কোন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে Uniting for peace resolution গৃহীত হয়েছিল?
A
ভিয়েতনাম যুদ্ধ
B
কোরীয় যুদ্ধ
C
পাক-ভারত যুদ্ধ
D
ইজরাইল- ফিলিস্তিন
উত্তরের বিবরণ
কোরীয় যুদ্ধ শীতল যুদ্ধকালীন এক গুরুত্বপূর্ণ সংঘাত, যা কোরীয় উপদ্বীপকে উত্তর ও দক্ষিণে স্থায়ীভাবে বিভক্ত করে দেয়। এতে একদিকে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও চীনের সমর্থনপ্রাপ্ত উত্তর কোরিয়া এবং অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা মিত্রদের সমর্থনপ্রাপ্ত দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
-
যুদ্ধকাল: ১৯৫০ থেকে ১৯৫৩ সাল।
-
বিবাদমান পক্ষ:
-
উত্তর কোরিয়া (সোভিয়েত ইউনিয়ন ও চীনের সমর্থিত)
-
দক্ষিণ কোরিয়া (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদের সমর্থিত)
-
-
জাতিসংঘের ভূমিকা:
-
৩ নভেম্বর, ১৯৫০ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ “Uniting for Peace” প্রস্তাব গ্রহণ করে, যা শান্তি প্রতিষ্ঠা ও উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা চালায়।
-
-
যুদ্ধের সমাপ্তি: ২৭ জুলাই, ১৯৫৩ সালে কোরীয় যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটে।

0
Updated: 16 hours ago
জৈন ধর্মের প্রথম তীর্থঙ্কর কে ছিলেন?
Created: 4 weeks ago
A
মহাবীর
B
নেমিনাথ
C
ঋষভনাথ
D
পার্শ্বনাথ
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক সংস্থা
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস
আন্তর্জাতিক সংস্থা
জৈনধর্ম (Jainism)
-
মূল তথ্য:
-
ভারতীয় উপমহাদেশের একটি প্রাচীন ধর্ম।
-
বিশ্বের প্রাচীনতম ধর্মমতগুলোর মধ্যে অন্যতম।
-
“জৈন” শব্দটি এসেছে সংস্কৃত “জিন” থেকে, যার অর্থ জয়ী।
-
-
ধর্মগ্রন্থ ও সম্প্রদায়:
-
প্রধান ধর্মগ্রন্থ: দ্ব্বাদশ অঙ্গ
-
প্রধান দুটি সম্প্রদায়: শ্বেতাম্বর ও দিগম্বর
-
জৈনধর্মের মূল নীতি
-
যে মানুষ আসক্তি, আকাঙ্ক্ষা, ক্রোধ, অহংকার, লোভ ইত্যাদি জয় করে পবিত্র অনন্ত জ্ঞান লাভ করেছে, তাকে জিন বলা হয়।
-
জিনদের আচরণ ও শিক্ষা অনুসরণকারীদের বলা হয় জৈন।
-
ধর্মগুরুদের বলা হয় তীর্থঙ্কর।
-
ইতিহাসে ২৪ তীর্থঙ্করের উল্লেখ রয়েছে।
-
প্রথম তীর্থঙ্কর: ঋষভনাথ
-
সর্বশেষ তীর্থঙ্কর: মহাবীর
মহাবীর ও জৈনধর্মের প্রচার
-
খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতাব্দীতে জৈনধর্মের প্রধান প্রচারক: মহাবীর (২৪তম তীর্থঙ্কর)
-
মহাবীরকে অনেক সময় ভুলবশত ধর্মপ্রবর্তক মনে করা হয়, কিন্তু তিনি শুধুমাত্র ধর্মের প্রচারক ছিলেন।
-
মহাবীরের পূর্বসূরি:
-
২৩তম তীর্থঙ্কর: পার্শ্বনাথ
-
২২তম তীর্থঙ্কর: নেমিনাথ
-
উৎস: Britannica, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় (ষষ্ঠ শ্রেণি)

