'নেমেসিস' নাটকে নূরুল মোমেন কোন বিষয়কে তুলে ধরেছেন?
A
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ
B
ঊনপঞ্চাশের মন্বন্তর
C
বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন
D
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ
উত্তরের বিবরণ
'নেমেসিস' নাটক
- 'নেমেসিস' নুরুল মোমেন রচিত শ্রেষ্ঠ নাটক।
- ১৯৩৯-৪৩ সালের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নুরুল মোমেন ১৯৪৪ সালে নাটকটি লেখেন এবং ‘শনিবারের চিঠি’ পত্রিকায় তা প্রকাশিত হয়।
- নাটকটি গ্রন্থাকারে প্রকাশ পায় ১৯৪৮ সালে।
- নাটকটি স্কুল মাস্টার সুরজিত নন্দী নামের এক চরিত্র বিশিষ্ট নাটক। এক চরিত্র বিশিষ্ট এমন নাটক বাংলা সাহিত্যে কম বলে ‘নেমেসিস’ উল্লেখযোগ্য।
- এ নাটকে সমকালীন দুর্ভিক্ষ, মজুতদারদের পিশাচবৃত্তি ও নিরন্নদের হাহাকারের বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে।
- 'নেমেসিস' নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্রের নাম- সুরজিত নন্দী।
--------------------
• নুরুল মোমেন:
- নুরুল মোমেন এর জন্ম ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গায় ১৯০৬ সালে।
- নুরুল মোমেনের প্রথম নাটক রূপান্তর ১৯৪২ সালে ঢাকা বেতার-এ প্রচারিত হয়। তিনি নিজে নাটকটি পরিচালনা করেন। ১৯৪৭ সালে নাটকটি গ্রন্থরূপে প্রকাশিত হয়।
- তাঁর 'নেমেসিস' নাটকটি প্রথম শনিবারের চিঠি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। 'নেমেসিস' নাটকটি পঞ্চাশ-দশকের মন্বন্তরের পটভূমিতে রচিত।
- নুরুল মোমেন রচিত প্রথম রম্যগ্রন্থ 'বহুরূপা'।
• নুরুল মোমেন এর বিখ্যাত নাটক:
- যদি এমন হতো,
- নয়া খান্দান,
- আলোছায়া,
- আইনের অন্তরালে,
- শতকরা আশি,
- রূপলেখা,
- যেমন ইচ্ছা তেমন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর; বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 3 months ago
"মুখরা রমণী বশীকরণ" কী ধরনের রচনা?
Created: 1 month ago
A
কবিতা
B
প্রবন্ধ
C
ছোটগল্প
D
অনুবাদ নাটক
"মুখরা রমণী বশীকরণ" মুনীর চৌধুরী রচিত একটি অনুবাদ নাটক। মুনীর চৌধুরী ছিলেন একজন শিক্ষাবিদ, নাট্যকার, সাহিত্য সমালোচক এবং বাগ্মী, যিনি তার জীবনকাল জুড়ে প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলন ও বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
-
মুনীর চৌধুরী:
-
জন্ম: ১৯২৫ সালের ২৭ নভেম্বর, মানিকগঞ্জ শহরে।
-
শিক্ষা ও পেশাগত জীবনের পাশাপাশি ঢাকার প্রগতি লেখক ও শিল্পী সংঘ, কমিউনিস্ট পার্টি এবং ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন।
-
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র দুই দিন আগে, ১৪ ডিসেম্বর, পাকবাহিনীর সহযোগীদের দ্বারা অপহৃত ও নিহত হন।
-
-
নাটকসমূহ:
-
রক্তাক্ত প্রান্তর
-
চিঠি
-
কবর
-
দণ্ডকারণ্য
-
পলাশী ব্যারাক ইত্যাদি
-
-
অনুবাদ নাটকসমূহ:
-
কেউ কিছু বলতে পারে না
-
রূপার কৌটা
-
মুখরা রমণী বশীকরণ
-
-
প্রবন্ধগ্রন্থ:
-
মীর মানস
-
তুলনামূলক সমালোচনা
-
বাংলা গদ্যরীতি
-
0
Updated: 1 month ago
"রক্তকরবী" নাটকের প্রধান পুরুষ চরিত্র কে?
