বর্তমানে বাংলাদেশের দ্রুততম মানবী কে? [ আগস্ট,২০২৫]
A
সাফিনা হোসেন
B
শিরিন আক্তার
C
রুমি খান
D
তানজিনা রহমান
উত্তরের বিবরণ
৪৮তম জাতীয় অ্যাথলেটিকস ২০২৫-এর ১০০ মিটার স্প্রিন্ট প্রতিযোগিতার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে উভয় লিঙ্গেই নৌবাহিনী দলের ক্রীড়াবিদরা নেতৃত্ব দিয়েছেন।
নারী ১০০ মিটার স্প্রিন্ট:
-
দ্রুততম মানবী: শিরিন আক্তার (বাংলাদেশ নৌবাহিনী)
-
সময়: ১২.০১ সেকেন্ড
-
দ্বিতীয় স্থান: সুমাইয়া দেওয়ান, সময় ১২.১৫ সেকেন্ড
পুরুষ ১০০ মিটার স্প্রিন্ট:
-
দ্রুততম মানব: মোহাম্মদ ইসমাইল (বাংলাদেশ নৌবাহিনী)
-
সময়: ১০.৬১ সেকেন্ড
উল্লেখযোগ্য: গত চারবারের দ্রুততম মানব ইমরানুর রহমান এইবার অংশগ্রহণ করেননি।

0
Updated: 10 hours ago
সংবিধান রচনার জন্য তৎকালীন রাষ্ট্রপতি কত তারিখে 'বাংলাদেশ গণপরিষদ আদেশ’ জারি করেন?
Created: 1 day ago
A
২৩ মার্চ, ১৯৭২
B
২৪ মার্চ, ১৯৭২
C
১০ এপ্রিল, ১৯৭২
D
১৭ এপ্রিল, ১৯৭২
১৯৭২ সালে বাংলাদেশে সংবিধান প্রণয়নের কাজ শুরু হয়। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী ২৩ মার্চ ১৯৭২ তারিখে ‘বাংলাদেশ গণপরিষদ আদেশ’ জারি করেন, যা সংবিধান রচনার আনুষ্ঠানিক ভিত্তি স্থাপন করে। এই আদেশ অনুযায়ী, ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর থেকে ১৯৭১ সালের ১ মার্চ পর্যন্ত নির্বাচিত জাতীয় ও প্রাদেশিক প্রতিনিধিদের নিয়ে গণপরিষদ গঠন করা হয়। গণপরিষদের মোট সদস্য সংখ্যা ছিল ৪০৩ জন, এবং সংবিধান প্রণয়নই ছিল গণপরিষদের একমাত্র লক্ষ্য।
-
স্বাধীনতা লাভের মাত্র ১১৬ দিন পর, ১৯৭২ সালের ১০ এপ্রিল গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন বসে।
-
প্রথম দিন গণপরিষদের প্রথম স্পিকার আবদুল হামিদের মৃত্যুতে মোহাম্মদ উল্লাহ স্পিকার নির্বাচিত হন।
-
দ্বিতীয় দিনে আইন ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ৩৪ সদস্যবিশিষ্ট ‘খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটি’ গঠন করা হয়।
-
কমিটিকে ১৯৭২ সালের ১০ জুনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
-
কমিটি প্রথম বৈঠক করে ১৭ এপ্রিল ১৯৭২ সালে এবং মোট ৭৪টি বৈঠকে মিলিত হয়।
-
১০ জুন ১৯৭২ সালে কমিটির শেষ বৈঠকে সংবিধানের প্রাথমিক খসড়া অনুমোদন করা হয়।
-
১১ অক্টোবর ১৯৭২ সালে কমিটি সর্বশেষ আলোচনার মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ খসড়া চূড়ান্তভাবে গৃহীত করে।
-
১৩ অক্টোবর গণপরিষদ কিছু সংশোধনীসহ এই খসড়া সংবিধানের বিধিমালা গৃহীত করে।
-
১২ অক্টোবর ১৯৭২ তারিখে সভাপতি কামাল হোসেন ‘সংবিধান বিল’ গণপরিষদে উত্থাপন করেন।
উৎস:

