ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত মূলত কী ছিলেন?
A
ঔপন্যাসিক ও চিত্রকার
B
কবি ও সাংবাদিক
C
নাট্যকার ও চিন্তাবিদ
D
ঔপন্যাসিক ও সাংবাদিক
উত্তরের বিবরণ
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত একজন খ্যাতনামা কবি ও সাংবাদিক, যিনি বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগ ও আধুনিক যুগের সংযোগ হিসেবে যুগসন্ধির কবি হিসেবে পরিচিত।
-
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত:
-
একজন কবি ও সাংবাদিক।
-
ছদ্মনাম: ভ্রমণকারী বন্ধু।
-
তিনি প্রথম বাংলা দৈনিক পত্রিকা সংবাদ প্রভাকর সম্পাদনা করেন।
-
এছাড়াও তিনি সংবাদ রত্নাবলী এবং সংবাদ সাধুরঞ্জন নামের পত্রিকাগুলো সম্পাদনা করেছিলেন।
-
0
Updated: 1 month ago
'চেষ্টায় সুসিদ্ধ করে জীবনের আশা' - বাক্যটি কার রচনা?
Created: 2 weeks ago
A
আলাওল
B
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
C
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
D
শাহাদাৎ হোসেন
‘চেষ্টায় সুসিদ্ধ করে জীবনের আশা’—এই বাক্যটি ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের রচনা। তিনি ছিলেন উনিশ শতকের একজন বিশিষ্ট কবি, সাংবাদিক ও সমাজসংস্কারক, যিনি বাংলা ভাষায় দেশপ্রেম, নীতিবোধ ও কর্মপ্রেরণার শিক্ষা ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর এই উক্তিটি মানুষকে অধ্যবসায় ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে জীবনের সাফল্য অর্জনের অনুপ্রেরণা দেয়।
• ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত (১৮১২–১৮৫৯) বাংলার প্রথম যুগের উল্লেখযোগ্য কবি, যিনি বাংলা কবিতাকে নবজাগরণের ধারায় নিয়ে আসেন।
• তিনি ‘সংবাদ প্রভাকর’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন, যা বাংলার প্রথম দিকের জনপ্রিয় সংবাদপত্রগুলির একটি।
• তাঁর লেখায় সমাজের অসঙ্গতি, কুসংস্কার ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং সাধারণ মানুষের জীবনের চিত্র ফুটে উঠেছে।
• ‘চেষ্টায় সুসিদ্ধ করে জীবনের আশা’ উক্তিটির মাধ্যমে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন যে, সফলতার জন্য ভাগ্যের ওপর নির্ভর না করে নিজের চেষ্টা ও পরিশ্রমের উপর আস্থা রাখা উচিত।
• এই নীতিবাক্যের মূল শিক্ষা হলো—জীবনের প্রতিটি লক্ষ্য অর্জনের জন্য অধ্যবসায়, সততা ও আত্মবিশ্বাস প্রয়োজন।
• ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত ছিলেন বাংলা কাব্যের তথাকথিত "সংবাদ যুগের কবি", যিনি সাহিত্যে সমাজসচেতনতার বার্তা এনে দেন।
• তাঁর রচনাগুলোতে নৈতিক শিক্ষা, বাস্তব জীবনবোধ ও মানবিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধা দেখা যায়।
• তিনি কবিতার মাধ্যমে সমাজে কর্মনিষ্ঠা ও আত্মবিশ্বাসের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।
• তাঁর কবিতায় যেমন দেশপ্রেম আছে, তেমনি আছে মানবতাবোধ ও নৈতিক আদর্শের শিক্ষা।
• এই উক্তিটি মূলত মানুষকে কর্মমুখী জীবন গঠনের পরামর্শ দেয়—যেখানে অলসতা নয়, চেষ্টা-পরিশ্রমই জীবনের সাফল্যের মূল ভিত্তি।
• ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের অন্যান্য জনপ্রিয় রচনার মধ্যে আছে ‘ভারতচন্দ্র চরিত’, ‘সংবাদ প্রভাকর’-এ প্রকাশিত সামাজিক কবিতা ও ব্যঙ্গাত্মক পদ্য।
• তাঁর রচনাশৈলীতে একদিকে যেমন সহজ-সরল শব্দপ্রয়োগ আছে, অন্যদিকে গভীর ভাবার্থে ভরা জীবনদর্শনও প্রকাশ পেয়েছে।
• ‘চেষ্টায় সুসিদ্ধ করে জীবনের আশা’ বাক্যটি তাঁর সেই জীবনদর্শনেরই প্রতিফলন, যেখানে কর্মই মানুষকে উন্নতির পথে নিয়ে যায়।
• আজও এই উক্তিটি জীবনের প্রেরণাসূত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং তরুণ প্রজন্মকে আত্মনির্ভর ও অধ্যবসায়ী হতে উদ্বুদ্ধ করে।
সবশেষে বলা যায়, ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের এই উক্তি শুধু সাহিত্য নয়, জীবনদর্শনের এক চিরন্তন বাণী—যা শেখায় যে সাফল্যের একমাত্র চাবিকাঠি হলো নিরলস চেষ্টা ও অক্লান্ত পরিশ্রম।
0
Updated: 2 weeks ago
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত সম্পর্কে বঙ্কিমচন্দ্র কী বলেছেন?
