প্রমথ চৌধুরীর সাহিত্যিক ছদ্মনাম কোনটি?
A
বীরবল
B
নবকুমার
C
অনিলা দেবী
D
ধুমকেতু
উত্তরের বিবরণ
প্রমথ চৌধুরীর সাহিত্যিক ছদ্মনাম হলো বীরবল। তিনি বাংলা গদ্যে চলিত রীতির প্রবর্তক এবং বিদ্রূপাত্মক প্রাবন্ধিক হিসেবে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন।
-
১৮৬৮ সালের ৭ আগস্ট যশোরে জন্মগ্রহণ করেন।
-
বাংলা ভাষার সাধু ও চলিত রূপের তুলনামূলক গবেষক ছিলেন।
-
বাংলা গদ্যে প্রথমবার চলিত রীতি প্রয়োগ করেন।
-
বাংলা কাব্য সাহিত্যে ইতালীয় সনেটের প্রবর্তক।
-
১৯১৪ সালে প্রকাশিত মাসিক সবুজপত্র পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।
-
মৃত্যু: ১৯৪৬, শান্তিনিকেতন।
অন্যদিকে:
-
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত-এর সাহিত্যিক ছদ্মনাম ছিল নবকুমার।
-
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়-এর সাহিত্যিক ছদ্মনাম ছিল অনিলা দেবী।
-
কাজী নজরুল ইসলাম-এর সাহিত্যিক ছদ্মনাম ছিল ধুমকেতু।
0
Updated: 1 month ago
কোন লেখকের ছদ্মনাম "অশীতিপর শর্মা"?
Created: 2 months ago
A
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
B
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়
C
বিনয়কৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়
D
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
-
জন্ম: ১৮৮২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি, কলকাতার নিকটবর্তী নিমতা গ্রাম
-
পেশা ও পরিচিতি: কবি ও ছান্দসিক; বাংলা সাহিত্যে 'ছন্দের জাদুকর' বা 'ছন্দের রাজা'
-
ছদ্মনাম: নবকুমার, কবিরত্ন, অশীতিপর শর্মা, ত্রিবিক্রম বর্মণ, কলমগীর
অন্যান্য সাহিত্যিকের ছদ্মনাম
-
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: সুনন্দ
-
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়: হাবু শর্মা
-
বিনয়কৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়: যাযাবর
উৎস:
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
-
বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago
মীর মশাররফ হোসেনের ছদ্মনাম কী?
Created: 2 months ago
A
বনফুল
B
গাজীমিয়া
C
ভ্রমন
D
জরাসন্ধ
মীর মশাররফ হোসেনের ছদ্মনাম - গাজী মিয়াঁ । মীর মশাররফ হোসেন কর্তৃক রচিত রসরচনা গাজী মিয়াঁর বস্তানী (১৮৯৯) । পরবর্তীতে গাজী মিয়াঁ তার ছদ্মনামে রুপলাভ করে। বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়ের ছদ্মনাম ' বনফুল ' এবং চারুচন্দ্র চক্রবর্তীর ছদ্মনাম 'জরাসন্ধ'।
0
Updated: 2 months ago
কোন লেখক 'সাহিত্য সম্রাট' নামে খ্যাত?
Created: 2 months ago
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
C
বিহারীলাল চক্রবর্তী
D
কাজী নজরুল ইসলাম
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়:
-
আধুনিক বাংলা সাহিত্যের বিকাশ যুগের শ্রেষ্ঠ লেখক ছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
-
তিনি বাংলা গদ্যকে সর্বপ্রকার ভাব প্রকাশের উপযোগী করে তোলেন।
-
বঙ্কিমচন্দ্র বাংলা সাহিত্য ও বাঙালি জীবনে অসামান্য প্রভাব বিস্তার করেছেন।
-
তাঁর অসাধারণ প্রতিভার ফলে পন্ডিতি ও আলালি-হুতোমি রীতির মধ্যে সামঞ্জস্য স্থাপন করে তিনি সরল ও সরস গদ্যের সৃষ্টি করেন।
-
“বঙ্গদর্শন” (১৮৭২) নামক সাহিত্য-বিষয়ক মাসিক পত্রিকা সম্পাদনার মাধ্যমে তিনি সাহিত্যের ইতিহাসে এক নবযুগের সূচনা করেন।
-
সাহিত্য-সমালোচনা, ঐতিহাসিক গবেষণা, ধর্ম ও দার্শনিক আলোচনা, রাজনৈতিক ও বৈজ্ঞানিক সাহিত্য, ব্যঙ্গ-সাহিত্য—সবই তিনি প্রবর্তন করেন।
-
তাঁর প্রতিভার কারণে যে সাহিত্যিক গোষ্ঠী গড়ে ওঠে, তাঁরা দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর ধরে বাংলা সাহিত্যে আধিপত্য বজায় রাখেন।
-
বাংলায় তুলনামূলক সাহিত্য সমালোচনার পথিকৃৎও তিনিই।
-
প্রধানত তিনি ঔপন্যাসিক হিসেবে পরিচিত, এজন্য তিনি ‘সাহিত্য সম্রাট’ উপাধিতে ভূষিত হন।
-
তাঁর রচিত বিখ্যাত উপন্যাসগুলো হলো—দুর্গেশনন্দিনী, কপালকুন্ডলা, কৃষ্ণকান্তের উইল, বিষবৃক্ষ, আনন্দমঠ ইত্যাদি।
উৎস: বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago