“আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো” গানটি কে রচনা করেছেন?
A
আলতাফ মাহমুদ
B
আবদুল লতিফ
C
সৈয়দ শামসুল হক
D
আবদুল গাফফার চৌধুরী
উত্তরের বিবরণ
“আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো” গানটি আবদুল গাফফার চৌধুরী রচনা করেছেন এবং এটি একুশে ফেব্রুয়ারির স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
-
একুশের গান:
-
রচয়িতা: আবদুল গাফফার চৌধুরী।
-
তিনি একজন সাংবাদিক ও লেখক।
-
গানটির প্রথম সুর প্রদান করেছিলেন আবদুল লতিফ, তবে পরবর্তীতে আলতাফ মাহমুদের সুরই সর্বাধিক জনপ্রিয়তা পায়।
-
আলতাফ মাহমুদের সুরে গানটি প্রথম গাওয়া হয় এবং এটি এখন প্রাতিষ্ঠানিক সুর হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
-
আবদুল গাফফার চৌধুরীর রচনা:
-
উপন্যাস: চন্দ্রদ্বীপের উপাখ্যান (প্রথম), নাম না জানা ভোর, নীল যমুনা, শেষ রাত্রির চাঁদ
-
গল্পগ্রন্থ: সম্রাটের ছবি, সুন্দর হে সুন্দর
-
সম্পাদনা গ্রন্থ: বাংলাদেশ কথা কয়
-
0
Updated: 1 month ago
'একুশে ফেব্রুয়ারি'র বিখ্যাত গানটির সুরকার কে?
Created: 2 months ago
A
সুবীর সাহা
B
সুধীর দাস
C
আলতাফ মাহমুদ
D
আলতাফ মামুন
একুশে ফেব্রুয়ারি ও গান “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি”
“আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি” গানটি বাংলাদেশের একুশে ফেব্রুয়ারি ও ভাষা আন্দোলনের স্মরণীয় গান। গানটির রচয়িতা ছিলেন আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী। প্রথম সুরকার ছিলেন আবদুল লতিফ, তবে বর্তমানে যে সুরটি পরিচিত, তা তৈরি করেছেন আলতাফ মাহমুদ।
গানটি প্রথম সংকলিত হয় হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ (১৯৫৩) গ্রন্থে। এছাড়া, ঢাকা কলেজের নতুন ছাত্র-ছাত্রীদের ছাত্র ইউনিয়নের অভিষেক অনুষ্ঠানে গানটি প্রথমবার গাওয়া হয়।
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।
0
Updated: 2 months ago
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী গানটির প্রথম সুরকার কে?
Created: 1 week ago
A
আবদুল লতিফ
B
আলতাফ মাহমুদ
C
আজাদ রহমান
D
খন্দকার নুরুল আলম
গান “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি” বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনের অমর প্রতীক। এই গানটি রচিত হয়েছিল ভাষা শহিদদের স্মরণে, যা পরবর্তীকালে স্বাধীনতা সংগ্রামেও অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। গানটির প্রথম সুরকার ছিলেন আবদুল লতিফ, যিনি নিজেই গানের সুর দেন এবং এটি প্রথম পরিবেশিত হয় ১৯৫৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে।
গানটির সৃষ্টি, সুর এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব সম্পর্কে মূল তথ্যগুলো হলো—
-
গানটির রচয়িতা ছিলেন আবদুল গাফফার চৌধুরী, যিনি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এটি লেখেন।
-
প্রথম সুর দিয়েছেন আবদুল লতিফ, যিনি তৎকালীন সময়ের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও সাংস্কৃতিক কর্মী ছিলেন। তার সুরেই গানটি প্রথম জনসমক্ষে পরিবেশিত হয়।
-
পরে ১৯৬৯ সালে আলতাফ মাহমুদ গানটির নতুন সুর তৈরি করেন, যা আজ সবার পরিচিত রূপে প্রচলিত। তাঁর সুরেই এই গানটি জাতীয় পর্যায়ে পরিচিতি পায় এবং শহিদ দিবসে বাজানো হয়।
-
আবদুল লতিফ (১৯২৭–২০০৫) ছিলেন বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট গীতিকার, সুরকার ও সাংস্কৃতিক কর্মী। তিনি “জয় বাংলা বাংলার জয়” সহ বহু দেশাত্মবোধক গান রচনা ও সুর করেন।
-
এই গানটি প্রথম প্রচারিত হয় ১৯৫৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে, ভাষা আন্দোলনের স্মরণ অনুষ্ঠানে।
-
