'ময়নামতির চর' — কবিতাটির লেখক কে?
A
আল মাহমুদ
B
আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ
C
বন্দে আলী মিয়া
D
জসীম উদ্দীন
উত্তরের বিবরণ
‘ময়নামতির চর’ কবিতার মাধ্যমে বন্দে আলী মিয়া বাংলাদেশের নদীমাতৃক পরিবেশ ও চরের মানুষের সংগ্রামী জীবনচিত্র ফুটিয়ে তোলেছেন। নদীগুলোর ভাঙা–গড়ার কারণে সৃষ্টি হওয়া চরের জীবন এবং প্রাকৃতিক দৃশ্যকল্প কবিতায় স্পষ্টভাবে প্রকাশ পেয়েছে।
-
কবিতার নাম: ময়নামতীর চর
-
কবি: বন্দে আলী মিয়া
-
মূলভাব: নদীমাতৃক বাংলাদেশের চরে বসবাসরত মানুষের দৈনন্দিন সংগ্রাম এবং চরের প্রাকৃতিক পরিবেশের চিত্রায়ণ।
-
কবিতার কয়েকটি পংক্তি:
-
এ-পারের এই বুনো ঝাউ আর ও পারের বুড়ো বট
-
মাঝখানে তার আগাছায় ভরা শুকনো গাঙের তট
-
এরি উঁচু পারে নিত্য বিহানে লাঙল দিয়েছে চাষী
-
কুমীরেরা সেথা পোহাইছে রোদ শুয়ে শুয়ে পাশাপাশি
-
বন্দে আলী মিয়া সম্পর্কে তথ্য:
-
জন্ম: ১৯০৬, পাবনা জেলা
-
সম্পাদিত পত্রিকা: কিশোর পরাগ, শিশুবার্ষিকী, জ্ঞানের আলো
-
রচিত কাব্যগ্রন্থ: ময়নামতির চর, অনুরাগ, পদ্মানদীর চর, মধুমতীর চর, ধরিত্রী
0
Updated: 1 month ago
সরস প্রাণের জীবন্ত উৎস কোনগুলো?
Created: 1 week ago
A
ছড়া ও গান
B
গল্প ও কবিতা
C
নাটক ও সিনেমা
D
বই ও সংবাদপত্র
সরস প্রাণের জীবন্ত উৎস বলতে এমন কিছু উপাদানকে বোঝায় যা মানুষের মন ও অনুভূতিতে প্রাণবন্ততা, সজীবতা এবং উৎসাহের সঞ্চার করে। ছড়া ও গান এই ধরনের উপাদানগুলোর মধ্যে অন্যতম।
১. ছড়া:
ছড়া হলো ছোট, সহজ, এবং সহজে মুখস্থ করা যায় এমন একটি সাহিত্য রচনা। এটি সাধারণত শিশুদের শেখানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। ছড়ার মাধ্যমে শিশুদের মজা, শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে সৃজনশীলতা এবং কল্পনাশক্তি বৃদ্ধি পায়। ছড়া পড়লে শিশুদের মনে আনন্দ ও প্রাণবন্ততা আসে, যা তাদের মেধা বিকাশে সহায়তা করে। এর মধ্যে গান, ছন্দ এবং ছড়ার শব্দের খেলা শিশুদের মনে সুস্থ এবং সজীব অনুভূতি সৃষ্টি করে।
-
গান:
গান হচ্ছে একটি অত্যন্ত শক্তিশালী মাধ্যম, যা মানুষের অনুভূতিকে সরাসরি স্পর্শ করে। এটি মনোরঞ্জন, শিক্ষা, বা আবেগের প্রকাশ হতে পারে। সঙ্গীতের সুর, রিদম এবং লিরিক্স মানুষের অনুভূতিকে জীবন্ত এবং প্রাণবন্ত করে তোলে। গান যেমন একটি শিল্প, তেমনি এটি মানুষের মন ও মস্তিষ্কে উৎসাহ, ভালোবাসা, এবং জীবনের প্রতি উদ্দীপনা সৃষ্টি করতে সক্ষম। গান শুনলে মানুষের দেহে এন্ডোরফিন নামক একটি সুখী রাসায়নিক উৎপন্ন হয়, যা তাদের মনোবল এবং প্রাণশক্তি বাড়ায়। -
মানবিক এবং সামাজিক কার্যকলাপ:
ছড়া ও গান, বিশেষত শিশুদের মধ্যে, মানবিক এবং সামাজিক সম্পর্কের স্থাপনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিশুদের মধ্যে একটি সংস্কৃতির অভ্যন্তরে এর স্থান এবং সৃজনশীলতা বাড়ায়। যেমন, স্কুলে বা ঘরোয়া পরিবেশে শিশুরা ছড়া বা গান গাইলে তারা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে শেখে, যা তাদের মানসিক ও সামাজিক বৃদ্ধিতে সহায়ক। -
প্রাকৃতিক অনুভূতি:
ছড়া ও গান শুধুমাত্র মানুষের মধ্যে জীবন্ত উৎস তৈরি করতে সহায়তা করে না, বরং এটি প্রাকৃতিক উপাদানের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করে। কিছু গান এবং ছড়া প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলী, জীবজন্তু, বা এমনকি পরিবেশের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়, যা শোনার মাধ্যমে মানুষের মনে প্রশান্তি এবং প্রাণশক্তির অনুভূতি সৃষ্টি হয়।
এই সব উপাদান একত্রিত হয়ে একটি সজীব, প্রাণবন্ত পরিবেশ তৈরি করে, যা মানুষের আত্মবিশ্বাস এবং সৃজনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে। ছড়া ও গান মানুষের সাংস্কৃতিক এবং মানসিক উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং জীবনের প্রতি উদ্দীপনা এবং আনন্দের সৃষ্টি করে।
0
Updated: 1 week ago
'দোলনচাঁপা' কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত কবিতা নয় কোনটি?