Created: 2 months ago
A
প্রথম নবজাগরণের কবি
B
খাঁটি বাঙালি কবি
C
সন্ধিক্ষণের কবি
D
সংবাদপত্রকার কবি
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত ছিলেন একজন প্রখ্যাত কবি এবং সাংবাদিক, যিনি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে যুগসন্ধিক্ষণের কবি হিসেবে খ্যাত। তিনি অবক্ষয় যুগের কবি ছিলেন, অর্থাৎ মধ্যযুগ এবং আধুনিক যুগের মিলনকারী হিসেবে তাঁর কাব্যিক পরিচয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়াও, তিনি প্রথম বাংলা দৈনিক পত্রিকা ‘সংবাদ প্রভাকর’ এর সম্পাদক ছিলেন এবং ছদ্মনাম ‘ভ্রমণকারী বন্ধু’ ব্যবহার করতেন।
-
পেশা ও পরিচয়: কবি, সাংবাদিক
-
ছদ্মনাম: ভ্রমণকারী বন্ধু
-
সাহিত্যিক মর্যাদা: যুগসন্ধিক্ষণের কবি; অবক্ষয় যুগের কবি
-
সম্পাদনা করা পত্রিকা:
-
সংবাদ প্রভাকর
-
সংবাদ রত্নাবলী
-
পাষন্ডপীড়ন
-
সংবাদ সাধুরঞ্জন
-
-
প্রশংসা: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাকে ‘খাঁটি বাঙালি’ কবি হিসেবে উল্লেখ করেছেন
0
Updated: 2 months ago
কোনটি ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত রচিত নাটক?
Created: 2 months ago
A
কালীকীর্তন
B
বোধেন্দুবিকাশ
C
প্রবোধ প্রভাকর
D
প্রবোধচন্দ্রিকা
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত – জীবনী ও সাহিত্যকর্ম
-
জন্ম: ১২১৮ বঙ্গাব্দের ২৫ ফাল্গুন (মার্চ ১৮১২), চব্বিশ পরগনা জেলার কাঞ্চনপল্লী বা কাঁচড়াপাড়া চড়াপাড়া, পশ্চিমবঙ্গ।
-
পেশা ও পরিচিতি: কবি ও সাংবাদিক। বাংলা সাহিত্যের যুগসন্ধির কবি হিসেবে পরিচিত; সমকালের সামাজিক ও ঐতিহাসিক বিষয় নিয়ে রচনা করলেও ভাষা, ছন্দ ও অলঙ্কার মধ্যযুগীয়।
-
লেখনশৈলী: ব্যঙ্গ-বিদ্রূপের বিশেষত্ব, যা কবিয়ালদের নিকট থেকে আয়ত্ত করেছিলেন। গুরু বিষয়ও সহজভাবে প্রকাশ করার জন্য ব্যঙ্গ ব্যবহার করতেন।
-
ভাষা ও ছন্দ: ইংরেজি প্রভাববর্জিত খাঁটি বাংলা ব্যবহার; 'বোধেন্দুবিকাশ' (১৮৬৩) নাটকে ভাষা ও ছন্দের দক্ষতা প্রমাণিত।
-
সাংবাদিকতা: ১৮৩১ সালের ২৮ জানুয়ারি ‘সাপ্তাহিক সংবাদ প্রভাকর’ প্রকাশ। ১৮৩৯ সালের ১৪ জুন থেকে দৈনিক পত্রিকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ। এছাড়া সংবাদ রত্নাবলী, পাষন্ডপীড়ন, সংবাদ সাধুরঞ্জন পত্রিকাও সম্পাদনা করেছেন।
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের সম্পাদনা ও রচনা:
-
সম্পাদনা গ্রন্থ: কালীকীর্তন, প্রবোধ প্রভাকর
-
নাটক: হিতপ্রভাকর, বোধেন্দুবিকাশ
অন্যদিকে:
-
'প্রবোধচন্দ্রিকা' গদ্য গ্রন্থের রচয়িতা মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার।
উৎস: বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago