'বত্রিশ সিংহাসন' কার রচনা?
A
মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার
B
রামরাম বসু
C
বিদ্যাসাগর
D
রাজীব লোচন মুখোপাধ্যায়
উত্তরের বিবরণ
মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কারের রচনা - বত্রিশ সিংহাসন।
• বত্রিশ সিংহাসন:
- ‘বত্রিশ সিংহাসন' (১৮০২) মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার অনূদিত কাহিনি সংকলন।
- বাংলা গদ্যের আদিপর্বের ইতিহাসে এই রচনাটি উল্লেখযোগ্য ।
-------------------------------
• মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার:
- তিনি ছিলেন সংস্কৃত পণ্ডিত, ভাষাবিদ, লেখক।
- উইলিয়াম কেরীর সুপারিশে তিনি ১৮০১ সালের ৪ মে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ এর বাংলা বিভাগের হেড-পণ্ডিত নিযুক্ত হন।
- তিনি উনিশ শতকের প্রথম ভালো বাংলা গদ্য লেখক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন।
- এছাড়াও তিনি কাজ করেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির জজ-পণ্ডিত হিসেবে।
• তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ:
- বত্রিশ সিংহাসন,
- হিতোপদেশ,
- রাজাবলি,
- প্রবোধচন্দ্রিকা,
- বেদান্তচন্দ্রিকা ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর এবং বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago
'পাখী সব করে রব রাতি পোহাইল' পঙ্ক্তির রচয়িতা_
Created: 1 month ago
A
রামনারায়ণ তর্করত্ন
B
বিহারী লাল
C
কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার
D
মদনমোহন তর্কালঙ্কার
‘পাখী-সব করে রব, রাতি পোহাইল’— এই চরণটির স্রষ্টা মদনমোহন তর্কালঙ্কার, যিনি একাধারে কবি এবং সমাজসেবক হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
• পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার বিল্বগ্রামে জন্মগ্রহণকারী এই গুণী মানুষটির পারিবারিক পদবী ছিল ‘চট্টোপাধ্যায়’। তবে তিনি তর্কবিদ্যায় পাণ্ডিত্যের জন্য ‘তর্কালঙ্কার’ উপাধি লাভ করে সেই নামেই অধিক পরিচিতি অর্জন করেন।
• তিনি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সহায়তায় ১৮৪৭ সালে ‘সংস্কৃত-যন্ত্র’ নামে একটি মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন। এই ছাপাখানা থেকেই প্রথমবারের মতো ভারতচন্দ্র রায়গুণাকরের ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্যগ্রন্থ আকারে প্রকাশিত হয়।
• কাব্যপ্রতিভার স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি সংস্কৃত কলেজ থেকে ‘কাব্যরত্নাকর’ উপাধিও লাভ করেন।
• তাঁর কিছু উল্লেখযোগ্য মৌলিক সাহিত্যকর্মের মধ্যে রয়েছে — রসতরঙ্গিণী এবং বাসবদত্তা।
• ১৮৫৮ সালের ৯ই মার্চ কলেরায় আক্রান্ত হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
তাঁর একটি বিখ্যাত কবিতা হলো ‘পাখী সব করে রব’, যেখানে ভোরবেলার প্রকৃতি, জীবনের গতি ও শিক্ষার প্রেরণা তুলে ধরা হয়েছে।
পাখী-সব করে রব, রাতি পোহাইল।
কাননে কুসুমকলি, সকলি ফুটিল।
রাখাল গরুর পাল, ল’য়ে যায় মাঠে।
শিশুগণ দেয় মন, নিজ নিজ পাঠে।
তথ্যসূত্র: বাংলা পিডিয়া এবং ‘পাখী সব করে রব’ কবিতা।

0
Updated: 1 month ago
‘বাংলা ভাষার উদ্ভব ও বিকাশ’ গ্রন্থের রচয়িতার নাম-
Created: 1 month ago
A
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
B
সুনীতিকুমার
C
বিদ্যাপতি
D
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ইংরেজিতে একটি বই লিখেন ‘বাঙলা ভাষার উৎপত্তি ও বিকাশ’ নামে। ইংরেজিতে এই গ্রন্থটির নাম হলো: ‘The Origin and Development of the Bengali Language’। সংক্ষেপে এটিকে বলা হয় ODBL এবং এটি ১৯২৬ সালে প্রকাশিত।

0
Updated: 1 month ago
'বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত' কার রচনা?
