কোন শাসকদের আমলে চর্যাপদ রচিত হয়েছে বলে ধারণা করা হয়?
A
মৌর্য
B
গুপ্ত
C
সেন
D
পাল
উত্তরের বিবরণ
চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শনগুলোর মধ্যে একটি, যা পাল শাসকদের আমলে রচিত হয় বলে ধারণা করা হয়। এটি মূলত বৌদ্ধ সহজিয়া সম্প্রদায়ের সাধক-কবিদদের আধ্যাত্মিক ও দার্শনিক চিন্তা ও সাধারণ জনজীবনের অভিজ্ঞতার সংমিশ্রণ প্রকাশ করে। চর্যাপদ রচনার সময়কাল প্রধানত ৮ম থেকে ১২শ শতাব্দী, যা পাল বংশের শাসনকালের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
চর্যাপদ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
চর্যাপদ রচনার সময়কাল ধরা হয় ৮ম থেকে ১২শ শতাব্দী, পাল শাসনকালীন।
-
পাল শাসকরা বৌদ্ধ ধর্মের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।
-
চর্যাপদগুলো রচিত হয় বৌদ্ধ সহজিয়া সম্প্রদায়ের সাধক-কবিদদের দ্বারা, যেখানে আধ্যাত্মিক ও দার্শনিক ভাবনার সঙ্গে সাধারণ জনজীবনের উপাদান মিশ্রিত ছিল।
-
১৯০৭ সালে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপাল রাজদরবারের গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদের পুথি আবিষ্কার করেন।
-
চর্যাপদের প্রধান কবিরা হলেন: সরহপা, শবরপা, লুইপা, ডোম্বীপা, ভুসুকুপা, কাহ্নপা, কুক্কুরীপা, মীনপা, আর্যদেব, ঢেণ্ঢনপা প্রমুখ।
-
চর্যাপদ শুধুমাত্র প্রাচীন বাংলা সাহিত্যের নিদর্শন নয়, এটি প্রাচীন বাংলা গানেরও নিদর্শন।
0
Updated: 1 month ago
১০) চর্যাপদের চর্যাগুলো কে রচনা করেন?
Created: 3 months ago
A
বৈষ্ণব কবিরা
B
বৌদ্ধ সহজিয়াগণ
C
হিন্দু সাধকরা
D
শৈব সাধকরা
চর্যাপদের তত্ত্ব
রচনা ও বিষয়বস্তু
-
চর্যাপদের চর্যাগুলো রচনা করেছেন বৌদ্ধ সহজিয়াগণ।
-
চর্যাপদে মূলত বৌদ্ধধর্মের শিক্ষা ও দর্শন ফুটে উঠেছে।
গৌতম বুদ্ধ সম্পর্কিত তথ্য
-
বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেন নেপালের তরাই অঞ্চলের তৎকালীন কপিলাবস্তু-তে।
-
তিনি সাধনা করেছেন গয়া ও বারানসিতে, এবং মতবাদ প্রচার করেছেন বিহারের বিভিন্ন অঞ্চলে।
-
বুদ্ধের কোনো লিখিত রচনা নেই, তার শিক্ষা মুখে মুখে প্রচারিত হয়ে পরবর্তীতে লিপিবদ্ধ হয়েছে।
-
তবে বুদ্ধের বাণী কেবল বৌদ্ধ শাস্ত্র নয়, তা ধর্ম, দর্শন ও সাধনার মূল।
পরবর্তীকালে অবদানকারী ভিক্ষু ও তত্ত্ববিদগণ
-
আনন্দ, শারিপুত্র, মৌয়ল্য-পুত্রতিষ্য, অসঙ্গ, বসুবন্ধু, নাগার্জুন, আর্যদেব, চন্দ্রকীর্তি, শান্তিদেব, কুমারাত, ধর্মপাল, শান্তরক্ষিত, সরোজবজ্র (সরহ), তিল্লো পা, কাহ্ন পা প্রমুখ।
-
এদের অবদানে বৌদ্ধ ধর্মের শাস্ত্র, সাহিত্য, দর্শন ও চর্যা-পদ্ধতি গড়ে উঠেছে।
ভাষা ও শাখা
-
চর্যাপদসহ বৌদ্ধ তত্ত্ব ও সাহিত্য পালি, সংস্কৃত, প্রাকৃত ও অপভ্রংশে লিখিত হয়েছিল।
-
বৌদ্ধ মতবাদ বিভিন্ন শাখা ও প্রশাখায় বিভক্ত।
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম
0
Updated: 3 months ago
চর্যাপদের ভাষাকে 'আলো আঁধারি' বলে অভিহিত করেন কে?
