'তাজকেরাতুল আওলিয়া' অবলম্বনে 'তাপসমালা' কে রচনা করেন?
A
মুন্সী আব্দুল লতিফ
B
কাজী আকরাম হোসেন
C
গিরিশচন্দ্র সেন
D
শেখ আব্দুল জব্বার
উত্তরের বিবরণ
গিরিশচন্দ্র সেন
- নরসিংদী জেলার পাঁচদোনা গ্রামে তাঁর জন্ম।
- তিনি ছিলেন ধর্মবেত্তা ও অনুবাদক।
- তিনি 'সুলভ সমাচার' ও 'বঙ্গবন্ধু' পত্রিকার সহযোগী সম্পাদক এবং 'মাসিক মহিলা' পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
- কেশবচন্দ্র সেন ও বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর প্রভাবে ১৮৭১ সালে তিনি ব্রাহ্মধর্মে দীক্ষিত হন।
- কুরআনের বঙ্গানুবাদ বাংলা সাহিত্যে তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ কীর্তি।
- বাংলা ভাষায় প্রথম কুরআন শরীফের পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ করেন তিনি।
- সকলের নিকট তিনি ‘ভাই গিরিশচন্দ্র’ নামে পরিচিত ছিলেন।
তাঁর রচিত গ্রন্থ:
• তাপসমালা:
- গিরিশচন্দ্রের বিখ্যাত গ্রন্থ তাপসমালা।
- এটি ৯৬ জন ওলি-আউলিয়ার জীবনচরিত, যা শেখ ফরীদুদ্দীন আত্তারের ফারসি ভাষায় রচিত তাজকেরাতুল আত্তলিয়ার ভাবাদর্শে রচিত।
• তত্ত্বরত্নমালা:
- গিরিশচন্দ্রের উল্লেখযোগ্য আরেকটি গ্রন্থ হলো তত্ত্বরত্নমালা।
- এটি শেখ ফরীদুদ্দীন আত্তারের মানতেকুত্তায়েব ও মওলানা জালালউদ্দীন রূমীর মসনবী শরীফ নামক প্রখ্যাত ফারসি গ্রন্থদ্বয় থেকে সংকলিত।
- এতে নীতিকথা ও শিক্ষণীয় বিষয় ছোট ছোট গল্পের আকারে রসাত্মকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়াও তিনি হাদিস-পূর্ব বিভাগ শিরোনামে মিশ্কাত শরীফের প্রায় অর্ধাংশের অনুবাদ প্রকাশ করেন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর ও বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 3 months ago
'ভাষা প্রকাশ বাঙ্গালা ব্যাকরণ' কে রচনা করেন?
Created: 3 months ago
A
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
B
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
C
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
D
মুহম্মদ এনামুল হক
ভাষাবিজ্ঞানী ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর গ্রন্থসমূহ
বাংলা ভাষার অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষাবিজ্ঞানী হিসেবে পরিচিত ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়। তাঁর লেখনী বাংলা ভাষার গঠন ও বিকাশ বিশ্লেষণে অসাধারণ ভূমিকা রেখেছে।
১৯৩৬ সালে তিনি কলকাতার রয়েল এশিয়াটিক সোসাইটির ফেলো নির্বাচিত হন, যা তাঁর গবেষণা ও ভাষাতত্ত্বে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ।
তাঁর বিখ্যাত রচনার মধ্যে অন্যতম হলো Origin and Development of the Bengali Language (ODBL), যা ১৯২৬ সালে প্রকাশিত হয় এবং বাংলা ভাষার উৎস ও বিবর্তন নিয়ে বিশ্লেষণধর্মী একটি গবেষণা।
এছাড়াও তিনি রচনা করেছেন:
-
ভাষা প্রকাশ বাঙ্গালা ব্যাকরণ,
-
পশ্চিমের যাত্রী,
-
বাংলা ভাষাতত্ত্বের ভূমিকা,
-
ভারতের ভাষা ও ভাষা সমস্যা।
এই তথ্যসমূহ বাংলা ভাষা ও সাহিত্য সংক্রান্ত গ্রন্থ বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (ড. সৌমিত্র শেখর) এবং বাংলাপিডিয়া থেকে সংগৃহীত।
0
Updated: 3 months ago
'বাংলা ভাষার ইতিবৃত্ত' রচনা করেছেন?
