'দারিদ্র্য' কবিতাটি নজরুল ইসলামের কোন কাব্যের অন্তর্ভুক্ত?
A
সাম্যবাদী
B
বিষের বাঁশী
C
সিন্ধু হিন্দোল
D
নতুন চাঁদ
উত্তরের বিবরণ
'দারিদ্র্য' কবিতাটি কাজী নজরুল ইসলামের 'সিন্ধু হিন্দোল' কাব্যের অন্তর্গত।
• 'সিন্ধু হিন্দোল' কাব্য:
- সিন্ধু হিন্দোল কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত একটি কাব্যগ্রন্থ।
- ১৯২৭ খৃষ্টাব্দে এই গ্রন্থটি প্রথম প্রকাশিত হয়। ১৯টি কবিতা নিয়ে এই কাব্যগ্রন্থ।
- ''দারিদ্র'' কবিতাটি এই কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত।
এই কবিতার কয়েকটি লাইন-
"হে দারিদ্র্য, তুমি মোরে করেছ মহান্।
তুমি মোরে দানিয়াছ খ্রীষ্টের সম্মান
কন্টক-মুকুট শোভা।-দিয়াছ, তাপস,
অসঙ্কোচ প্রকাশের দুরন্ত সাহস;
উদ্ধত উলঙ্গ দৃষ্টি, বাণী ক্ষুরধার,
বীণা মোর শাপে তব হ’ল তরবার!"
-------------------
• কাজী নজরুল ইসলাম:
- কাজী নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশের জাতীয় কবি এবং অবিভক্ত বাংলার সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব।
- তিনি ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে ১৮৯৯) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
- তাঁর ডাক নাম ছিল ‘দুখু মিয়া’।
- তাঁর প্রথম প্রকাশিত কবিতার নাম ‘মুক্তি’।
- 'মুক্তি' কবিতাটি বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
- ‘অগ্নি-বীণা’ কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ।
- কাজী নজরুলের রচিত প্রথম উপন্যাস ‘বাঁধন-হারা’।
- তাঁর প্রথম প্রকাশিত প্রবন্ধের নাম তুর্কিমহিলার ঘোমটা খোলা।
- তাঁর প্রথম প্রকাশিত নাটক - ঝিলিমিলি।
কাজী নজরুল ইসলামের কাব্যগ্রন্থ:
- অগ্নিবীণা,
- বিষের বাঁশি,
- ভাঙার গান,
- সাম্যবাদী,
- সর্বহারা,
- ঝিঙে ফুল,
- ফণি-মনসা,
- জিঞ্জির,
- সন্ধ্যা,
- নতুন চাঁদ,
- প্রলয় শিখা ইত্যাদি।
উৎস: বাংলাপিডিয়া এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা- ড. সৌমিত্র শেখর।
0
Updated: 3 months ago
এন্টনি ফিরিঙ্গি কোন কাব্যরীতির জন্য বিখ্যাত ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
মঙ্গলকাব্য
B
কবিগান
C
প্রণয়কাব্য
D
শাক্ত পদাবলি
এন্টনি ফিরিঙ্গি বাংলা কবিগানের জগতে বিশেষভাবে পরিচিত ছিলেন। তিনি আঠারো শতকের একজন প্রখ্যাত কবিয়াল ছিলেন এবং তাঁর জীবন ও কর্মকাণ্ডে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় বৈচিত্র্য লক্ষ্য করা যায়।
-
পূর্ণ নাম: হেনসম্যান এন্টনি (Hensman Anthony)।
জাতি ও ধর্ম: পর্তুগিজ এবং খ্রিস্টান।
-
বাসস্থান: পশ্চিমবঙ্গের চন্দননগরের ফরাসডাঙা।
-
ধর্ম ও জীবনধারা: খ্রিস্টান হলেও হিন্দু কালী সাধকের মতো জীবনযাপন করতেন।
-
বিবাহ ও সামাজিক অবদান: একজন হিন্দু বিধবার সাথে বিবাহ এবং কলকাতার বউবাজারে ফিরিঙ্গি কাকীমন্দির প্রতিষ্ঠা।
তার একটি বিখ্যাত গান:
‘আমি ভজন সাধন জানি নে মা
নিজে ত ফিরিঙ্গি।
যদি দয়া করে কৃপা কর
হে শিবে মাতঙ্গী।’
0
Updated: 1 month ago
১২) ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে’ - উক্তিটি কার?