গানটি তৎকালীন সময়ের বাঙালিদের মাঝে এক নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করে, কারণ এটি শহিদদের আত্মত্যাগের কথা হৃদয়ের গভীর থেকে প্রকাশ করেছিল।
-
গানটির কথাগুলো — “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি”— বাঙালির আবেগ, ত্যাগ ও গৌরবের প্রতীক হয়ে ওঠে।
-
স্বাধীনতার পর এই গানটি বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের পর সবচেয়ে বেশি বাজানো দেশাত্মবোধক গানগুলোর একটি।
-
UNESCO 1999 সালে ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করলে, এই গানটি বিশ্বজুড়ে বাঙালিদের পরিচয়ের প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়।
-
এই গানটি আজও প্রতি বছর শহিদ মিনারে ফুল দিতে আসা মানুষদের কণ্ঠে উচ্চারিত হয়, যা বাঙালির ভাষা, সংস্কৃতি ও আত্মপরিচয়ের অনন্য প্রতীক হিসেবে টিকে আছে।
অতএব, গানটির প্রথম সুরকার ছিলেন আবদুল লতিফ, আর তার সৃষ্ট সুরই এই গানটিকে প্রথমবার বাঙালি হৃদয়ে স্থান দিয়েছিল, যা পরবর্তীতে আলতাফ মাহমুদের সুরে আরও চিরঅমর হয়ে ওঠে।
0
Updated: 1 week ago
“আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি” গানটির রচয়িতা কে?
Created: 3 weeks ago
A
কাজী নজরুল ইসলাম
B
আলাউদ্দীন আলী
C
আব্দুল গাফফার চৌধুরী
D
জহির রায়হান
“আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি” বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অনন্য সৃষ্টি। এই অমর ভাষা আন্দোলনের গানটির রচয়িতা আব্দুল গাফফার চৌধুরী, যিনি ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মাতৃভাষা বাংলার অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে এটি রচনা করেন। গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় এবং পরবর্তীতে এটি ভাষা আন্দোলনের প্রতীকী গান হিসেবে সমগ্র বাঙালি জাতির কণ্ঠে ছড়িয়ে পড়ে। এর সুর সংযোজন করেন বিশিষ্ট সংগীত পরিচালক আলতাফ মাহমুদ, যার সুরে এই গানটি অমরত্ব লাভ করে।
এই গানটি ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা, শোক ও গৌরবের প্রতীক। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ছাত্ররা রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে আন্দোলন করেছিল এবং পুলিশের গুলিতে সালাম, রফিক, বরকত, জব্বারসহ অনেকেই শহীদ হন। তাদের রক্তে রাঙানো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এলাকা ও শহীদ মিনারের দৃশ্যই কবির হৃদয়ে অনুরণিত হয়েছিল। সেই আবেগ থেকেই জন্ম নেয় এই অমর গীতিকাব্য। গানের প্রতিটি পঙ্ক্তি বাঙালির ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি অগাধ ভালোবাসা এবং আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
“আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি” শুধু একটি গান নয়, এটি বাঙালির জাতীয় চেতনার অংশে পরিণত হয়েছে। প্রতিবছর ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে এই গানটি বাজানো ও গাওয়া হয় সারা দেশে এবং বিদেশের বাংলা ভাষাভাষী সমাজেও। এটি জাতীয় সংগীতের পর সবচেয়ে জনপ্রিয় দেশপ্রেমের গান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
আব্দুল গাফফার চৌধুরী ছিলেন একজন খ্যাতনামা সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও কলামিস্ট। তিনি আজীবন বাংলাদেশের স্বাধীনতা, ভাষা, ও সংস্কৃতির পক্ষে কলম চালিয়েছেন। তাঁর এই গান প্রমাণ করে যে সাহিত্য জাতির ইতিহাসে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
সর্বোপরি, “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি” কেবল একটি সংগীত নয়, এটি বাঙালি জাতির আত্মপরিচয়ের প্রতীক, যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
0
Updated: 3 weeks ago