A
ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ
B
তুলসী লাহিড়ি
C
দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
D
বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়
উত্তরের বিবরণ
ঐতিহাসিক নাটক 'সাজাহান' এর রচয়িতা- 'দ্বিজেন্দ্রলাল রায়'।
- এটি মোগল সম্রাট সাজাহানের জীবন অবলম্বনে রচিত প্রথম সার্থক ঐতিহাসিক নাটক।
• 'সাজাহান' নাটক:
- নাটকটি মোগল সম্রাট সাজাহানের জীবন কাহিনি নিয়ে রচিত ঐতিহাসিক নাটক।
- 'সাজাহান' নাটককে বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ঐতিহাসিক নাটক হিসেবে ধরা হয় ।
- নাটকটি ১৯০৯ সালে প্রকাশিত হয়।
- সম্রাট সাজাহানকে নিয়ে দ্বিজেন্দ্রলালই সর্বপ্রথম নাটক রচনা করেন।
- 'ধনধান্য পুষ্পে ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা' গানটির রচয়িতা দ্বিজেন্দ্রলাল রায়।
- গানটি তাঁর 'সাজাহান' নাটকে ছিল।
--------------------------
• দ্বিজেন্দ্রলাল রায়:
- তিনি ছিলেন কবি, নাট্যকার, সুরকার ও গীতিকার।
- তিনি ডি.এল রায় নামে পরিচিত।
- ১৮৬৩ সালের ১৯ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরে তাঁর জন্ম।
- তাঁর দুই অগ্রজ রাজেন্দ্রলাল ও হরেন্দ্রলালও সাহিত্যিক হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন।
- ছাত্রজীবনে তাঁর কাব্য 'আর্য্যগাথা' এবং বিলেতে থাকাকালে কাব্য 'Lyrics of Ind' প্রকাশিত হয়।
- ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গণজাগরণমূলক গান রচনায় তাঁর অবদান ছিল।
- ১৯১৩ সালের ১৭ মে কলকাতায় তাঁর মৃত্যু হয়।
• তাঁর রচিত সামাজিক নাটক:
- পরপারে।
- বঙ্গনারী।
- পুনর্জন্ম।
- ত্র্যহস্পর্শ।
- প্রায়শ্চিত্ত।
- আনন্দ বিদায়।
- কল্কি অবতার।
• তাঁর রচিত কয়েকটি গ্রন্থ:
- আর্য্যগাথা।
- মন্দ্র।
- আলেখ্য।
- ত্রিবেণী ইত্যাদি।
• তাঁর রচিত ঐতিহাসিক নাটক:
- তারাবাই।
- রানা প্রতাপসিংহ।
- মেবার পতন।
- নূরজাহান।
- সাজাহান।
- চন্দ্রগুপ্ত।
- সিংহল বিজয়।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর ও বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 week ago
বাংলা সাহিত্যে প্রথম মুসলিম নাট্যকার রচিত নাট্যগ্রন্থ কোনটি?
Created: 2 months ago
A
জগৎ মোহিনী
B
বসন্তকুমারী
C
আয়না
D
মোহনী প্রেমপাস
‘বসন্তকুমারী’ নাটক:
মীর মশাররফ হোসেন রচিত ‘বসন্তকুমারী’ (১৮৭৩) বাংলা সাহিত্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ নাটক। এটি মুসলমান নাট্যকার কর্তৃক রচিত প্রথম নাটক হিসেবে বিবেচিত।
নাটকটির কাহিনিতে রয়েছে—ইন্দ্রপুরের এক বৃদ্ধ রাজার যুবতী রাণী গ্রহণ, সেই রাণীর রাজার যুবক পুত্রের প্রতি আকর্ষণ, প্রেম নিবেদন, পুত্রের প্রত্যাখ্যান এবং বিমাতার প্রতিহিংসাপরায়ণ ষড়যন্ত্র—যার পরিণতিতে রাজপরিবারের সবার মৃত্যু ঘটে।
নাটকটির অপর নাম ‘বৃদ্ধস্য তরুণী ভার্যা’।
এছাড়া একই বছর মীর মশাররফ হোসেন রচিত তাঁর দ্বিতীয় নাটক ‘জমীদার দর্পণ’ প্রকাশিত হয়।
মীর মশাররফ হোসেন:
মীর মশাররফ হোসেন ছিলেন উনিশ শতকের একজন বিশিষ্ট বাঙালি মুসলমান সাহিত্যিক, যিনি উপন্যাস, নাটক ও প্রবন্ধ রচনায় বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন।
তিনি ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার লাহিনীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রাবস্থায় সংবাদ প্রভাকর ও কুমারখালির গ্রামবার্তা প্রকাশিকা-র মফঃস্বল সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করেন। পরবর্তীতে আজিজননেহার ও হিতকরী নামক দুটি পত্রিকার সম্পাদনা করেন।
তিনি ছিলেন বঙ্কিমচন্দ্রের সমসাময়িক গদ্যশিল্পী এবং বাঙালি মুসলমান সাহিত্যজগতের অগ্রদূত।
তাঁর উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম:
নাটক:
-
বসন্তকুমারী
-
জমীদার দর্পণ
-
বেহুলা গীতাভিনয়
-
টালা অভিনয়
উপন্যাস:
-
বিষাদ-সিন্ধু
আত্মজীবনীমূলক রচনা:
-
উদাসীন পথিকের মনের কথা
-
গাজী মিয়াঁর বস্তানী
-
আমার জীবনী
-
কুলসুম জীবনী
উৎস:
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর
বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 months ago
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির পটভূমিতে রচতি 'কবর' নাটকের রচয়িতা কে?