Created: 1 month ago
A
ড: মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
B
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
C
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
D
সুকুমার সেন
চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন হিসেবে স্বীকৃত। এটি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উৎস নির্ধারণে একটি অমূল্য সম্পদ। বৌদ্ধ সহজিয়া সাধকগণ এই চর্যাগুলো রচনা করেছিলেন, যেখানে ধর্মীয় আধ্যাত্মিক ভাব, জীবনদর্শন ও সাধনাশ্রিত দার্শনিক চিন্তাধারা প্রতিফলিত হয়েছে।
চর্যাপদ সম্পর্কিত প্রধান তথ্য:
-
এটি বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
-
১৯০৭ খ্রিষ্টাব্দে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপাল রাজদরবারের গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদের পুথি আবিষ্কার করেন।
-
১৯১৬ সালে কলকাতার বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ থেকে চর্যাপদ আধুনিক লিপিতে প্রকাশিত হয়।
-
হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর সম্পাদনায় পুথিটি ‘হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা’ নামে প্রকাশিত হয়।
-
চর্যাপদের রচয়িতারা ছিলেন বৌদ্ধ সহজিয়া সাধকগণ, যারা আধ্যাত্মিক সাধনার গূঢ় সত্য প্রকাশ করেছেন প্রতীক ও রূপকের মাধ্যমে।
-
চর্যাপদে বৌদ্ধধর্ম ও তত্ত্বচিন্তা প্রকাশ পেয়েছে।
-
চর্যাপদের ভাষাকে কেউ কেউ সন্ধ্যাভাষা বা সন্ধাভাষা বলেছেন, কারণ এতে আংশিকভাবে প্রাচীন, আংশিকভাবে আধুনিক ভাষার বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান।
-
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী চর্যার ভাষা সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেন—
“আলো-আঁধারি ভাষা, কতক আল কতক অন্ধকার, খানিক বুঝা যায়, খানিক বুঝা যায় না। যাঁহারা সাধন-ভজন করেন, তাঁহারাই সে কথা বুঝিবেন, আমাদের বুঝিয়া কাজ নাই।”
এই মন্তব্য থেকেই চর্যার ভাষা “সন্ধ্যাভাষা” নামে পরিচিত হয়।
0
Updated: 1 month ago
চর্যাপদের প্রাপ্তিস্থান কোথায়?
Created: 3 months ago
A
বাংলাদেশ
B
নেপাল
C
উড়িষ্যা
D
ভুটান
চর্যাপদ:
• বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনযুগের একমাত্র নিদর্শন চর্যাচর্যবিনিশ্চয় বা চর্যাগীতিকোষ বা চর্যাগীতি বা চর্যাপদ।
• ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজ দরবার গ্রন্থাগার থেকে এটি আবিষ্কার করেন।
• ১৯১৬ সালে কলকাতার বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে চর্যাপদ আধুনিক লিপিতে প্রকাশিত হয়।
• চর্যাপদের পদ সংখ্যা: চর্যাপদের পদ সংখ্যা ৫০টি। তবে সুকুমার সেন মনে করেন পদসংখ্যা ৫১টি।
• উদ্ধারকৃত পদের সংখ্যা: চর্যাপদের সাড়ে ৪৬টি পদ পাওয়া যায়।
• অনুদ্ধারকৃত/বিলুপ্ত পদের সংখ্যা: সাড়ে ৩টি। প্রাপ্ত সাড়ে ৪৬টি পদের মধ্যে ভুসুকুপা রচিত ২৩নং পদটি খণ্ডিত আকারে পাওয়া গেছে। পদটির ৬টি পদ পাওয়া গেছে কিন্তু বাকি ৪টি পদ পাওয়া যায়নি।
• এছাড়াও চর্যাপদের ২৪নং (কাহ্নপা রচিত), ২৫নং (তন্ত্রীপা রচিত) এবং ৪৮নং (কুক্কুরীপা রচিত) পদগুলো পাওয়া যায়নি।
• চর্যাপদ তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন কীর্তিচন্দ্র।
• ১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যাপদের তিব্বতি ভাষার অনুবাদ আবিষ্কার করেন।
• সংস্কৃত ভাষায় মুনিদত্ত চর্যাপদের ব্যাখ্যা করেন। তিনি ১১নং পদের ব্যাখ্যা করেননি।
0
Updated: 3 months ago