জ্ঞানদাসকে আর কী নামে ডাকা হতো?
A
গোবিন্দ দাস
B
শ্রীমঙ্গল
C
মদনমোহন
D
শ্রীকান্ত
উত্তরের বিবরণ
জ্ঞানদাস চৈতন্যোত্তর বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি হিসেবে পরিচিত। তিনি পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার কাটোয়ার কাঁদড়া গ্রামে এক মঙ্গল-ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর কাব্যিক এবং আধ্যাত্মিক অবদান তাঁকে মঙ্গল ঠাকুর, শ্রীমঙ্গল এবং মদন-মঙ্গল নামেও পরিচিত করে।
-
বৈষ্ণব সাধকদের মধ্যে তিনি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিলেন।
-
তিনি বৈষ্ণবগুরু নিত্যানন্দের পত্নী জাহ্নবী দেবীর শিষ্য ছিলেন।
-
ষোড়শ-গোপাল-এর রূপ প্রথমবার পদে বর্ণনা করেছেন জ্ঞানদাস।
-
তিনি বাংলা এবং ব্রজ ভাষায় রাধাকৃষ্ণ সম্পর্কিত প্রায় ২০০ (কিছু মতে ৪০০) পদ রচনা করেছেন।
-
তাঁর রচিত মাথুর ও মুরলীশিক্ষা বৈষ্ণবগীতিকাব্যের দুটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ।
পদরচনায় তিনি বিদ্যাপতি ও চণ্ডীদাসকে অনুসরণ করলেও সংস্কার ত্যাগ করে সরল ও স্বাভাবিক সুরে রচনা করেছেন, যা পাঠকদের আকৃষ্ট করে। তাঁর লেখায় প্রেম, সৌন্দর্য ও আধ্যাত্মিকতা প্রধান বিষয় এবং তিনি বৃন্দাবনের কিশোর-কিশোরীর লীলাকে মানবজীবনের দৃষ্টিকোণ থেকে বর্ণনা করেছেন।
0
Updated: 1 month ago
শাক্ত পদাবলির জন্য বিখ্যাত-
Created: 2 months ago
A
রামনিধি গুপ্ত
B
দাশরথি রায়
C
এন্টনি ফিরিঙ্গি
D
রামপ্রসাদ সেন
রামপ্রসাদ সেন
-
রামপ্রসাদ সেন ছিলেন বাংলা সাহিত্যের আদি ও শ্রেষ্ঠ শাক্তপদকবি। তিনি মূলত শ্যামাসঙ্গীত রচনা করে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
-
তাঁর লেখা শ্যামাসঙ্গীতের সংখ্যা আনুমানিক তিনশ’র মতো।
-
তিনি জন্মেছিলেন চব্বিশ পরগনার কুমারহট্ট গ্রামের এক কবিরাজ পরিবারে।
-
নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়, তাঁর কবিত্ব ও গানের খ্যাতি শুনে রাজসভায় ডাকেন এবং তাঁকে ‘কবিরঞ্জন’ উপাধি দেন।
-
বলা হয়, একবার মুর্শিদাবাদ থেকে কলকাতায় যাওয়ার পথে নবাব সিরাজউদ্দৌলা নদীর ধারে রামপ্রসাদের গান শুনে মুগ্ধ হয়েছিলেন।
-
তাঁর গানে ভক্তিরসের সঙ্গে রাগ ও বাউলসুরের সুন্দর মিশ্রণ দেখা যায়। এই বিশেষ সুরকে বাংলা সঙ্গীত ইতিহাসে বলা হয় ‘রামপ্রসাদী সুর’।
তাঁর বিখ্যাত উক্তি
-
“আমি কি দুঃখেরে ডরাই।”
জনপ্রিয় গান
-
“মনরে কৃষি কাজ জান না
এমন মানবজমিন রইল পতিত,
আবাদ করলে ফলতো সোনা।”
উৎস: ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 2 months ago
বৈষ্ণব পদাবলি কোন চরিত্রের প্রেমলীলা অবলম্বনে রচিত?
Created: 3 months ago
A
লক্ষ্মী-নারায়ণ
B
উমা-মহেশ্বর
C
রাধা-কৃষ্ণ
D
সীতা-রাম
বৈষ্ণব পদাবলি
মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের প্রধানতম গৌরব হলো বৈষ্ণব পদাবলি সাহিত্য। রাধা-কৃষ্ণের প্রেমলীলা অবলম্বনে রচিত এই অমর কবিতাগুলো বাংলাদেশে শ্রীচৈতন্যদেব প্রচারিত বৈষ্ণব মতবাদের প্রসারে ব্যাপক বিকাশ লাভ করে।
মধ্যযুগের সাহিত্যধারাগুলোর মধ্যে বৈষ্ণব সাহিত্যধারা পরিমাণ ও গুণ—উভয় ক্ষেত্রেই সবচেয়ে সমৃদ্ধ।
বৈষ্ণব সাহিত্য মূলত তিন প্রকার—
-
জীবনীকাব্য
-
বৈষ্ণব শাস্ত্র
-
বৈষ্ণব পদাবলি
0
Updated: 3 months ago
'গীতগোবিন্দম্' - গ্রন্থটি মধ্যযুগের কোন ধারার সাহিত্য?
Created: 1 month ago
A
বৈষ্ণব পদাবলি
B
রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান
C
মঙ্গলকাব্য
D
লোকসাহিত্য
বৈষ্ণব পদাবলি মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি।
মুখ্য তথ্যসমূহ—
-
বাঙালি কবি জয়দেবকে বৈষ্ণব পদাবলির প্রথম পদকর্তা বা আদিকবি বলা হয়। তাঁর রচিত ‘গীতগোবিন্দম্’ কাব্য রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলা অবলম্বনে রচিত আদি বৈষ্ণব পদাবলির নিদর্শন, তবে এটি সংস্কৃত ভাষায় রচিত।
-
পরবর্তীতে বিদ্যাপতি ব্রজবুলি ভাষায় প্রথম বৈষ্ণব পদ রচনা করেন এবং তাঁকে ব্রজবুলি ভাষায় আদি কবি বলা হয়; তিনি অভিনব জয়দেব নামেও পরিচিত।
-
বাংলা ভাষায় প্রথম বৈষ্ণব পদাবলি রচনা করেন চণ্ডীদাস।
বৈষ্ণব পদাবলিতে পাঁচটি রস বিদ্যমান:
১. শান্তরস
২. দাস্যরস
৩. সখ্যরস
৪. বাৎসল্যরস
৫. মধুররস (শৃঙ্গার রস)
উৎস:
0
Updated: 1 month ago