Created: 1 month ago
A
কবির চৌধুরী
B
মুনীর চৌধুরী
C
সৈদয় শামসুল হক
D
মুনতাসীর মামুন
• ‘কবর’ নাটক:
- ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে মুনীর চৌধুরী রচিত নাটক 'কবর'।
- নাটকটি লেখক জেলে থাকা অবস্থায় রচনা করেন এবং ১৯৫৩ সালে জেলের রাজবন্দিদের দ্বারা নাটকটি প্রথম অভিনীত হয়।
- নাটকটি ১৯৬৬ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।
- এটি একুশের পটভূমিতে রচিত প্রথম বাংলা নাটক।
• ‘কবর’ নাটকের কাহিনি সংক্ষেপ:
- মার্কিন নাট্যকার Irwin Shaw রচিত 'Bury The Dead' (১৯৩৬) নাটকের অনুসরণে এদেশীয় ঘটনা কেন্দ্র করে 'কবর' নাটক লেখা হয়েছে।
- 'কবর' নাটকে মিছিলে পুলিশ গুলিবর্ষণ করে শহরে কারফিউ দিয়ে লাশ গুম করতে গভীর রাতে কবরস্থানে নিয়ে যায়। পুলিশ ইন্সপেক্টর হাফিজ এবং নেতা (নাটকে তার নাম নেই) যৌথভাবে এ দায়িত্ব নেয়। কিন্তু লাশগুলো ছিন্নভিন্ন দেখে তারা ধর্মীয় প্রথা অনুসারে কবরস্থ না করে একত্রে মাটিচাপা দেবার সিদ্ধান্ত নেয়। এতে বাধা দেয় গোর-খোদক। কবরস্থানে আশ্রয় নেয়া আরেক স্বজনহারা পাগল মুর্দা ফকিরও প্রতিবাদ জানায়।
বলে: এ লাশগুলো আন্দোলনকারীর। এরা এভাবে কবরে যাবে না। লাশগুলোও তখন উঠে দাঁড়ায় এবং বলে: আমরা কবরে যাবো না। এসব দেখে মদ্যপ ইন্সপেক্টর ও নেতা ভয় পেয়ে যায়।
---------------------
• মুনীর চৌধুরী:
- মুনীর চৌধুরী ছিলেন একজন বাংলাদেশি শিক্ষাবিদ, নাট্যকার, সাহিত্য সমালোচক ও বাগ্মী।
- ১৯২৫ সালের ২৭ নভেম্বর মানিকগঞ্জ শহরে তাঁর জন্ম।
- মুনীর চৌধুরী শিক্ষা ও পেশাগত জীবনে বামপন্থী রাজনীতি ও প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
মুনীর চৌধুরীর মৌলিক নাটক:
- রক্তাক্ত প্রান্তর,
- চিঠি,
- কবর,
- দণ্ডকারণ্য।
অনুবাদ নাটক:
- কেউ কিছু বলতে পারে না,
- রূপার কৌটা ও
- মুখরা রমণী বশীকরণ।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর এবং বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago
বাংলা মৌলিক নাটকের যাত্রা শুরু হয় কোন নাট্যকারের হাতে?
Created: 1 week ago
A
মধুসূদন দত্ত
B
দীনবন্ধু মিত্র
C
জ্যোতিন্দ্রনাথ ঠাকুর
D
তারাচরণ শিকদার
বাংলা সাহিত্যে মৌলিক নাটকের সূচনা ঘটে ১৮৫২ খ্রিষ্টাব্দে, যখন তারাচরণ শিকদার রচনা করেন ‘ভদ্রার্জুন’ নামক একটি প্রহসনধর্মী নাটক। এই নাটকের মাধ্যমে বাংলা ভাষায় মৌলিক নাট্যচর্চার পথপ্রদর্শক হিসেবে আবির্ভূত হন তিনি।
একই বছরে, ১৮৫২ সালে, বাংলা সাহিত্যে প্রথম ট্রাজেডি নাটক ‘কীর্তিবিলাস’ প্রকাশিত হয়, যার রচয়িতা ছিলেন যোগেন্দ্রচন্দ্র গুপ্ত। এটি ছিল বাংলা নাটকে শোকাত্মক আবহ সৃষ্টির প্রাথমিক প্রয়াস।
এর প্রায় এক দশক পর, ১৮৬১ সালে, মাইকেল মধুসূদন দত্তের লেখনীতে জন্ম নেয় বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ট্রাজেডি নাটক ‘কৃষ্ণকুমারী’, যা সাহিত্যিক ও নাট্যপ্রেমী মহলে গভীর প্রভাব ফেলে।
তথ্যসূত্র: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, ড. মাহবুবুল আলম।

0
Updated: 1 week ago