কে সর্বপ্রথম বাংলা টাইপ সহযোগে বাংলা ব্যাকরণ মুদ্রণ করেন?
A
স্যার উইলিয়াম জোনস্
B
স্যার উইলিয়াম ক্যারী
C
রাজীব লোচন মুখোপাধ্যায়
D
ব্রাসি হ্যালহেড
উত্তরের বিবরণ
১৭৭৮ সালে নাথানিয়াল ব্রাসি হ্যালহেড বাংলা ভাষার ব্যাকরণ A Grammer of the Bengal Language বাংলা টাইপ সহযোগে মুদ্রণ করেন।
- এ গ্রন্থেই প্রথম বাংলা হরফ মুদ্রিত হয়।
- গ্রন্থটি ইংরেজীতে রচিত হলেও এর কিছু উদাহরণে বাংলা হরফ ব্যবহার করা হয়।
- নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে হ্যালহেডই প্রথম বাংলা ব্যাকরণ রচনা করেন।
উৎস: বাংলাপিডিয়া; ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 1 month ago
'জ্বর' শব্দের দ্বিরুক্তিতে কোন অর্থ প্রকাশ পায়?
Created: 2 weeks ago
A
সামান্য
B
আধিক্য
C
আতিশয্য
D
অনুরূপ
দ্বিরুক্ত শব্দ
-
সংজ্ঞা: কোনো শব্দ, পদ বা অনুকার শব্দ একবার ব্যবহার করলে যে অর্থ প্রকাশ করে, তা দুইবার ব্যবহার করলে অন্য কোনো সম্প্রসারিত বা বিশেষ অর্থ প্রকাশ করে। এইভাবে পরপর দুইবার ব্যবহৃত শব্দকে দ্বিরুক্ত বলা হয়।
উদাহরণ:
-
'জ্বর' → জ্বর জ্বর (সামান্য অর্থ প্রকাশ পায়)
বিশেষ্য পদের দ্বিরুক্তির অর্থ:
-
আধিক্য বোঝাতে: রাশি রাশি ধান, থোকা থোকা জাম
-
সামান্য বোঝাতে: আমি আজ জ্বর জ্বর অনুভব করছি
-
পরম্পরতা বা ধারাবাহিকতা বোঝাতে: তুমি দিন দিন রোগা হয়ে যাচ্ছ
-
ক্রিয়া বিশেষণ বোঝাতে: সে ধীরে ধীরে যায়
-
অনুরূপ বোঝাতে: তার সঙ্গী-সাথী কেউ নেই
-
আগ্রহ বোঝাতে: সে মা মা বলে কাঁদছে
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ); মাধ্যমিক বাংলা দ্বিতীয় পত্র, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 2 weeks ago
নিচের কোনটি গুরুচণ্ডালী দোষমুক্ত?
Created: 1 week ago
A
মড়া দাহ
B
শব পোড়া
C
শবদাহ
D
শবমড়া
বাখ্যা:
গুরুচণ্ডালী দোষ ঘটে তখন, যখন তৎসম শব্দ ও দেশীয় শব্দ একত্রে ব্যবহার করা হয়। এতে শব্দশুদ্ধতার ব্যাঘাত ঘটে।
উদাহরণ:
-
শবদাহ → বিশুদ্ধ (তৎসম শব্দের সঙ্গে তৎসম শব্দ)
-
শবপোড়া → দোষযুক্ত (তৎসম “শব” + দেশীয় “পোড়া”)
-
মড়াপোড়া → বিশুদ্ধ (দেশীয় শব্দের সঙ্গে দেশীয় শব্দ)
-
মড়াদাহ → দোষযুক্ত (দেশীয় “মড়া” + তৎসম “দাহ”)
অতএব, শবদাহ গুরুচণ্ডালী দোষমুক্ত শব্দ, কারণ এটি কেবল তৎসম শব্দ দ্বারা গঠিত।

0
Updated: 1 week ago
বাংলা ভাষায় প্রথম ব্যাকরণ রচনা করেন কে?
Created: 1 month ago
A
অক্ষয় দত্ত
B
মার্শম্যান
C
ব্রাশি হ্যালহেড
D
রাজা রামমোহন
গৌড়ীয় ব্যাকরণ ও রাজা রামমোহন রায়
গৌড়ীয় ব্যাকরণ
রামমোহন রায়ের লেখা ‘গৌড়ীয় ব্যাকরণ’ হলো বাংলা ভাষায় লেখা প্রথম বাংলা ব্যাকরণ গ্রন্থ। এটি তিনি ১৮৩৩ সালে প্রকাশ করেন, যা তাঁর জীবনের শেষ রচিত গ্রন্থও। এর আগে তিনি ইংরেজিতে “Bengali Grammar in the English Language” নামে আরেকটি ব্যাকরণ গ্রন্থ লেখেন।
এই বইটিতে বাংলা ভাষার ধ্বনি (শব্দের ধ্বনিগত গঠন), বর্ণ, উচ্চারণ, শব্দ গঠন, অক্ষর ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এটি মোট ১২টি অধ্যায়ে ভাগ করা। প্রথম অধ্যায়ে মৌলিক ধ্বনি ও উচ্চারণের ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।
পরবর্তী অধ্যায়গুলোতে বাংলা ভাষার লিঙ্গ, প্রত্যয়, বাক্য গঠন, পদান্বয় এবং ছন্দ নিয়ে আলোচনা রয়েছে।
রামমোহন রায় বাংলা ভাষার স্বতন্ত্র উচ্চারণ-পদ্ধতি নিয়ে নিজস্ব কিছু মূল্যবান মত দিয়েছেন, যা আজও গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত।
এই বইতে বাংলা ভাষার ধ্বনি ও রূপ (গঠনগত দিক) এর বিশ্লেষণভিত্তিক ব্যাকরণিক আলোচনা পাওয়া যায়।
রাজা রামমোহন রায়
রাজা রামমোহন রায়কে বাংলা নবজাগরণের পথপ্রদর্শক বা আদি পুরুষ বলা হয়। তিনি ১৭৭২ সালের ২২ মে হুগলির রাধানগর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
১৮৩০ সালে মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় আকবর তাঁকে “রাজা” উপাধি দেন এবং তাঁকে ব্রিটিশ শাসক ও পার্লামেন্টে প্রতিনিধি হিসেবে পাঠান।
তিনি ১৮২৮ সালের ২০ আগস্ট কলকাতায় প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের সহযোগিতায় ‘ব্রাহ্মসমাজ’ প্রতিষ্ঠা করেন। সমাজ সংস্কারের পাশাপাশি তিনি সাংবাদিকতাও করেছেন। “শিব প্রসাদ রায়” নামে তিনি একটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশ করতেন।
রামমোহন রায় প্রায় ৩০টি গ্রন্থ রচনা করেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনাগুলোর মধ্যে রয়েছে:
-
বেদান্তগ্রন্থ
-
বেদান্তসার
-
ভট্টাচার্যের সহিত বিচার
-
গোস্বামীর সহিত বিচার
-
সহমরণ বিষয়ক প্রবর্তক ও নিবর্তকের সম্বাদ
-
গৌড়ীয় ব্যাকরণ
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 1 month ago