Created: 2 months ago
A
মালিনী
B
ভবানন্দ
C
ঈশ্বরী পাটনী
D
বিদ্যাসুন্দর
অন্নদামঙ্গল কাব্য
রচয়িতা
-
রচয়িতা: ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর
-
ভারতচন্দ্র আঠার শতকের শ্রেষ্ঠ কবি ও মধ্যযুগের প্রথম নাগরিক কবি হিসেবে পরিচিত।
-
তিনি মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি হিসেবেও মর্যাদার অধিকারী।
কাব্যের বৈশিষ্ট্য
-
ভারতচন্দ্রের প্রতিভার শ্রেষ্ঠ নিদর্শন ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্য।
-
এর অংশমাত্র: কালিকামঙ্গল ও বিদ্যাসুন্দর কাহিনি।
-
কাব্যের একটি প্রসিদ্ধ উক্তি:
"আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে" — ঈশ্বরী পাটনী
প্রধান চরিত্র
-
মানসিংহ
-
ভবানন্দ
-
বিদ্যাসুন্দর
-
মালিনী
-
ঈশ্বরী পাটনী
উৎস
-
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
0
Updated: 2 months ago
'আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে' লাইনটি নিম্নোক্ত একজনের কাব্যে পাওয়া যায়-
Created: 4 months ago
A
মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
B
ভারতচন্দ্র রায়
C
মদনমোহন তর্কালঙ্কার
D
কামিনী রায়
অন্নদামঙ্গল কাব্য ও ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে’ পঙক্তির ব্যাখ্যা
বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগে রচিত এক গুরুত্বপূর্ণ মঙ্গলকাব্য হলো অন্নদামঙ্গল, যার রচয়িতা ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর। তিনি বাংলা সাহিত্যের প্রথম নাগরিক কবি হিসেবে পরিচিত। এই কাব্যে মানবজীবনে দেবীর কৃপা, ধর্ম ও সামাজিক নীতির গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।
অন্নদামঙ্গল কাব্যটি তিনটি খণ্ডে বিভক্ত:
-
শিবনারায়ণ খণ্ড
-
কালিকামঙ্গল খণ্ড
-
মানসিংহ-ভবানন্দ খণ্ড
এই কাব্যের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছেন: মানসিংহ, ভবানন্দ, বিদ্যাসুন্দর, মালিনী, ও ঈশ্বরী পাটনী।
ঈশ্বরী পাটনী ছিলেন ভবানন্দের স্ত্রী, যিনি মাতা হিসেবে সন্তানকে নিয়ে গভীর মমতাভরে একটি প্রার্থনা করেন। তাঁর মুখ দিয়ে ভারতচন্দ্র উচ্চারণ করেন এক বিখ্যাত পঙক্তি—
"আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে।"
এই সরল অথচ হৃদয়স্পর্শী বাক্যটি বাঙালি মাতৃত্বের প্রতীক হয়ে উঠেছে। এখানে একজন মা তাঁর সন্তানের জন্য প্রার্থনা করছেন যাতে সন্তান ক্ষুধার কষ্ট না পায়—দুধ আর ভাত যেন তার জীবনে অবারিত থাকে।
এই কাব্যের কয়েকটি স্মরণীয় পঙক্তি হলো:
-
“মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন।”
-
“নগর পুড়িলে দেবালয় কি এড়ায়?”
-
“আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে।”
এই পঙক্তিগুলি কেবল কাব্যিক সৌন্দর্যের নিদর্শনই নয়, বরং সমাজ, ধর্ম ও মানবিক মূল্যবোধের পরিচায়ক হিসেবেও বিবেচিত হয়।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর
0
Updated: 4 months ago