'মহুয়া' পালাটির রচয়িতা-
A
দ্বিজ কানাই
B
মনসুর বয়াতী
C
নয়নচাঁদ ঘোষ
D
দ্বিজ ঈশান
উত্তরের বিবরণ
'মহুয়া' পালা
• ময়মনসিংহ অঞ্চলের প্রচলিত গানগুলোকে একত্রে মৈমনসিংহ গীতিকা বলা হয়।
• মৈমনসিংহ গীতিকায় ১০টি গীতিকা ও রূপকথা স্থান পেয়েছে।
• এদের মধ্যে 'মহুয়া' পালাটিতে ময়মনসিংহ গীতিকার বৈশিষ্ট্য চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে।
•'মহুয়া' পালাটির রচয়িতা- দ্বিজ কানাই।
• নমশূদ্রের ব্রাহ্মণ কবি দ্বিজ কানাই ১৬৫০ খিষ্ট্রাব্দের দিকে 'মহুয়া পালা' রচনা করেন বলে অধ্যাপক দীনেশচন্দ্রের ধারণা।
• এই পালার কাহিনীর সঙ্গে কবির ব্যক্তিগত প্রেমবঞ্চনার বেদনার সাদৃশ্য রয়েছে।
মহুয়ার পালার প্রধান কয়েকটি চরিত্র:
- মহুয়া,
- নদের চাঁদ,
- হুমরা বেদে,
- সাধু।
মহুয়া পালার পঙ্ক্তি:
'ছয় মাসের শিশু কইন্যা পরমা সুন্দরী।।
রাত্রি নিশাকালে হুমরা তারে করল চুরী।।'
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 1 month ago
'চতুর্দশপদী কবিতাবলী' কার রচনা?
Created: 2 months ago
A
হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
B
নবীনচন্দ্র সেন
C
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
D
রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়
চতুর্দশপদী কবিতাবলী: বাংলা সনেটের প্রথম সংকলন
বাংলা সাহিত্যে সনেটচর্চার সূচনা যাঁর হাতে, তিনি মাইকেল মধুসূদন দত্ত। তাঁর অমর কাব্যগ্রন্থ ‘চতুর্দশপদী কবিতাবলী’ বাংলা ভাষায় প্রথম সনেট সংকলন হিসেবে স্বীকৃত।
-
এই কাব্যগ্রন্থে মোট ১০২টি সনেট সংকলিত হয়েছে।
-
এটি ১৮৬৬ সালের ১লা আগস্ট গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।
-
কাব্যগুলোর বেশিরভাগই তিনি বিদেশে অবস্থানকালে রচনা করেন।
-
রচনাশৈলীতে তিনি শেক্সপিয়রীয় সনেটরীতি অনুসরণ করলেও কিছু কিছু কবিতায় পেত্রার্কীয় আদর্শের ছায়া দেখা যায়।
-
এই কবিতাগুলি চতুর্দশ পংক্তি বিশিষ্ট, এবং এতে মিত্রাক্ষর ও অমিত্রাক্ষর ছন্দ উভয়ই ব্যবহৃত হয়েছে।
মাইকেল মধুসূদন দত্ত: আধুনিকতার পথিকৃৎ
মাইকেল মধুসূদন দত্ত (জন্ম: ২৫ জানুয়ারি ১৮২৪, সাগরদাঁড়ি, যশোর) বাংলা সাহিত্যের একজন বিপ্লবী কবি ও নাট্যকার।
-
বাংলা সাহিত্যে সনেট এবং অমিত্রাক্ষর ছন্দ প্রবর্তনের কৃতিত্ব তাঁর।
-
প্রথমবারের মতো অমিত্রাক্ষর ছন্দের ব্যবহার করেন তাঁর নাটক ‘পদ্মাবতী’-র দ্বিতীয় অঙ্কের দ্বিতীয় গর্ভাঙ্কে।
-
‘তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য’ বাংলা সাহিত্যে সম্পূর্ণ অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ।
-
তাঁর প্রথম রচিত কাব্যগ্রন্থ ছিল ‘The Captive Lady’, যা ইংরেজি ভাষায় রচিত।
তাঁর উল্লেখযোগ্য বাংলা কাব্যগ্রন্থগুলো হলো:
-
তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য
-
মেঘনাদবধ কাব্য
-
ব্রজাঙ্গনা কাব্য
-
বীরাঙ্গনা কাব্য
-
চতুর্দশপদী কবিতাবলী
তথ্যসূত্র:
<< বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর
<< বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 months ago
'তাজকেরাতুল আওলিয়া' অবলম্বনে 'তাপসমালা' কে রচনা করেন?
