বাংলাদেশে বসবাসরত কোন নৃগোষ্ঠীর মাতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা রয়েছে?
A
চাকমা
B
মারমা
C
গারো
D
সাঁওতাল
উত্তরের বিবরণ
গারো নৃগোষ্ঠী বাংলাদেশের অন্যতম ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী। এরা মূলত উত্তর-মধ্য এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় বসবাস করে, পাশাপাশি ভারতের মেঘালয় রাজ্যেও তাদের বসতি রয়েছে। নৃ-বৈজ্ঞানিক দিক থেকে তারা মঙ্গোলীয় জাতির তিব্বতি-বর্মী শাখার অন্তর্ভুক্ত।
-
বসবাস: টাঙ্গাইল, জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, সিলেট ও গাজীপুর।
-
ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা: ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া; নেত্রকোনার দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা; শেরপুরের নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী; টাঙ্গাইলের মধুপুর।
-
নৃ-বিজ্ঞান অনুযায়ী: মঙ্গোলীয় জাতির তিব্বতি-বর্মী শাখার বোড়ো উপশাখা।
-
সমাজব্যবস্থা: মাতৃতান্ত্রিক।
-
উত্তরাধিকারী কন্যা: নক্না।
-
আত্মপরিচয়: আচিক্ মান্দে।
-
প্রধান গোত্র: সাংমা, মারাক, মোমিন, শিরা ও আরেং।
-
প্রধান ধর্ম: খ্রিস্টধর্ম (ব্যাপ্টিস্ট ও ক্যাথলিক সম্প্রদায়)।
-
প্রধান উৎসব: ওয়ানগালা (ধান কাটার উৎসব, ফসল উৎসব)।
-
তুলনামূলকভাবে: চাকমা, মারমা ও সাঁওতাল সমাজব্যবস্থা পিতৃতান্ত্রিক।
আদি ইতিহাস
-
আদি বাসভূমি ছিল চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সিনকিয়াং প্রদেশ।
-
পরবর্তীতে তারা তিব্বত, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং বাংলাদেশে বিস্তার লাভ করে।
-
প্রায় ৪ থেকে ৪.৫ হাজার বছর আগে গারো পাহাড়ে বসতি স্থাপন করে।
-
সর্বশেষ তারা ময়মনসিংহ অঞ্চলে এসে আশ্রয় নেয় এবং সেখানে ক্ষুদ্র সামন্তরাজ্য প্রতিষ্ঠা করে।
0
Updated: 1 month ago
শহিদ আসাদ দিবস কোনটি?
Created: 1 month ago
A
১৯ জানুয়ারি
B
২০ জানুয়ারি
C
২৬ জানুয়ারি
D
১৪ জানুয়ারি
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে শহিদ আসাদ একটি গুরুত্বপূর্ণ নাম। তার আত্মত্যাগ গণঅভ্যুত্থানকে আরও বেগবান করেছিল এবং আন্দোলনের গতি ত্বরান্বিত করেছিল। এই দিনটি স্মরণে প্রতিবছর শহিদ আসাদ দিবস পালিত হয়।
-
২০ জানুয়ারি শহিদ আসাদ দিবস পালন করা হয়।
-
১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের সময় এই দিনে মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান (আসাদ) পুলিশের গুলিতে শহীদ হন।
-
সেদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশ গুলি চালায়।
-
শহিদ আসাদ ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের ছাত্র।
0
Updated: 1 month ago
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন UNMISS কোথায় কার্যরত?
Created: 1 month ago
A
দক্ষিণ সুদান
B
গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র
C
সাইপ্রাস
D
লেবানন
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন (United Nations Peacekeeping Mission)
-
সংজ্ঞা: সংঘাতপ্রবণ দেশগুলোতে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা এবং মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য জাতিসংঘ পরিচালিত আন্তর্জাতিক উদ্যোগ।
-
প্রধান লক্ষ্য:
১. সংঘর্ষমুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা।
২. মানবাধিকার রক্ষা করা।
৩. রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সহায়তা করা।
৪. যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে পুনর্গঠন কার্যক্রম পরিচালনা।
চলমান মিশনসমূহ:
-
আঞ্চলিক ভিত্তিতে: আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, এশিয়া
-
মিশনের উদাহরণ:
১. MINURSO – পশ্চিম সাহারা
২. MINUSCA – মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র
৩. MONUSCO – গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র
৪. UNDOF – গোলান হাইটস
৫. UNFICYP – সাইপ্রাস
৬. UNIFIL – লেবানন
৭. UNISFA – আবিয়েই
৮. UNMIK – কসোভো
৯. UNMISS – দক্ষিণ সুদান
১০. UNMOGIP – ভারত ও পাকিস্তান
১১. UNTSO – মধ্যপ্রাচ্য
মূল উদ্দেশ্য:
-
সংঘাতময় অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও সশস্ত্র পক্ষদের মধ্যে যুদ্ধবিরতি বা শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন।
-
যুদ্ধবিধ্বস্ত জনগণের জন্য মানবিক সাহায্য পৌঁছে দেওয়া।
-
আঞ্চলিক সরকারের সহায়তায় রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।
-
অবকাঠামো পুনর্নির্মাণ, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও অন্যান্য পুনর্গঠন কার্যক্রম পরিচালনা।
ইতিহাস:
-
শুরু: ১৯৪৮ সালে
-
প্রথম মিশন: United Nations Truce Supervision Organization (UNTSO)
-
প্রেক্ষাপট: ১৯৪৮ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ; লক্ষ্য ছিল যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা এবং চুক্তি পালন মনিটর করা।
0
Updated: 1 month ago
’শিখা চিরন্তন’ কোথায় অবস্থিত?
Created: 1 month ago
A
ঢাকা সেনানিবাস
B
বঙ্গভবন
C
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে
D
গণভবন
শিখা চিরন্তন
-
প্রতিষ্ঠা: ১৯৯৭ সালের ২৬শে মার্চ
-
অবস্থান: ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে
-
উদ্দেশ্য: মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী বীর শহিদদের অমর স্মৃতি চিরজাগ্রত রাখা
-
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট:
-
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ শেখ মুজিবুর রহমান এখানে স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দিয়েছিলেন
-
১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে
-
-
উল্লেখযোগ্যতা: বাংলাদেশের স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী উপলক্ষে স্থাপিত
0
Updated: 1 month ago