0
Updated: 4 weeks ago
'UN Ocean Conference-2025' কোথায় অনুষ্ঠিত হয়েছে? (সেপ্টেম্বর, ২০২৫)
Created: 2 weeks ago
A
অস্ট্রেলিয়া
B
জার্মানি
C
স্পেন
D
ফ্রান্স
UN Ocean Conference
- ২০২৫ সালের UN Ocean Conference (তৃতীয় সম্মেলন) ৯–১৩ জুন ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়েছিল UN Ocean Conference
- ২০২৫ সালের UN Ocean Conference (তৃতীয় সম্মেলন) ৯–১৩ জুন ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়েছিল Nice, France-এ।
- এই বছরের সম্মেলনটিতে ফ্রান্স ও কোস্টারিকা সহ-আয়োজক ছিল।
- প্রথম সম্মেলন হয়: ২০১৭ সালে নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্রে।
• UN Ocean Conference এর মূল থিম ও লক্ষ্য:
- SDG ১৪: Life Below Water
- সামুদ্রিক দূষণ হ্রাস।
- অতিরিক্ত মাছ শিকার বন্ধ।
- সমুদ্র-সম্পদের টেকসই ব্যবহার।
- সমুদ্রের ৩০% এলাকা ২০৩০ সালের মধ্যে সংরক্ষণ (৩০×৩০ লক্ষ্য)।
- জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা।
- Deep-sea mining ও bottom trawling-এর মতো ক্ষতিকর কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ।
- এই বছরের সম্মেলনটিতে ফ্রান্স ও কোস্টারিকা সহ-আয়োজক ছিল।
- প্রথম সম্মেলন হয়: ২০১৭ সালে নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্রে।
• UN Ocean Conference এর মূল থিম ও লক্ষ্য:
- SDG ১৪: Life Below Water
- সামুদ্রিক দূষণ হ্রাস।
- অতিরিক্ত মাছ শিকার বন্ধ।
- সমুদ্র-সম্পদের টেকসই ব্যবহার।
- সমুদ্রের ৩০% এলাকা ২০৩০ সালের মধ্যে সংরক্ষণ (৩০×৩০ লক্ষ্য)।
- জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা।
- Deep-sea mining ও bottom trawling-এর মতো ক্ষতিকর কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ।

0
Updated: 2 weeks ago
মার্কিন গৃহযুদ্ধের সময় কে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ছিলেন?
Created: 4 weeks ago
A
ইউলিসিস এস. গ্রান্ট
B
জন টাইলার
C
আব্রাহাম লিংকন
D
টমাস জেফারসন
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক সংস্থা
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস
আব্রাহাম লিংকন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
সাম্রাজ্যের পতন
মার্কিন গৃহযুদ্ধ (American Civil War)
-
সংজ্ঞা: যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণের ১১টি রাজ্য ও বাকি যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্যগুলোর মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধ ইতিহাসে "আমেরিকার গৃহযুদ্ধ" নামে পরিচিত।
-
সময়কাল: ১২ এপ্রিল, ১৮৬১ – ২৬ মে, ১৮৬৫ (মোট প্রায় ৪ বছর)।
-
রাষ্ট্রপতি: আব্রাহাম লিংকন (১৬তম রাষ্ট্রপতি, দায়িত্বকাল: ১৮৬১ – ১৮৬৫, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত)।
যুদ্ধের মূল কারণ
-
দাসপ্রথা নিয়ে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার মধ্যে তীব্র মতবিরোধ।
-
উত্তরাঞ্চল: দাসপ্রথা বিলোপের পক্ষে।
-
দক্ষিণাঞ্চল: অর্থনীতির জন্য দাসপ্রথার উপর নির্ভরশীল।
-
১৮৬০ সালে দাসপ্রথাবিরোধী রিপাবলিকান নেতা আব্রাহাম লিংকনের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর দক্ষিণের ১১টি রাজ্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিচ্ছিন্ন হয়।
-
প্রশ্ন ছিল—দক্ষিণাঞ্চল কি স্বাধীনভাবে দাসপ্রথা চালিয়ে যেতে পারবে, নাকি কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি মানতে বাধ্য হবে।
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা
-
১৮৬১: সাউথ ক্যারোলিনার ফোর্ট সামটার (Fort Sumter) আক্রমণের মাধ্যমে গৃহযুদ্ধের সূচনা।
-
১৮৬৩: আব্রাহাম লিংকনের Emancipation Proclamation—কনফেডারেট রাজ্যগুলোতে দাসদের মুক্ত ঘোষণা করা হয়। এর ফলে যুদ্ধের লক্ষ্য দাসপ্রথা বিলোপের দিকে মোড় নেয়।
-
১৮৬৫ (এপ্রিল): ভার্জিনিয়ার Appomattox Court House-এ কনফেডারেট জেনারেল রবার্ট ই. লি ইউনিয়ন জেনারেল ইউলিসিস এস. গ্রান্টের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এর মাধ্যমে যুদ্ধ কার্যত সমাপ্ত হয়।
উৎস:
i) Encyclopaedia Britannica
ii) BBC

0
Updated: 4 weeks ago