, ধর্মীয় চেতনা
-
ঘরে বাইরে – সামাজিক সীমাবদ্ধতা, নারীর অবস্থান
-
নষ্টনীড় – পারিবারিক ও সামাজিক মনস্তত্ত্ব
-
চোখের বালি – পরিবার ও ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষা
-
শেষের কবিতা – প্রগাঢ় নৈতিক ও দার্শনিক বিষয়
-
দেবদাসী – মানবীয় সম্পর্ক ও সামাজিক সংঘাত
-
রাজর্ষি – সমাজ ও নৈতিকতার দ্বন্দ্ব

0
Updated: 1 month ago
"আমার কবিতা আমি জানি গেলেও বিচিত্র পথে হয় নাই সে সর্বত্রগামী।" পঙ্ক্তিটির লেখক কে?
Created: 2 weeks ago
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
কাজী নজরুল ইসলাম
C
সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
D
সুকান্ত ভট্টাচার্য
“আমার কবিতা আমি জানি, গেলেও বিচিত্র পথে হয় নাই সে সর্বত্রগামী।”—এই পঙ্ক্তিটির লেখক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এটি তাঁর ঐকতান কবিতার অংশ, যা রচিত হয়েছিল তাঁর মৃত্যুর মাত্র চার মাস আগে।
ঐকতান কবিতা রবীন্দ্রনাথের জন্মদিনে কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে। এটি মূলত কবির আত্মস্বীকারোক্তিমূলক ও আত্মপক্ষসমর্থনমূলক কবিতা, যেখানে তিনি নিজের সীমাবদ্ধতা ও সৃষ্টির বৈচিত্র্যের মধ্যকার অপূর্ণতা স্বীকার করেছেন। কবি মনে করেন, তাঁর কবিতা যদিও বিচিত্র পথে অগ্রসর হয়েছে, তবুও তা সর্বত্র পৌঁছাতে পারেনি।
ঐকতান কবিতার মূল বৈশিষ্ট্য
-
কবি পৃথিবীর বিশালতা ও বৈচিত্র্যের কথা উল্লেখ করেছেন।
-
মানুষের সভ্যতা, নদী, গিরি, সিন্ধু, মরু, নগর ও কীর্তির বিপুলতা তিনি স্বীকার করেছেন।
-
সেই তুলনায় তাঁর সৃষ্টিকর্ম সীমাবদ্ধ ও একটি ক্ষুদ্র কোণেই আবদ্ধ।
-
কবি স্বীকার করেছেন যে, তাঁর সুরে অপূর্ণতা রয়েছে।
-
আত্মসমালোচনার মধ্য দিয়েও তিনি শিল্পীর সত্য ও সততা প্রকাশ করেছেন।
এ কবিতায় রবীন্দ্রনাথ শিল্পীর আত্মদর্শন ও আত্মবিশ্লেষণ তুলে ধরেছেন, যা তাঁর সাহিত্যকর্মের গভীর মানবতাবোধকে প্রতিফলিত করে।

0
Updated: 2 weeks ago
’বনফুল’ কাব্যগ্রন্থের লেখক কে?
Created: 1 week ago
A
নির্মলেন্দু গুন
B
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
C
বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়
D
আল মাহমুদ
বনফুল কাব্যগ্রন্থ
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ হলো বনফুল।
-
এটি জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব নামক দুটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ১৮৭৬ সালে।
-
কাব্যগ্রন্থটি সুকুমার সেন কাব্যোপন্যাস হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
-
জন্ম: ১৮৬১ সালের ৭ মে (১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ), কলকাতার জোড়াসাঁকোর অভিজাত ঠাকুর পরিবারে।
-
পিতা: মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর; মাতা: সারদা দেবী।
-
ঠাকুরবাড়ির অনুকূল পরিবেশে শৈশবেই কবি প্রতিভার উন্মেষ ঘটে।
-
১৯০১ সালে প্রতিষ্ঠা করেন শান্তিনিকেতন বিদ্যালয়।
-
১৯১৩ সালে ইংরেজি গীতাঞ্জলি (১৯১১) কাব্যের জন্য নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
রচিত উপন্যাসসমূহ:
-
চোখের বালি
-
গোরা
-
ঘরে বাইরে
-
যোগাযোগ
-
শেষের কবিতা
রচিত কাব্যগ্রন্থসমূহ:
-
প্রভাতসঙ্গীত
-
মানসী
-
সোনার তরী
-
চিত্র
-
চৈতালী
-
কল্পনা
-
ক্ষণিকা
-
গীতাঞ্জলি
-
বলাকা
-
পুনশ্চ

0
Updated: 1 week ago