Created: 2 months ago
A
মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ্
B
মুহাম্মদ আবদুল হাই
C
মুনীর চৌধুরী
D
মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্: একজন জ্ঞানতাপস ভাষাবিদ ও সাহিত্যসাধক
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ (১৮৮৫–১৯৬৯) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের এক অসামান্য বাঙালি মনীষী—একাধারে ভাষাবিদ, শিক্ষক, দার্শনিক এবং বহুভাষা-জ্ঞানসম্পন্ন বিদ্বান।
১৮৮৫ সালের ১০ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনার পেয়ারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এই প্রতিভাধর ব্যক্তি, যিনি পরবর্তীতে 'জ্ঞানতাপস' উপাধিতে সমাদৃত হন। তাঁকে অনেকে 'চলিষ্ণু অভিধান' নামেও আখ্যায়িত করেন, তাঁর বিস্তৃত জ্ঞান ও পাণ্ডিত্যের কারণে।
ড. শহীদুল্লাহ্ ১৯৫৫ থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ও সংস্কৃত বিভাগের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁকে ‘প্রফেসর ইমেরিটাস’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি—এই তিনটি ক্ষেত্রেই তাঁর প্রভাব ছিল অসামান্য। তিনি বহু গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ রচনা করেছেন এবং সম্পাদনার কাজেও রেখেছেন অবদান। ‘আল-ইসলাম’ পত্রিকার সহকারী সম্পাদক এবং ‘বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকা’র যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে তিনি তার সাহিত্যিক বিচক্ষণতা প্রমাণ করেছেন। তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় মুসলিম বাংলার প্রথম শিশুপত্রিকা ‘আঙুর’, যা ছিল একটি নতুন দিগন্তের সূচনা। পাশাপাশি তিনি সম্পাদনা করেন ‘দি পীস’ (ইংরেজি মাসিক), ‘বঙ্গভূমি’ (বাংলা মাসিক) এবং ‘তকবীর’ (পাক্ষিক) পত্রিকা।
বাংলা ভাষা ও জাতিসত্তা নিয়ে তাঁর চিন্তা ছিল গভীর এবং মানবিক। ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে তাঁর এক বিখ্যাত উক্তি:
“আমরা হিন্দু বা মুসলমান যেমন সত্য, তার চেয়ে বেশি সত্য আমরা বাঙালি।”
এই বক্তব্য তাঁর অসাম্প্রদায়িক ও প্রগতিশীল মননচর্চার প্রতিফলন।
তাঁর রচনার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ ‘বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত’, যা ১৯৫৯ সালে প্রকাশিত হয়। এটি বাংলা ভাষার উৎস ও বিকাশ নিয়ে গবেষণালব্ধ একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনাগুলোর মধ্যে রয়েছে:
-
সিন্দবাদ সওদাগরের গল্প
-
ভাষা ও সাহিত্য
-
বাঙ্গালা ব্যাকরণ
-
দীওয়ান-ই-হাফিজ
-
শিকওয়াহ ও জওয়াব-ই-শিকওয়াহ
-
রুবাইয়াত-ই-উমর খয়্যাম
-
Essays on Islam
-
আমাদের সমস্যা
-
পদ্মাবতী
-
বাংলা সাহিত্যের কথা (২ খণ্ড)
-
বিদ্যাপতি শতক
-
বাংলা আদব কী তারিখ
-
বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত
-
কুরআন শরীফ
-
অমরকাব্য
-
সেকালের রূপকথা
তাঁর সম্পাদিত আঞ্চলিক ভাষার অভিধান এবং ড. মুহম্মদ আবদুল হাই-এর সঙ্গে যৌথভাবে রচিত “Traditional Culture in East Pakistan” (১৯৬১) গ্রন্থ দুটি গবেষণাক্ষেত্রে অনন্য অবদান হিসেবে বিবেচিত।
উৎস: বাংলাপিডিয়া এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 2 months ago