Created: 2 months ago
A
আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে
B
বেলাশেষে
C
অবেলার ডাক
D
কাণ্ডারী হুঁশিয়ার
'কাণ্ডারী হুঁশিয়ার' — কবিতা
-
প্রেক্ষাপট: সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা
-
উৎস: সর্বহারা কাব্যগ্রন্থ
'দোলনচাঁপা' — কাব্যগ্রন্থের উল্লেখযোগ্য কবিতা:
-
আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে
-
পূজারিণী
-
বেলাশেষে
-
চোখের চাতক
-
অবেলার ডাক
-
অভিশাপ
-
ইত্যাদি
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা; দোলনচাঁপা ও সর্বহারা কাব্যগ্রন্থ।
0
Updated: 2 months ago
'সুন্দর হে, দাও দাও সুন্দর জীবন। হউক দূর অকল্যাণ সকল অশোভন।' - চরণ দুটি কার লেখা?
Created: 5 months ago
A
কাজী নজরুল ইসলাম
B
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
C
গোলাম মোস্তফা
D
শেখ ফজলল করিম
সুন্দর হে, দাও দাও সুন্দর জীবন
– কাজী নজরুল ইসলাম
চরণদ্বয়:
“সুন্দর হে, দাও দাও সুন্দর জীবন।
হউক দূর অকল্যাণ সকল অশোভন।”
এই চরণদ্বয় নেওয়া হয়েছে কাজী নজরুল ইসলামের লেখা ‘সুন্দর হে, দাও দাও সুন্দর জীবন’ কবিতা থেকে, যা তাঁর ‘চন্দ্রবিন্দু’ কাব্যগ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত।
সম্পূর্ণ কবিতা:
সুন্দর হে, দাও দাও সুন্দর জীবন।
হউক দূর অকল্যাণ সকল অশোভন।
এ প্রাণ প্রভাতি-তারার প্রায়
ফুটুক উদয়-গগন-গায়,
দুঃখ-নিশায় আনো পূর্ণ চাঁদের স্বপন॥
কাজী নজরুল ইসলাম সংক্ষেপ পরিচিতি
-
জন্ম: ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬ বঙ্গাব্দ, চুরুলিয়া গ্রাম, আসানসোল, ভারত।
-
কৈশোরে লেটো গানের দলে অংশগ্রহণ।
-
লেখাপড়া করেন বর্ধমান ও ময়মনসিংহের ত্রিশালের দরিরামপুর স্কুলে।
-
১৯১৭ সালে বাঙালি পল্টনে সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে করাচি যান।
-
তিনি ‘বিদ্রোহী কবি’ নামে খ্যাত।
-
মাত্র চল্লিশ বছর বয়সে দুরারোগ্য ব্যাধিতে বাকশক্তি হারান।
-
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠার পর তাঁকে ঢাকায় এনে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়।
-
তিনি বাংলাদেশের জাতীয় কবির স্বীকৃতি লাভ করেন।
কাজী নজরুল ইসলামের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ:
-
অগ্নিবীণা
-
বিষের বাঁশি
-
ছায়ানট
-
প্রলয়শিখা
-
চক্রবাক
-
সিন্ধুহিন্দোল
উপন্যাসসমূহ:
-
বাঁধন-হারা
-
মৃত্যুক্ষুধা
-
কুহেলিকা
প্রবন্ধগ্রন্থ:
-
যুগবাণী
-
দুর্দিনের যাত্রী
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর; কবিতা: ‘সুন্দর হে, দাও দাও সুন্দর জীবন’ – কাজী নজরুল ইসলাম।
0
Updated: 5 months ago