ফ্যাসিবাদবিরোধী কাব্যগ্রন্থ 'আকাল' সম্পাদনা করেন কে?
A
সুকান্ত ভট্টাচার্য
B
সমর সেন
C
সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
D
বুদ্ধদেব বসু
উত্তরের বিবরণ
'আকাল' গ্রন্থটি সুকান্ত ভট্টাচার্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাব্যসংকলন। এটি তাঁর সাহিত্যিক জীবন এবং রাজনৈতিক চেতনার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত। এই গ্রন্থে তিনি ফ্যাসিবাদবিরোধী ভাবনার প্রকাশ ঘটিয়েছেন এবং সমকালীন সমাজবাস্তবতার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন।
-
'আকাল' (১৯৪৩) সুকান্ত ভট্টাচার্যের একটি ফ্যাসিবাদবিরোধী কাব্যগ্রন্থ।
-
এতে কবির ফ্যাসিবাদবিরোধী চেতনার সুস্পষ্ট প্রতিফলন লক্ষ্য করা যায়।
-
পঞ্চাশের মন্বন্তর এই সংকলনের কবিতাগুলির অন্যতম মূল প্রেরণা।
-
বিভিন্ন পত্রিকা থেকে কবিতাগুলো সংকলন ও সম্পাদনা করে সুকান্ত নিজেই এই গ্রন্থের একটি মূল্যবান ভূমিকা লিখেছিলেন।
-
১৯৬৬ সালে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ভূমিকাসহ এর নতুন সংস্করণ প্রকাশিত হয়।
-
এটি ছিল সুকান্ত ভট্টাচার্যের জীবিতাবস্থায় প্রকাশিত একমাত্র গ্রন্থ।
সুকান্ত ভট্টাচার্য রচিত অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ হলো—
-
পূর্বাভাস
-
ঘুম নেই
-
ছাড়পত্র
-
অভিযান

0
Updated: 17 hours ago
বাংলা ভাষার প্রথম কাব্য সংকলন 'চর্যাপদ' -এর আবিষ্কারক-
Created: 3 months ago
A
ডক্টর মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
B
ডক্টর সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
C
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
D
ডক্টর সুকুমার সেন
চর্যাপদ বাংলা ভাষার সর্বপ্রথম কাব্যগ্রন্থ হিসেবে পরিচিত। এটি কেবল বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন নয়, বরং এটি গানের সংকলন হিসেবেও বিবেচিত হয়। চর্যাপদের ভাষা প্রাচীন, রূপান্তরমান (আর্ন্ধবঙ্গীয় প্রাকৃতঘেঁষা) এবং এর মূল উপজীব্য ছিল বৌদ্ধ সহজিয়া সাধনার দার্শনিক ও গূঢ় ভাবধারা।
আবিষ্কার ও গুরুত্ব
১৯০৭ সালে বিশিষ্ট পণ্ডিত ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজ দরবার লাইব্রেরি থেকে চর্যাপদের পাণ্ডুলিপি আবিষ্কার করেন।
-
এই পাণ্ডুলিপি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে।
পদকর্তা ও সংখ্যা
চর্যাপদে বৌদ্ধ সহজিয়াগণ বিভিন্ন গূঢ় তত্ত্ব তুলে ধরেছেন কবিতার মাধ্যমে।
-
ড. সুকুমার সেন তাঁর ‘বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড)’ গ্রন্থে ২৪ জন পদকর্তার নাম উল্লেখ করেছেন। তবে তাঁর মতে চর্যাপদের মোট পদ সংখ্যা ৫১টি, যদিও তিনি নিজের রচিত ‘চর্যাগীতি পদাবলী’ গ্রন্থে ৫০টি পদের উল্লেখ করেন এবং আলোচনা অংশে মুনিদত্তের ৫০টি ব্যাখ্যার কথাও বলেন।
-
অপরদিকে, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ তাঁর সম্পাদিত ‘Buddhist Mystic Songs’ গ্রন্থে ২৩ জন কবির নাম এবং ৫০টি পদের কথা উল্লেখ করেন।
অনুবাদ ও ব্যাখ্যা
চর্যাপদের তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন কীর্তিচন্দ্র।
-
১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যাপদের তিব্বতি অনুবাদ আবিষ্কার করেন।
-
সংস্কৃত ভাষায় চর্যাপদের ব্যাখ্যা করেন মুনিদত্ত। তবে তিনি ১১ নম্বর পদের ব্যাখ্যা করেননি।
চর্যাপদ কেবল বাংলা ভাষার শুরুর ধাপেই একটি সাহিত্যিক চিহ্ন নয়, এটি বাঙালির আধ্যাত্মিক ও দার্শনিক ঐতিহ্যের প্রাচীন প্রমাণও বটে। বৌদ্ধ সহজিয়া সাধনার গভীর অন্তর্দৃষ্টি এই পদগুলোর মধ্যে দিয়ে প্রতিফলিত হয়েছে, যা বাংলা সাহিত্যের গর্ব ও ঐতিহ্য বহন করে চলেছে।
উৎস:
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর
-
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস – মাহবুবুল আলম
-
বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 3 months ago
'সোনালী কাবিন' এর রচয়িতা কে?
