মুক্তিযুদ্ধকালে শামসুর রাহমান কোন ছদ্মনামে লিখতেন?
A
মাজলিম মান্দেব
B
মজলুম আদিব
C
বাবুল মান্দেব
D
শান্তনু বাচ্চু
উত্তরের বিবরণ
মুক্তিযুদ্ধকালে শামসুর রাহমান মজলুম আদিব ছদ্মনামে লিখতেন এবং তিনি বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট কবি ও সাংবাদিক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
-
শামসুর রাহমান:
-
জন্ম: ১৯২৯ সালে পুরান ঢাকার ৪৬ নম্বর মাহুতটুলীতে।
-
পৈত্রিক বাড়ি: ঢাকা জেলার রায়পুর থানার পাড়াতলী গ্রামে।
-
শৈশবে ডাক নাম: ‘বাচ্চু’।
-
মুক্তিযুদ্ধকালে লিখতেন ‘মজলুম আদিব’ ছদ্মনামে।
-
আঠারো বছর বয়সে প্রথম কবিতা লেখা শুরু করেন।
-
১৯৪৩ সালে প্রথম কবিতা উনিশশ উনপঞ্চাশ, নলিনী কিশোর গুহ সম্পাদিত সোনার বাংলা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
-
দুটি বিখ্যাত কবিতা: “স্বাধীনতা তুমি” এবং “তুমি আসবে বলে হে স্বাধীনতা”।
-
তিনি লাভ করেছেন আদমজি পুরস্কার, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক এবং স্বাধীনতা পুরস্কার।
-
মৃত্যু: ২০০৬ সালে ঢাকায়।
-
-
কবিতা সংকলন:
-
প্রথম গান, দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে
-
রৌদ্র করোটিতে
-
বিধ্বস্ত নীলিমা
-
বন্দী শিবির থেকে
-
বাংলাদেশ স্বপ্ন দ্যাখে
-
উদ্ভট উটের পিঠে চলছে স্বদেশ
-
এক ফোঁটা কেমন অনল
-
বুক তাঁর বাংলাদেশের হৃদয়
-
স্বপ্নে ও দুঃস্বপ্নে বেঁচে আছি
-
কৃষ্ণপক্ষে পূর্ণিমার দিকে
-
না বাস্তব না দুঃস্বপ্ন
-
0
Updated: 1 month ago
কোন লেখক 'সাহিত্য সম্রাট' নামে খ্যাত?
Created: 2 months ago
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
C
বিহারীলাল চক্রবর্তী
D
কাজী নজরুল ইসলাম
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়:
-
আধুনিক বাংলা সাহিত্যের বিকাশ যুগের শ্রেষ্ঠ লেখক ছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
-
তিনি বাংলা গদ্যকে সর্বপ্রকার ভাব প্রকাশের উপযোগী করে তোলেন।
-
বঙ্কিমচন্দ্র বাংলা সাহিত্য ও বাঙালি জীবনে অসামান্য প্রভাব বিস্তার করেছেন।
-
তাঁর অসাধারণ প্রতিভার ফলে পন্ডিতি ও আলালি-হুতোমি রীতির মধ্যে সামঞ্জস্য স্থাপন করে তিনি সরল ও সরস গদ্যের সৃষ্টি করেন।
-
“বঙ্গদর্শন” (১৮৭২) নামক সাহিত্য-বিষয়ক মাসিক পত্রিকা সম্পাদনার মাধ্যমে তিনি সাহিত্যের ইতিহাসে এক নবযুগের সূচনা করেন।
-
সাহিত্য-সমালোচনা, ঐতিহাসিক গবেষণা, ধর্ম ও দার্শনিক আলোচনা, রাজনৈতিক ও বৈজ্ঞানিক সাহিত্য, ব্যঙ্গ-সাহিত্য—সবই তিনি প্রবর্তন করেন।
-
তাঁর প্রতিভার কারণে যে সাহিত্যিক গোষ্ঠী গড়ে ওঠে, তাঁরা দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর ধরে বাংলা সাহিত্যে আধিপত্য বজায় রাখেন।
-
বাংলায় তুলনামূলক সাহিত্য সমালোচনার পথিকৃৎও তিনিই।
-
প্রধানত তিনি ঔপন্যাসিক হিসেবে পরিচিত, এজন্য তিনি ‘সাহিত্য সম্রাট’ উপাধিতে ভূষিত হন।
-
তাঁর রচিত বিখ্যাত উপন্যাসগুলো হলো—দুর্গেশনন্দিনী, কপালকুন্ডলা, কৃষ্ণকান্তের উইল, বিষবৃক্ষ, আনন্দমঠ ইত্যাদি।
উৎস: বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago
প্রমথ চৌধুরীর সাহিত্যিক ছদ্মনাম কোনটি?