Created: 1 week ago
A
দানীউল হক
B
সুকুমার সনে
C
সুনীতি কুমার চট্টপাধ্যায়
D
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
বাংলা ভাষার ইতিহাস ও বিকাশ নিয়ে গভীর গবেষণাধর্মী আলোচনা করা গ্রন্থ ‘বাংলা ভাষার ইতিবৃত্ত’। এটি বাংলা ভাষাতত্ত্বের এক অনন্য অবদান, যা ভাষার উৎস, ধ্বনিগত পরিবর্তন ও গঠনমূলক বিকাশ বিশ্লেষণ করে ভাষা-উৎসুকদের সামনে এক প্রামাণ্য রূপে হাজির হয়েছে। এই অসাধারণ গ্রন্থটির রচয়িতা হলেন মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, যিনি বাংলা ভাষা গবেষণায় পথিকৃৎ হিসেবে বিবেচিত।
এই গ্রন্থে তিনি বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলা ভাষার উৎপত্তি, বিবর্তন ও বিভিন্ন পর্যায় বিশ্লেষণ করেছেন। তাঁর গবেষণা শুধু ঐতিহাসিক নয়, এতে রয়েছে ভাষাতত্ত্ব, নৃতাত্ত্বিক এবং ধ্বনিবিজ্ঞানভিত্তিক বিশ্লেষণের নিখুঁত প্রয়োগ।
মূল বিষয়গুলো হলো—
• ভাষার উৎস ও শিকড় বিশ্লেষণ: মুহম্মদ শহীদুল্লাহ এই গ্রন্থে দেখিয়েছেন যে বাংলা ভাষার উৎপত্তি সংস্কৃত নয়, বরং প্রাকৃত ও অপভ্রংশের ধারাবাহিক বিকাশ থেকে। তিনি ‘মাগধী প্রাকৃত’-কে বাংলা ভাষার মূল উৎস হিসেবে নির্ধারণ করেন।
• ভাষার ঐতিহাসিক বিকাশ: তিনি ভাষার বিকাশকে তিনটি প্রধান পর্যায়ে ভাগ করেছেন— প্রাকৃত, অপভ্রংশ এবং আধুনিক বাংলা। প্রতিটি পর্যায়ে ধ্বনিগত পরিবর্তন, শব্দগঠন ও ব্যাকরণের রূপান্তর বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
• ধ্বনিবিজ্ঞান ও ব্যাকরণিক বৈশিষ্ট্য: বইটিতে তিনি বাংলা ভাষার ধ্বনি, রূপ, ক্রিয়া ও বাক্য গঠনের বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করেছেন। এতে তিনি তুলনামূলক ভাষাতত্ত্বের পদ্ধতি প্রয়োগ করে বাংলা ভাষাকে অন্যান্য আর্যভাষার সঙ্গে তুলনা করেছেন।
• ভাষা ও সংস্কৃতির যোগসূত্র: তিনি দেখিয়েছেন যে ভাষা শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়, এটি জাতির সংস্কৃতি, চিন্তা ও ঐতিহ্যের প্রতিফলন। তাই ভাষার পরিবর্তনের সঙ্গে সামাজিক পরিবর্তনের গভীর সম্পর্ক রয়েছে।
• গবেষণার বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি: মুহম্মদ শহীদুল্লাহ তাঁর গবেষণায় প্রমাণনির্ভর যুক্তি ব্যবহার করেছেন, যা তাঁর সময়ের জন্য ছিল বিপ্লবাত্মক। তাঁর লেখনশৈলীতে স্পষ্টতা ও যুক্তিনিষ্ঠতা ছিল প্রশংসনীয়।
• বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠা: তাঁর এই গ্রন্থ বাংলা ভাষাকে বৈজ্ঞানিক গবেষণার পর্যায়ে নিয়ে আসে এবং বাংলা ভাষার নিজস্ব পরিচয়কে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত করে।
সারকথা, ‘বাংলা ভাষার ইতিবৃত্ত’ কেবল একটি গ্রন্থ নয়, বরং এটি বাংলা ভাষা গবেষণার ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এই বইয়ের মাধ্যমে মুহম্মদ শহীদুল্লাহ প্রমাণ করেছেন যে বাংলা ভাষা স্বতন্ত্র ও সমৃদ্ধ, যার রয়েছে নিজস্ব বিকাশধারা এবং ঐতিহ্য। তাঁর এ রচনাই তাঁকে বাংলা ভাষা গবেষণায় এক অবিস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
0
Updated: 1 week ago
'চাচা কাহিনী'র লেখক কে?
Created: 3 months ago
A
সৈয়দ শামসুল হক
B
শওকত ওসমান
C
সৈয়দ মুজতবা আলী
D
ফররুখ আহমদ
● চাচা-কাহিনী
– ‘চাচা-কাহিনী’ একটি ছোটগল্প, যার লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী।
– গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৫২ সালে।
● সৈয়দ মুজতবা আলী সম্পর্কে কিছু তথ্য
– তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৯০৪ সালে।
– কাজী নজরুল ইসলামের অনুবাদ করা ‘রুবাইয়াত-ই-ওমর খৈয়াম’ বইটির ভূমিকা তিনি লিখেছিলেন।
– তাঁর ভ্রমণবিষয়ক জনপ্রিয় বই ‘দেশে বিদেশে’, যা মূলত আফগানিস্তানের কাবুল শহরের অভিজ্ঞতার উপর লেখা।
● তাঁর লেখা উপন্যাস
– অবিশ্বাস্য
– শবনম
● তাঁর লেখা ছোটগল্প
– চাচা-কাহিনী
– টুনি মেম
● তাঁর লেখা রম্যরচনা (মজার লেখা)
– পঞ্চতন্ত্র
– ময়ূরকণ্ঠী
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর এবং বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 3 months ago