কোনটি দীনবন্ধু মিত্রের রচনা?
A
কমলে কামিনী
B
চক্ষুদান
C
বিধবা বিবাহ
D
ভদ্রার্জুন
উত্তরের বিবরণ
‘কমলে কামিনী' নাটক
- ‘কমলে কামিনী' (১৮৭৩) দীনবন্ধু মিত্রের সর্বশেষ নাটক।
- এই নাটকের পটভূমি কাছাড় অঞ্চল। চরিত্রগুলি সবই অভিজাত বংশীয় তবে দুর্বল।
- ২০ শে ডিসেম্বর ১৮৭৩ তারিখে নাটকটি ন্যাশনাল থিয়েটারে সর্বপ্রথম অভিনীত হয়।
তাঁর উল্লেখযােগ্য চরিত্র:
- রাজা,
- সমরকেতু,
- শশাঙ্কশেখর,
- গান্ধারী,
- সুশীলা,
- সুরবালা।
অন্যদিকে,
- ‘চক্ষুদান’ প্রহসনটির রচয়িতা রামনারায়ণ তর্করত্ন।
- তারাচরণ শিকদার রচিত ‘ভদ্রার্জুন’ নামক মৌলিক নাটকটি ১৮৫২ সালে প্রকাশিত হয়। ‘ভদ্রার্জুন’ ইংরেজি ও সংস্কৃতের যুক্ত আদর্শে রচিত প্রথম মৌলিক মধুরান্তিক বাংলা নাটক।
--------------------------
• দীনবন্ধু মিত্র:
- রায়বাহাদুর দীনবন্ধু মিত্র একজন নাট্যকার ছিলেন।
- ১৮৩০ সালে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার চৌবেড়িয়া গ্রামে এক দরিদ্র পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
- তাঁর পিতৃদত্ত নাম গন্ধর্বনারায়ণ।
- ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের অনুপ্রেরণায় কবিতা লিখতেন।
- তিনি কলেজে পড়ার সময়ই ঈশ্বর গুপ্তের সংস্পর্শে গিয়ে সংবাদ প্রভাকর, সাধুরঞ্জন প্রভৃতি পত্রিকায় কবিতা লিখতে শুরু করেন।
- তবে নাটক ও প্রহসন লিখেই তিনি সর্বাধিক খ্যাতি অর্জন করেন।
- নীলদর্পণ তাঁর শ্রেষ্ঠ নাটক এবং শ্রেষ্ঠ রচনাও।
দীনবন্ধু মিত্রের কাব্যগ্রন্থ:
- দ্বাদশ কবিতা ও
- সুরধুনী কাব্য।
দীনবন্ধু মিত্র রচিত প্রহসন:
- সধবার একাদশী,
- বিয়ে পাগলা বুড়ো ও
- জামাই বারিক।
নাটক:
- লীলাবতী,
- নবীন তপস্বিনী,
- কমলে কামিনী।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর ও বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 3 months ago
দীনবন্ধু মিত্রের প্রহসন কোনটি?
Created: 3 months ago
A
বুড় শালিকের ঘাড়ে রোঁ
B
বিয়ে পাগলা বুড়ো
C
কিঞ্চিত জলযোগ
D
কল্কি অবতার
বিয়ে পাগলা বুড়ো
‘বিয়ে পাগলা বুড়ো’ হচ্ছে দীনবন্ধু মিত্রের রচিত একটি প্রহসন নাটক, যা হাস্যরসাত্মক ধারার। বাংলা সাহিত্যে এটি একটি জনপ্রিয় নাটক। বিখ্যাত সাহিত্যিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় উল্লেখ করেছেন যে, এই নাটকটি কোনো জীবিত ব্যক্তির চরিত্রকে লক্ষ্য করে রচিত হয়েছে।
১৮৭২ সালে প্রথমবার এই নাটক মঞ্চস্থ হয়। নাটকের প্রধান চরিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছেন—নসিরাম, রতা, রাজীব, রাজমণি, কেশব ও বৈকুণ্ঠ।
অন্যদিকে,
-
মাইকেল মধুসূদন দত্তের রচনা ‘বুড় শালিকের ঘাড়ে রোঁ’ ও
-
জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘কিঞ্চিৎ জলযোগ’
-
এবং দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ‘কল্কি অবতার’— এগুলোও উল্লেখযোগ্য প্রহসন নাটক।
দীনবন্ধু মিত্র সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচয়
দীনবন্ধু মিত্র (১৮৩০–১৮৭৩) ছিলেন একজন প্রতিভাবান নাট্যকার। তিনি নদীয়া জেলার চৌবেড়িয়া গ্রামে এক দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এবং পিতৃদত্ত নাম ছিল গন্ধর্বনারায়ণ।
কলেজ জীবনে তিনি ঈশ্বর গুপ্তের প্রভাবে ‘সংবাদ প্রভাকর’, ‘সাধুরঞ্জন’সহ বিভিন্ন পত্রিকায় কবিতা প্রকাশ শুরু করেন, তবে নাটক ও প্রহসনে তার খ্যাতি সর্বাধিক।
তার উল্লেখযোগ্য রচনা সমূহ:
-
‘নীলদর্পণ’ (১৮৬০) — যা তার শ্রেষ্ঠ নাটক হিসেবে বিবেচিত, এতে সমকালের নীলচাষিদের শোষণ ও শাসকদের পক্ষপাতিত্বের চিত্রায়ন করা হয়েছে। এই নাটক সমাজে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল এবং কৃষকদের বিদ্রোহকে উৎসাহিত করেছিল।
-
‘নবীন তপস্বিনী’ (১৮৬৩) — এই নাটকে দুটি ভিন্ন গল্পের মিশ্রণ রয়েছে, যদিও পুরোপুরি সমন্বিত নয়।
-
‘বিয়ে পাগলা বুড়ো’ (১৮৬৬) — বাস্তব ঘটনার অনুপ্রেরণায় রচিত একটি প্রহসন।
-
‘লীলাবতী’ (১৮৬৭) — নাটকটি ততটা সাফল্য পায়নি।
-
‘কমলে কামিনী’ (১৮৮৩) — তার শেষ রচনা, যা রোমান্টিক নাটক হিসেবে স্বীকৃত।
সূত্র
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর
-
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহাবুবুল আলম
-
বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 3 months ago
'নিমচাঁদ, কেনারাম' - কোন সাহিত্যকর্মের চরিত্র?