Created: 1 month ago
A
বীরবল
B
নবকুমার
C
অনিলা দেবী
D
ধুমকেতু
প্রমথ চৌধুরীর সাহিত্যিক ছদ্মনাম হলো বীরবল। তিনি বাংলা গদ্যে চলিত রীতির প্রবর্তক এবং বিদ্রূপাত্মক প্রাবন্ধিক হিসেবে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন।
-
১৮৬৮ সালের ৭ আগস্ট যশোরে জন্মগ্রহণ করেন।
-
বাংলা ভাষার সাধু ও চলিত রূপের তুলনামূলক গবেষক ছিলেন।
-
বাংলা গদ্যে প্রথমবার চলিত রীতি প্রয়োগ করেন।
-
বাংলা কাব্য সাহিত্যে ইতালীয় সনেটের প্রবর্তক।
-
১৯১৪ সালে প্রকাশিত মাসিক সবুজপত্র পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।
-
মৃত্যু: ১৯৪৬, শান্তিনিকেতন।
অন্যদিকে:
-
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত-এর সাহিত্যিক ছদ্মনাম ছিল নবকুমার।
-
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়-এর সাহিত্যিক ছদ্মনাম ছিল অনিলা দেবী।
-
কাজী নজরুল ইসলাম-এর সাহিত্যিক ছদ্মনাম ছিল ধুমকেতু।
0
Updated: 1 month ago
'বীরবল' কোন লেখকের ছদ্মনাম?
Created: 3 months ago
A
আবু ইসহাক
B
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
C
প্রমথনাথ বিশী
D
প্রমথ চৌধুরী
● প্রমথ চৌধুরী
-
প্রমথ চৌধুরী বাংলা ভাষার সাধু আর চলিত রীতির মধ্যে পার্থক্য নিয়ে গবেষণা করেছিলেন।
-
তিনিই বাংলা গদ্যে চলিত ভাষার প্রচলন শুরু করেন এবং বিদ্রূপধর্মী প্রবন্ধ লেখার জন্য পরিচিত।
-
তাঁর সাহিত্যিক ছদ্মনাম ছিল ‘বীরবল’।
-
‘বীরবলের হালখাতা’ নামে তাঁর একটি বিখ্যাত প্রবন্ধ ১৯০২ সালে ভারতী পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল।
-
এই প্রবন্ধেই তিনি প্রথম চলিত ভাষার ব্যবহার করেন।
-
তিনি বাংলা কবিতায় ইতালীয় সনেটের রীতিও প্রথম চালু করেন।
● প্রমথ চৌধুরীর প্রবন্ধগ্রন্থগুলো
-
নানা কথা
-
আমাদের শিক্ষা
-
রায়তের কথা
-
প্রবন্ধ সংগ্রহ
-
বীরবলের হালখাতা
-
তেল-নুন-লকড়ি
● তাঁর লেখা গল্পগ্রন্থ
-
চার ইয়ারী কথা
-
নীল্লোহিত
-
আহুতি
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর, এবং বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 3 months ago