Created: 1 month ago
A
রঞ্জন
B
অমল
C
অভিজিৎ
D
জয়সিংহ
‘রক্তকরবী’ নাটক:
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাংকেতিক নাটক ‘রক্তকরবী’ প্রকাশিত হয় ১৯২৬ সালে।
-
১৩৩০ বঙ্গাব্দে নাটকটি প্রথম প্রবাসী পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
-
নাটকে ধনের উপর ধান্যের, শক্তির উপর প্রেমের এবং মৃত্যুর উপর জীবনের জয়গান গাওয়া হয়েছে।
-
প্রধান পুরুষ চরিত্র: রঞ্জন।
-
নন্দিনী চরিত্রটি নিপীড়িত মানুষের মাঝে আনন্দের দূত রূপে আবির্ভূত হয়েছে।
-
রঞ্জন চরিত্র বিদ্রোহের বাণী বহন করেছে।
অন্যদিকে:
-
‘বিসর্জন’ নাটকের চরিত্র: অপর্ণা, জয়সিংহ, রঘুপতি, গুণবতী, গোবিন্দমাণিক্য।
-
‘মুক্তধারা’ নাটকের চরিত্র: অভিজিৎ।
-
‘ডাকঘর’ নাটকের চরিত্র: অমল।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 1 month ago
'রক্তকরবী' নাটকের অন্তর্গত বিষয় কী?
Created: 1 month ago
A
নতুনের জয়গান গাওয়া
B
সামন্তবাদের বিলুপ্তি দেখানো
C
শ্রমিকদের অপ্রাপ্তি তুলে ধরা
D
পুঁজিবাদের নেতিবাচক প্রভাব দেখানো
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘রক্তকরবী’ একটি সাংকেতিক নাটক, যা পুঁজিবাদের নেতিবাচক প্রভাব এবং এর ফলে মানুষের জীবনের সৌন্দর্য, স্বাভাবিকতা ও মানবিকতার ক্ষয়কে ফুটিয়ে তোলে।
নাটকটি মানুষের প্রেম, জীবন ও স্বাধীনতার মূল্যকে প্রধান করে যান্ত্রিকতা ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে মানবিকতার জয়গান করে।
• 'রক্তকরবী' নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনী:
-
ক্ষপুরীর রাজার অর্থলোভ ও প্রজাশোষণের চিত্র ফুটে উঠেছে।
-
রাজা সোনার খনির কুলিদের মানুষ হিসেবে নয়, কেবল উৎপাদনের যন্ত্র হিসেবে দেখেন।
-
মানুষের প্রেম, সৌন্দর্য ও মনুষ্যত্ব নিপীড়িত হয়।
-
নন্দিনী প্রেম ও জীবনের প্রতীক হিসেবে শোষণের বিরুদ্ধে আনন্দের দূত হয়ে আবির্ভূত হন।
-
তিনি সবাইকে মুক্ত জীবনের দিকে আহ্বান জানান।
-
রাজা নন্দিনীকে জোর করে পেতে চাইলেও প্রেম ও সৌন্দর্য জয়ী হয়।
-
রঞ্জন, নন্দিনীর প্রেমাস্পদ, যান্ত্রিকতার শিকার হয়ে নিঃশেষিত হয়।
-
নাটক জীবনের প্রাণশক্তির জয় এবং যান্ত্রিকতার বিরুদ্ধে মানবিকতার বার্তা দেয়।
• 'রক্তকরবী' নাটক সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
এটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাংকেতিক নাটক।
-
রচিত হয়েছে বাংলা ১৩৩০ সনের শিলং-এর শৈলবাসে।
-
প্রথম নাম ছিল যক্ষপুরী, পরে আশ্বিন ১৩৩০ সালে প্রকাশিত হলে নামকরণ হয় রক্তকরবী।
-
নাটকে ধনের উপর ধান্যের, শক্তির উপর প্রেমের, মৃত্যুর উপর জীবনের জয়গান গাওয়া হয়েছে।
• নাটকটির উল্লেখযোগ্য চরিত্র:
-
নন্দিনী: নিপীড়িত মানুষের মাঝে আনন্দের দূত।
-
রঞ্জন: বিদ্রোহের বাণী বহনকারী; শেষপর্যন্ত মানুষের প্রাণশক্তির জয়।
• রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত কিছু রূপক-সাংকেতিক নাটক:
-
শারদোৎসব
-
রাজা
-
ডাকঘর
-
অচলায়তন
-
ফাল্গুনী
-
গুরু
-
অরূপরতন
-
মুক্তধারা
-
রক্তকরবী
-
কালের যাত্রা
-
তাসের দেশ
0
Updated: 1 month ago