0
Updated: 1 day ago
পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে কার নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়?
Created: 2 days ago
A
ঘনশ্যাম দেওয়ান
B
স্নেহকুমার চাকমা
C
জোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা
D
মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার নেতৃত্বে ১৯৭৩ সালে গঠিত হয়েছিল, প্রধান উদ্দেশ্য ছিল পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার, মানবতাবাদ, জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা। সমিতি বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিসত্তার স্বার্থ রক্ষা ও রাজনৈতিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে কাজ করেছে, যার মধ্যে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, বম, মুরং, পাঙ্খো, খুমি, চাক, খিয়াং, লুসাই প্রভৃতি জাতিগোষ্ঠী অন্তর্ভুক্ত।
জেএসএস-এর কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে:
-
পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর দাবিদাওয়া আদায়ের জন্য সশস্ত্র সংগ্রাম পরিচালনা।
-
সমিতির সামরিক শাখা শান্তি বাহিনী, গ্রাম পঞ্চায়েত, যুব সমিতি ও মহিলা সমিতি পরিচালনা।
-
১৯৭২ সালের ২৪ এপ্রিল মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা বাংলাদেশের খসড়া সংবিধান প্রণেতাদের কাছে পার্বত্য চট্টগ্রামের স্বায়ত্তশাসনের দাবিসহ চার দফা দাবি পেশ করেন। সরকার দাবিগুলো প্রত্যাখ্যান করলে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীতে অসন্তোষ সৃষ্টি হয় এবং জুম্ম জাতীয়তাবাদ ও জুম্মল্যান্ড ধারণা জন্ম নেয়।
-
১৯৯৬ সালের ১৪ অক্টোবর, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক ১১-সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় কমিটি গঠিত হয়, যা সরকারের পক্ষ থেকে জনসংহতি সমিতির দাবির প্রতি ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করে।
-
১৯৯৭ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর, উভয় পক্ষ শান্তিচুক্তি স্থাপনের ঐক্যমতে পৌঁছায় এবং ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সমাধান হয়।
-
শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের পর জেএসএস রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।

0
Updated: 20 hours ago
ঐতিহাসিক শামস-ই-সিরাজ আফীফ কাকে ‘শাহ-ই-বাঙ্গালাহ’ উপাধি প্রদান করেছিলেন?
Created: 1 week ago
A
গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ
B
শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ
C
আলাউদ্দিন হোসেন শাহ
D
ফখরুদ্দীন মুবারক শাহ
সুলতান শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ 'সুলতান শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ' উপাধি গ্রহণ করে সিংহাসনে আরোহণ করেন এবং তাঁর শাসনকালে পূর্ব ও দক্ষিণ বঙ্গ তখন তার রাজ্যের বাইরে ছিল।
সুলতান শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ:
-
১৩৫২ সালে ইলিয়াস শাহ সোনারগাঁও দখল করে দুই বাংলাকে একত্রিত করেন।
-
সোনারগাঁও অধিকার করার মাধ্যমে তিনি সারা বাংলার সুলতান হন।
-
তাঁর পূর্বে কোনো মুসলমান সুলতান এই গৌরব অর্জন করতে পারেননি।
-
ঐতিহাসিক শামস-ই-সিরাজ আফীফ তাঁকে 'শাহ-ই-বাঙ্গালাহ', 'শাহ-ই-বাঙ্গালিয়ান' এবং 'সুলতান-ই-বাঙ্গালাহ' উপাধিতে ভূষিত করেন।
উল্লেখযোগ্য:
-
১৩৫২ খ্রিস্টাব্দে ফখরুদ্দিন মুবারক শাহের পুত্র এবং সোনারগাঁও-এর শাসক ইখতিয়ারউদ্দিন গাজী শাহকে পরাজিত করে পূর্ব বঙ্গে রাজ্য সম্প্রসারণ করেন।
-
লখনৌতি, সাতগাঁও এবং সোনারগাঁও অধিকার করার মাধ্যমে ইলিয়াস শাহ সমগ্র বাংলার একচ্ছত্র অধিপতি হন।
-
এই বিরল গৌরব পূর্বে কোনো মুসলমান শাসক অর্জন করতে পারেননি।
-
এ কারণে ঐতিহাসিক শামস-ই-সিরাজ আফীফ তাঁকে 'শাহ-ই-বাঙ্গালাহ' এবং 'সুলতান-ই-বাঙ্গালাহ' উপাধিতে ভূষিত করেন।
সূত্র:

0
Updated: 1 week ago