ন্যাটো কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
A
১৯৪৬ সাল
B
১৯৪৮ সাল
C
১৯৪৯ সাল
D
১৯৫১ সাল
উত্তরের বিবরণ
ন্যাটো (NATO) বা উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থা হলো একটি রাজনৈতিক ও সামরিক জোট, যা সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সমন্বিত প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
-
প্রতিষ্ঠা: ৪ এপ্রিল, ১৯৪৯
-
প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া: উত্তর আটলান্টিক চুক্তি বা ওয়াশিংটন চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে
-
সদস্য দেশ: বর্তমানে ৩২টি দেশ (আগস্ট, ২০২৫ অনুযায়ী)
-
মূল নীতি: সদস্য দেশগুলোর মধ্যে যে কোনো আক্রমণের বিরুদ্ধে একযোগে প্রতিরোধ করা
-
সিদ্ধান্ত গ্রহণ: ন্যাটোর প্রতিটি সিদ্ধান্ত সম্মিলিতভাবে গৃহীত হয়
0
Updated: 1 month ago
দুই বা ততোধিক প্রতিদ্বন্দ্বী বৃহৎ শক্তিসমূহের মাঝখানে অবস্থিত দেশকে বলা হয়?
Created: 3 days ago
A
স্থলবেষ্টিত রাষ্ট্র
B
নিরপেক্ষ রাষ্ট্র
C
বাফার রাষ্ট্র
D
জিরো সাম রাষ্ট্র
বাফার রাষ্ট্র বলতে এমন একটি দেশকে বোঝায়, যা দুই বা ততোধিক পরাশক্তি বা প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্রের মধ্যে অবস্থিত এবং তাদের সরাসরি সংঘাত বা প্রভাব বিস্তার রোধে একধরনের ভূরাজনৈতিক সীমানা (Geopolitical Cushion) হিসেবে কাজ করে। এই রাষ্ট্রগুলো সাধারণত সামরিক বা রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখে, যাতে বৃহৎ শক্তিগুলোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা যায়।
মূল তথ্যসমূহ:
-
সংজ্ঞা: দুই প্রতিদ্বন্দ্বী বৃহৎ শক্তির মধ্যে অবস্থিত এমন রাষ্ট্র, যা তাদের মধ্যে সংঘাত কমাতে বা প্রভাবের ভারসাম্য রক্ষা করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে, তাকে বাফার রাষ্ট্র (Buffer State) বলা হয়।
-
উদাহরণ (ইউরোপ): বেলজিয়াম ইউরোপের একটি বিখ্যাত বাফার রাষ্ট্র, যা ইতিহাসে ফ্রান্স ও জার্মানির মধ্যে ভূরাজনৈতিক সংঘাতের কেন্দ্রবিন্দু ছিল। এজন্য একে “ইউরোপের ককপিট (Cockpit of Europe)” বলা হয়, কারণ এখানে বহুবার ইউরোপীয় শক্তিগুলোর যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে।
-
উদাহরণ (এশিয়া): নেপাল দক্ষিণ এশিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বাফার রাষ্ট্র, যা ভারত ও চীনের মধ্যবর্তী অবস্থানে থেকে দীর্ঘদিন ধরে দুই পরাশক্তির মধ্যে কূটনৈতিক ভারসাম্য রক্ষা করে আসছে।
-
কৌশলগত গুরুত্ব: বাফার রাষ্ট্রগুলো সাধারণত রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা ও শান্তিপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করে, যাতে প্রতিবেশী শক্তিগুলোর প্রভাব থেকে নিজেদের নিরাপত্তা বজায় রাখতে পারে।
সার্বিকভাবে, বাফার রাষ্ট্রের ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও ভূরাজনীতিতে একটি কৌশলগত ভারসাম্যের প্রতীক, যা শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর প্রতিযোগিতার মাঝেও স্থিতিশীলতা ও শান্তি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