Created: 3 weeks ago
A
নবীন তপস্বিন
B
কমলে কামিনী
C
নীল দর্পন
D
সধবার একাদশী
‘সধবার একাদশী’ নাটক:
রচয়িতা: দীনবন্ধু মিত্র
-
প্রকাশিত: ১৮৬৬ খ্রিষ্টাব্দ
-
এটি উনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগের সামাজিক নাটক, যেখানে যুবকদের জীবনে সুরাপান ও বেশ্যাবৃত্তির ফলে সৃষ্ট বিপর্যয়ের কাহিনী উপস্থাপন করা হয়েছে।
-
নাটকের উল্লেখযোগ্য চরিত্র: নিমচাঁদ, কেনারাম, সৌদামিনী, গিন্নী, কাঞ্চন ইত্যাদি।
দীনবন্ধু মিত্র:
-
জন্ম: ১৮৩০ খ্রিষ্টাব্দ
-
সাহিত্যজীবনের শুরু কবিতা দিয়ে হলেও নাট্যকার হিসেবে তিনি বেশি খ্যাত।
-
তিনি ইংরেজি শিক্ষিত নব্য যুবকদের মদ্যপান ও বারবণিতা ব্যঙ্গ করেছেন, বিশেষ করে ‘সধবার একাদশী’ নাটকে।
-
মৃত্যু: ১লা নভেম্বর, ১৮৭৩
উল্লেখযোগ্য নাটকসমূহ: নীল দর্পন, নবীন তপস্বিন, কমলে কামিনী
0
Updated: 3 weeks ago
গোলক বসুকে সাধুচরণ বলে 'কাঙ্গালের কথা বাসি হলে ফলে' কারণ-
Created: 2 weeks ago
A
গোলক বসু নীল চাষে রাজি হয়নি
B
সাধুচরণের পরামর্শে দেশত্যাগ করেনি
C
নীলকরদের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলেনি
D
ছেলে নবীন মাধবকে শহরে পাঠায়নি
উক্ত অংশটি দীনবন্ধু মিত্রের ‘নীলদর্পণ’ নাটক থেকে গৃহীত, যেখানে সাধু চরিত্রের মুখে বলা এই সংলাপে তৎকালীন নীলচাষীদের দুর্দশা ও অসহায়তার চিত্র ফুটে উঠেছে। এটি মূলত বাংলার কৃষকশ্রেণির উপর ইংরেজ নীলকরদের শোষণ ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে এক ব্যঙ্গাত্মক প্রতিবাদ।
-
“আমি তখনই বলেছিলাম, কর্তা মহাশয় আর এদেশে থাকা নয়” — এই কথায় সাধুর দূরদর্শিতা ও অভিজ্ঞতার বোধ প্রকাশ পেয়েছে; সে আগেই অনুধাবন করেছিল যে, দেশে থাকা বিপদের কারণ হবে।
-
“তা আপনি শুনিলেন না” — এতে কর্তাদের অবিবেচনা ও অহংকারের ইঙ্গিত রয়েছে, যারা সময়মতো সতর্কতা অবলম্বন করেননি।
-
“কাঙ্গালের কথা বাসি হলে খাটে” — এই প্রবাদবাক্যটি এখানে গভীর ব্যঙ্গের রূপ নিয়েছে, যার মাধ্যমে লেখক জনগণের অবজ্ঞা ও শোষণের প্রতিফলন ঘটিয়েছেন।
-
সার্বিকভাবে, এই সংলাপটি নাটকের সামাজিক বাস্তবতা, নিপীড়নের চিত্র ও সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বর হিসেবে প্রতীকী অর্থ বহন করে।
0
Updated: 2 weeks ago