"মুখরা রমণী বশীকরণ" কী ধরনের রচনা?
A
কবিতা
B
প্রবন্ধ
C
ছোটগল্প
D
অনুবাদ নাটক
উত্তরের বিবরণ
"মুখরা রমণী বশীকরণ" মুনীর চৌধুরী রচিত একটি অনুবাদ নাটক। মুনীর চৌধুরী ছিলেন একজন শিক্ষাবিদ, নাট্যকার, সাহিত্য সমালোচক এবং বাগ্মী, যিনি তার জীবনকাল জুড়ে প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলন ও বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
-
মুনীর চৌধুরী:
-
জন্ম: ১৯২৫ সালের ২৭ নভেম্বর, মানিকগঞ্জ শহরে।
-
শিক্ষা ও পেশাগত জীবনের পাশাপাশি ঢাকার প্রগতি লেখক ও শিল্পী সংঘ, কমিউনিস্ট পার্টি এবং ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন।
-
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র দুই দিন আগে, ১৪ ডিসেম্বর, পাকবাহিনীর সহযোগীদের দ্বারা অপহৃত ও নিহত হন।
-
-
নাটকসমূহ:
-
রক্তাক্ত প্রান্তর
-
চিঠি
-
কবর
-
দণ্ডকারণ্য
-
পলাশী ব্যারাক ইত্যাদি
-
-
অনুবাদ নাটকসমূহ:
-
কেউ কিছু বলতে পারে না
-
রূপার কৌটা
-
মুখরা রমণী বশীকরণ
-
-
প্রবন্ধগ্রন্থ:
-
মীর মানস
-
তুলনামূলক সমালোচনা
-
বাংলা গদ্যরীতি
-
0
Updated: 1 month ago
কোনটি নজরুল রচিত নাটক নয়?
Created: 3 days ago
A
ঝিলিমিলি
B
পদ্মাবতী
C
পুতুলের বিয়ে
D
আলেয়া
পদ্মাবতী নামটি বাংলা সাহিত্য ইতিহাসে দুই ভিন্ন রচনায় ব্যবহৃত হয়েছে, যেগুলো সময়, রচয়িতা ও বিষয়বস্তুর দিক থেকে পৃথক। নিচে তা ব্যাখ্যা করা হলো—
-
আলাওলের পদ্মাবতী: এটি মধ্যযুগের এক অনন্য কাব্য। কবি আলাওল ১৭শ শতকে এটি রচনা করেন। কাব্যটি মূলত মালিক মুহম্মদ জায়সীর হিন্দি কাব্য পদ্মাবত-এর অনুবাদ। এতে চিতোরের রাণী পদ্মাবতী ও আলাউদ্দিন খিলজি সম্পর্কিত কাহিনি চিত্রিত হয়েছে।
-
মাইকেল মধুসূদন দত্তের পদ্মাবতী নাটক: এটি রচিত হয় ১৮৬০ সালে। এখানে গ্রিক পুরাণ থেকে কাহিনি গ্রহণ করা হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ আলাদা একটি নাট্যকর্ম, যার সাথে আলাওলের কাব্যের কোনো সম্পর্ক নেই।
-
দুই রচনার পার্থক্য: আলাওলের কাব্যটি মধ্যযুগীয় রোমান্টিক কাব্য, আর মধুসূদনের রচনা আধুনিক ধারার নাট্যকাব্য।
-
উভয়ের গুরুত্ব: আলাওলের পদ্মাবতী বাংলা কাব্যসাহিত্যে অনুবাদ ও প্রেমকাব্যের ঐতিহ্য তৈরি করেছে, আর মধুসূদনের পদ্মাবতী বাংলা নাট্যসাহিত্যে পাশ্চাত্য প্রভাব যুক্ত করেছে।
0
Updated: 3 days ago
প্রথম বাংলা সার্থক ট্র্যাজেডি নাটক রচনা করেন কে?
Created: 5 months ago
A
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
B
দীনবন্ধু মিত্র
C
হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
D
দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
• বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ট্র্যাজেডি নাটক কৃষ্ণকুমারী।
• কৃষ্ণকুমারী:
- 'কৃষ্ণকুমারী' (১৮৬১) নাটকের কাহিনি উইলিয়াম টডের 'রাজস্থান' নামক গ্রন্থথেকে সংগৃহীত।
- এই নাটকে মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যে প্রথম সার্থক ট্রাজেডি রচনা করেন। এজন্য নাটকটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
- এই নাটকের উল্লেখযোগ্য চরিত্র হলো: কৃষ্ণকুমারী, মদনিকা, ভীম- সিংহ, জগৎসিংহ, ধনদাস প্রমুখ।
- ১৮৬১ সালে প্রকাশিত হলেও নাটকটি রচিত হয়েছিল ১৮৬০ সালে।
• তাঁর রচিত নাটক:
- শর্মিষ্ঠা,
- পদ্মাবতী,
- কৃষ্ণকুমারী,
- মায়াকানন,
• মাইকেল মধুসূদন দত্ত:
- তিনি ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোর জেলার কপোতাক্ষ নদের তীরে সাগরদাঁড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
- তিনি বাংলা ভাষায় সনেটের প্রবর্তক।
- মাইকেল মধুসূদন দত্ত অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক।
- তিনি প্রথম অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রয়োগ করেন তাঁর 'পদ্মাবতী' নাটকে। (দ্বিতীয় অঙ্ক দ্বিতীয় গর্ভাঙ্কে)
- অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য। অর্থ্যাৎ, এই কাব্যটি সম্পূর্ণ অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত
• তাঁর রচিত প্রহসন:
- একেই কি বলে সভ্যত
- বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ
• তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থ:
- তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য,
- মেঘনাদবধ কাব্য,
- ব্রজাঙ্গনা কাব্য,
- বীরাঙ্গনা কাব্য,
- চতুর্দশপদী কবিতাবলী।
উৎস: বাংলা ভাষা সাহিত্য ও জিজ্ঞাসা- ড. সৌমিত্র শেখর।
1
Updated: 5 months ago
কোনটা ঠিক?
Created: 3 months ago
A
সোজন বাদিয়ার ঘাট (উপন্যাস)
B
কাঁদো নদী কাঁদো (কাব্য)
C
বহিপীর (নাটক)
D
মহাশ্মশান (নাটক)
বহিপীর নাটক
- সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ রচিত নাটক 'বহিপীর' ১৯৬০ সালে ঢাকা থেকে প্রথম প্রকাশিত হয়।
- নাটকটি গড়ে উঠেছে বহিপীরের সর্বগ্রাসী স্বার্থ ও নতুন দিনের প্রতীক এক বালিকার বিদ্রোহের কাহিনীকে কেন্দ্র করে।
- নাটকের এই কেন্দ্রীয় চরিত্রটির নাম অনুসারেই নাটকের নামকরণ করা হয়েছে বহিপীর।
- এখানে ধর্মকে ভণ্ডবহিপীর ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করে।
উল্লেখযোগ্য চরিত্র:
- বহিপীর,
- তাহেরা,
- হাতেম,
- আমেনা,
- হাশেম।
-----------------------
অন্যদিকে,
- কবি জসীম উদ্দীনের কাহিনিকাব্য- সোজন বাদিয়ার ঘাট।
- সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ রচিত উপন্যাস- কাঁদো নদী কাঁদো,
- 'মহাশ্মশান' কায়কোবাদের শ্রেষ্ঠ রচনা। এটি একটি মহাকাব্য।
0
Updated: 3 months ago