0
Updated: 3 days ago
নৈরাজ্য যে তত্ত্বের মূল উপাদান সেটি হচ্ছে-
Created: 3 days ago
A
নয়া উদারতাবাদ
B
গঠনবাদ
C
বাস্তববাদ
D
নব্য মার্কসবাদ
Anarchy বা নৈরাজ্যবাদ আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বাস্তববাদ (Realism) তত্ত্বের একটি মৌলিক ধারণা, যা বৈশ্বিক রাজনীতির প্রকৃতি ব্যাখ্যায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এখানে “নৈরাজ্য” বলতে বিশৃঙ্খলা নয়; বরং বোঝানো হয় কেন্দ্রীয় শাসন বা সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের অনুপস্থিতি। অর্থাৎ, আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় এমন কোনো সংস্থা বা সরকার নেই যা সব রাষ্ট্রকে বাধ্যতামূলকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। ফলে প্রতিটি রাষ্ট্রকে নিজেদের অস্তিত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বনির্ভর (Self-help) হতে হয়।
-
মূল ধারণা: আন্তর্জাতিক রাজনীতি একটি অরাজক (Anarchic) ব্যবস্থা, যেখানে রাষ্ট্রই প্রধান অভিনেতা এবং তারা নিজেদের স্বার্থে কাজ করে।
-
শক্তিসাম্য (Balance of Power): এই নৈরাজ্যপূর্ণ ব্যবস্থায় কোনো কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ না থাকায় রাষ্ট্রগুলো তাদের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য শক্তি বৃদ্ধি ও জোট গঠনে মনোযোগী হয়, যাতে এক রাষ্ট্র অন্য রাষ্ট্রকে প্রভাবিত বা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে।
-
বাস্তববাদের দৃষ্টিকোণ: বাস্তববাদীরা বিশ্বাস করেন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক মূলত ক্ষমতা ও স্বার্থনির্ভর; নৈতিকতা বা আদর্শ এখানে গৌণ। তাই নৈরাজ্য রাষ্ট্রগুলোকে নিজেদের সামরিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বাধ্য করে।
-
উদাহরণ: শীতল যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে শক্তিসাম্য রক্ষা নৈরাজ্যপূর্ণ আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার একটি বাস্তব প্রতিফলন।
সর্বোপরি, Anarchy আন্তর্জাতিক রাজনীতির প্রাকৃতিক অবস্থা, যেখানে প্রতিটি রাষ্ট্র নিজেদের নিরাপত্তা ও টিকে থাকার স্বার্থে সচেতনভাবে কাজ করে—এবং এই ধারণাই বাস্তববাদী তত্ত্বের মূল ভিত্তি গঠন করে।
0
Updated: 3 days ago
ANZUS চুক্তি কত সালে স্বাক্ষরিত হয়?
Created: 1 month ago
A
১৯৪৬ সালে
B
১৯৫০ সালে
C
১৯৫১ সালে
D
১৯৫২ সালে
ANZUS একটি সামরিক জোট, যা শীতল যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে গঠিত হয়েছিল। এটি সদস্য দেশগুলোর মধ্যে নিরাপত্তা সহযোগিতা ও পারস্পরিক প্রতিরক্ষার ভিত্তি স্থাপন করে।
-
ANZUS হলো একটি সামরিক জোট।
-
চুক্তি স্বাক্ষরের তারিখ: ১ সেপ্টেম্বর, ১৯৫১।
-
কার্যকর হওয়ার বছর: ১৯৫২।
-
সদস্য দেশ: অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
-
স্বাক্ষরের স্থান: সান ফ্রান্সিসকো, ক্যালিফোর্নিয়া।
-
প্রধান লক্ষ্য: সদস্য রাষ্ট্রগুলোর বিরুদ্ধে কোনো বৈদেশিক আগ্রাসন প্রতিহত করা এবং পারস্পরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
0
Updated: 1 month ago