Created: 4 months ago
A
হাসান হাফিজুর রহমান
B
আল মাহমুদ
C
হুমায়ুন আজাদ
D
শক্তি চট্টোপাধ্যায়
আল মাহমুদ রচিত অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ ‘সোনালী কাবিন’, যা প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৭৩ সালে। এ গ্রন্থে বিভিন্ন শিরোনামের কবিতার পাশাপাশি ‘সোনালী কাবিন’ শিরোনামের চৌদ্দটি সনেট নিয়ে গঠিত একটি দীর্ঘ কবিতাও অন্তর্ভুক্ত আছে, যা একে একপ্রকার ক্ষুদ্র কাব্যগ্রন্থ হিসেবেও চিহ্নিত করে।
আল মাহমুদ
আধুনিক বাংলা কবিতার অন্যতম প্রধান কবি আল মাহমুদ জন্মগ্রহণ করেন ১১ জুলাই ১৯৩৬, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মোড়াইল গ্রামে। তাঁর প্রকৃত নাম মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ। তিনি কেবল একজন প্রথিতযশা কবিই নন, স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে ‘দৈনিক গণকণ্ঠ’ পত্রিকার সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
তাঁর রচিত শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ হিসেবে ‘সোনালী কাবিন’ (১৯৭৩) বিশেষভাবে স্বীকৃত।
আল মাহমুদ রচিত উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থসমূহ:
লোক লোকান্তর
-
কালের কলস
-
সোনালী কাবিন
-
পাখির কাছে ফুলের কাছে
-
অদৃষ্টবাদীদের রান্নাবান্না
আল মাহমুদ রচিত উপন্যাস
ডাহুকী
-
উপমহাদেশ
-
আগুনের মেয়ে
-
চেহারার চতুরঙ্গ
-
কাবিলের বোন
আল মাহমুদ রচিত গল্পগ্রন্থ
পানকৌড়ির রক্ত
-
সৌরভের কাছে পরাজিত
-
গন্ধবণিক
-
ময়ূরীর মুখ
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 4 months ago
’চিত্তনামা’ কী ধরনের রচনা?
Created: 8 hours ago
A
প্রবন্ধ
B
কাব্য
C
নাটক
D
গল্প
'চিত্তনামা' কাব্যগ্রন্থটি ১৯২৫ সালে প্রকাশিত হয়, যা কাজী নজরুল ইসলামের সমকালীন প্রেক্ষাপটে রচিত। ১৩৩২ বঙ্গাব্দের ২ আষাঢ়ে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ দার্জিলিংয়ে মৃত্যুবরণ করলে কবি শোকাহত হয়ে সমকালীন পত্রিকায় কবিতা রচনা করেন এবং সেই কবিতাগুলো সংগ্রহ করে 'চিত্তনামা' প্রকাশিত হয়।
-
কাব্যগ্রন্থের প্রকাশ: ১৯২৫
-
প্রেক্ষাপট: চিত্তরঞ্জন দাশের মৃত্যু ও তার প্রভাব
-
কাজী নজরুল ইসলামের অন্যান্য কাব্যগ্রন্থসমূহ:
-
অগ্নি-বীণা
-
সঞ্চিতা
-
চিত্তনামা
-
মরুভাস্কর
-
সর্বহারা
-
ফণি-মনসা
-
চক্রবাক
-
সাম্যবাদী
-
ছায়ানট
-
নতুন চাঁদ
-
পুবের হাওয়া
-
জিঞ্জির
-
বিষের বাঁশি
-
দোলনচাঁপা
-
চন্দ্রবিন্দু
-
সিন্ধু হিন্দোল
-
ভাঙার গান
-
সন্ধ্যা
-

0
Updated: 8 hours ago