‘ধূমকেতু’ পত্রিকায় কোন কবিতা প্রকাশের কারণে কাজী নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়েছিল?
A
খেয়াপারের তরণী
B
প্রলয়োল্লাস
C
আনন্দময়ীর আগমনে
D
বিদ্রোহী
উত্তরের বিবরণ
‘ধূমকেতু’ ছিল কাজী নজরুল ইসলামের এক বিপ্লবী সাহিত্য-উদ্যোগ, যা প্রথম প্রকাশিত হয় ১২ আগস্ট ১৯২২ সালে। এটি ছিল সপ্তাহে দু’বার প্রকাশিত একটি পত্রিকা, যার মাধ্যমে নজরুল তাঁর বিপ্লবী চেতনা ও রাজনৈতিক সচেতনতা তুলে ধরেন। বিশের দশকে অসহযোগ ও খিলাফত আন্দোলনের ব্যর্থতার পর যে সশস্ত্র বিপ্লববাদের নতুন জোয়ার দেখা দেয়, তাতে এই পত্রিকার ভূমিকা ছিল তাৎপর্যপূর্ণ। এক কথায়, ‘ধূমকেতু’ সশস্ত্র বিপ্লবীদের মুখপত্রে পরিণত হয়েছিল।
-
পত্রিকার শীর্ষে মুদ্রিত হতো রবীন্দ্রনাথের আশীর্বাণী— “কাজী নজরুল ইসলাম কল্যাণীয়েষু, আয় চলে আয়রে ধূমকেতু। আধারে বাঁধ অগ্নিসেতু, দুর্দিনের এ দুর্গশিরে উড়িয়ে দে তোর বিজয় কেতন।”
-
‘ধূমকেতু’র আগমনী সংখ্যায় নজরুল প্রকাশ করেন তাঁর রাজনৈতিক প্রতীকময় কবিতা ‘আনন্দময়ীর আগমনে’। এই কবিতার কারণে ৮ নভেম্বর সংখ্যাটি ব্রিটিশ সরকার নিষিদ্ধ করে এবং নজরুলের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়।
0
Updated: 1 month ago
কাজী নজরুল ইসলামের বাল্য স্মৃতি বিজড়িত ময়মনসিংহের স্থানটির নাম কি?
Created: 4 days ago
A
জগদীশপুর
B
কামারপুর
C
গোপালপুর
D
দরিরামপুর
কাজী নজরুল ইসলামের বাল্য স্মৃতি বিজড়িত স্থান হলো দরিরামপুর।
এটি তার শৈশবকাল কাটানো এবং স্মৃতিস্মরূপ স্থান হিসেবে পরিচিত।
-
দরিরামপুরে তার শৈশব জীবনের আনন্দ ও কষ্টের স্মৃতি মিশে আছে।
-
এই স্থান তার সাহিত্যিক অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে বিবেচিত।
-
অন্যান্য বিকল্প যেমন জগদীশপুর, কামারপুর বা গোপালপুর—নজরুলের শৈশবের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
-
দরিরামপুরের স্মৃতি তার কবিতা ও গীতিতে প্রতিফলিত হয়েছে।
-
তাই সঠিক উত্তর হলো দরিরামপুর।
0
Updated: 4 days ago
কোন তারিখে ভারত সরকারের অনুমতিক্রমে বাংলাদেশ সরকার কবি কাজী নজরুল ইসলামকে সপরিবারে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন?
Created: 1 week ago
A
১৯৭২ সালের ১৪ মে
B
১৯৭২ সালের ২৪ মে
C
১৯৭৪ সালের ১২ মে
D
১৯৭৪ সালের ২২ মে
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের নবগঠিত সরকার দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে পুনর্জাগরিত করার অংশ হিসেবে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় মর্যাদায় স্বীকৃতি দেয়। ১৯৭২ সালের ২৪ মে ভারত সরকারের অনুমতিক্রমে তাঁকে তাঁর পরিবারসহ বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়, যা ছিল দেশের সাহিত্য ও সংস্কৃতির ইতিহাসে এক গৌরবময় ঘটনা।
-
কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন বাংলাদেশের জাতীয় কবি, যিনি বিদ্রোহ, মানবতা ও সাম্যের কবি হিসেবে খ্যাত।
-
১৯৭২ সালের ২৪ মে তাঁকে তাঁর পরিবারসহ ভারত সরকার অনুমোদিতভাবে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়।
-
তাঁকে বাংলাদেশ সরকার জাতীয় কবির মর্যাদা প্রদান করে, যা ছিল তাঁর সাহিত্য ও অবদানের প্রতি শ্রদ্ধার প্রকাশ।
-
নজরুল ইসলামকে ঢাকায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে কিছুদিন রাখা হয় এবং পরবর্তীতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে সমাহিত হন।
-
তাঁর আগমন বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণের প্রতীক হয়ে ওঠে এবং কবির প্রতি জাতির ভালোবাসার এক ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।
-
এই উদ্যোগের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার তাঁর বিপ্লবী চেতনা ও মানবতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেয়।
0
Updated: 1 week ago
কাজী নজরুল ইসলাম রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুর স্মরণে কলকাতা বেতারে কোন কবিতার আবৃত্তি করেছিলেন?
Created: 1 month ago
A
অস্তরবি
B
রবিহারা
C
ঘুমাইতে দাও শ্রান্ত রবিরে
D
কবিগুরুর প্রয়াণ
সঠিক উত্তর হলো খ) রবিহারা। বিস্তারিত ব্যাখ্যা নিচে দেওয়া হলো।
-
প্রেক্ষাপট ও তথ্য:
• ১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট (২২ শ্রাবণ ১৩৪৮) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যুতে নজরুল শোকাহত হয়ে তাৎক্ষণিকভাবে রচনা করেন ‘রবিহারা’ ও ‘সালাম অস্তরবি’ কবিতা।
• এছাড়াও রচনা করা হয় ‘ঘুমাইতে দাও শ্রান্ত রবিরে’ শোকসঙ্গীত।
• ‘রবিহারা’ কবিতাটি নজরুল স্বকণ্ঠে কলকাতা বেতারে এবং গ্রামোফোন রেকর্ডে আবৃত্তি করেছিলেন।
• এই কবিতায় নজরুলের রবীন্দ্রনাথের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও শোক ফুটে উঠেছে এবং এটি বাংলা সাহিত্যের ঐতিহাসিক রচনা হিসেবে বিবেচিত।
• ‘ঘুমাইতে দাও’ গানটিও কয়েকজন শিল্পীর সঙ্গে নজরুলের স্বকণ্ঠে গাওয়া হয়। -
‘রবিহারা’ কবিতার অংশবিশেষ:
“দুপুরের রবি পড়িয়াছে ধলে অস্ত- পথের কোলেশ্রাবনের মেঘ ছুটে এল দলে দলে
উদাস গগন-তলে
বিশ্বের রবি, ভারতের কবি, শ্যাম বাংলার হৃদয়ের ছবি
তুমি চলে যাবে বলে।”
0
Updated: 1 month ago