Created: 1 month ago
A
মুন্সী আব্দুল লতিফ
B
কাজী আকরাম হোসেন
C
গিরিশচন্দ্র সেন
D
শেখ আব্দুল জব্বার
গিরিশচন্দ্র সেন
- নরসিংদী জেলার পাঁচদোনা গ্রামে তাঁর জন্ম।
- তিনি ছিলেন ধর্মবেত্তা ও অনুবাদক।
- তিনি 'সুলভ সমাচার' ও 'বঙ্গবন্ধু' পত্রিকার সহযোগী সম্পাদক এবং 'মাসিক মহিলা' পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
- কেশবচন্দ্র সেন ও বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর প্রভাবে ১৮৭১ সালে তিনি ব্রাহ্মধর্মে দীক্ষিত হন।
- কুরআনের বঙ্গানুবাদ বাংলা সাহিত্যে তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ কীর্তি।
- বাংলা ভাষায় প্রথম কুরআন শরীফের পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ করেন তিনি।
- সকলের নিকট তিনি ‘ভাই গিরিশচন্দ্র’ নামে পরিচিত ছিলেন।
তাঁর রচিত গ্রন্থ:
• তাপসমালা:
- গিরিশচন্দ্রের বিখ্যাত গ্রন্থ তাপসমালা।
- এটি ৯৬ জন ওলি-আউলিয়ার জীবনচরিত, যা শেখ ফরীদুদ্দীন আত্তারের ফারসি ভাষায় রচিত তাজকেরাতুল আত্তলিয়ার ভাবাদর্শে রচিত।
• তত্ত্বরত্নমালা:
- গিরিশচন্দ্রের উল্লেখযোগ্য আরেকটি গ্রন্থ হলো তত্ত্বরত্নমালা।
- এটি শেখ ফরীদুদ্দীন আত্তারের মানতেকুত্তায়েব ও মওলানা জালালউদ্দীন রূমীর মসনবী শরীফ নামক প্রখ্যাত ফারসি গ্রন্থদ্বয় থেকে সংকলিত।
- এতে নীতিকথা ও শিক্ষণীয় বিষয় ছোট ছোট গল্পের আকারে রসাত্মকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়াও তিনি হাদিস-পূর্ব বিভাগ শিরোনামে মিশ্কাত শরীফের প্রায় অর্ধাংশের অনুবাদ প্রকাশ করেন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর ও বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago
কোনটি রবীন্দ্রনাথের রচনা?
Created: 2 months ago
A
চতুরঙ্গ
B
চতুষ্কোণ
C
চতুর্দশী
D
চতুষ্পাঠী
চতুরঙ্গ উপন্যাস পরিচিতি
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও শেষ উপন্যাস 'চতুরঙ্গ' প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯১৬ সালে। এটি সাধু ভাষায় রচিত হওয়ায় রবীন্দ্রনাথের উপন্যাসগুলোর মধ্যে এর ভাষা ও ধরণ কিছুটা ভিন্ন এবং বিশেষভাবে সমালোচকদের মধ্যে বিভ্রান্তির কারণ হয়েছিল।
'চতুরঙ্গ' উপন্যাসের অধ্যায়গুলি প্রথমে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল ১৩২১ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত, মাসিক সাহিত্য পত্রিকা ‘সবুজপত্র’-এ। তবে সেই সময় পাঠকরা উপন্যাসটির চারটি অংশকে আলাদা আলাদা গল্প ভেবে থাকতেন, কারণ প্রতিটি অধ্যায় আলাদা গল্পের শিরোনামে প্রকাশ পেতো।
উপন্যাসের চারটি প্রধান অংশ ও চরিত্র
উপন্যাসের নামের মতোই এর কাঠামো চতুরঙ্গ অর্থাৎ চারটি অংশে বিভক্ত:
-
জ্যাঠামশায়
-
শচীশ
-
দামিনী
-
শ্রীবিলাস
এই চারটি অংশের প্রতিটি চরিত্রই উপন্যাসের মূল চালিকাশক্তি। 'সবুজপত্র' পত্রিকায় যখন এই অধ্যায়গুলো প্রকাশ পেত, তখন পাঠকরা ভাবতেন আলাদা আলাদা গল্প পাচ্ছেন। তবে পরে জানা যায় এগুলো মূলত একই কাহিনীর বিভিন্ন দিক।
প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্য
-
‘চতুরঙ্গ’ নামক একটি সাহিত্য পত্রিকা ছিল, যা হুমায়ুন কবির সম্পাদনা করতেন।
-
অন্যদিকে, বাংলা সাহিত্যে 'চতুষ্কোণ' নামে একটি উপন্যাস রয়েছে, যা ১৯৪৮ সালে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত।
-
এছাড়াও, বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়ের ১৯৪৭ সালের কাব্যগ্রন্থ ‘চতুর্দশী’ বাংলায় উল্লেখযোগ্য।
উৎস:
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর
-
'চতুরঙ্গ' — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

0
Updated: 2 months ago