'রুপ লাগি আঁখি ঝুরে গুণে মন ভোর' কার রচনা?
A
চণ্ডিদাস
B
জ্ঞানদাস
C
বিদ্যাপতি
D
লোচনদাস
উত্তরের বিবরণ
'রূপ লাগি আঁখি ঝুরে গুণে মন ভোর' পঙ্ক্তিটির রচয়িতা- জ্ঞানদাস।
-----------------------
• 'জ্ঞানদাস':
- জ্ঞানদাস ছিলেন চৈতন্যোত্তর বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি।
- জ্ঞানদাস বাংলা ও ব্রজবুলি ভাষায়, রাধাকৃষ্ণ বিষয়ক প্রায় ২শ(মতান্তরে চারশ) পদ লেখেন।
- তাঁর রচিত মাথুর ও মুরলীশিক্ষা বৈষ্ণবগীতিকাব্যের দুটি মূল্যবান গ্রন্থ।
• বিরহের মর্মস্পর্শী আর্তি ফুটে উঠেছে জ্ঞানদাসের কবিতায়:
রূপ লাগি আঁখি ঝুরে গুণে মন ভোর।
প্রতি অঙ্গ লাগি কান্দে প্রতি অঙ্গ মোর।।
• তাঁর আরো একটি বিখ্যাত পদ:
সুখের লাগিয়া এ ঘর বাঁধিনু আনলে পুড়িয়া গেল।
অমিয়-সাগরে সিনান করিতে সকলি গরল ভেল।।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম।
0
Updated: 3 months ago
কখনো উপন্যাস লেখেননি-
Created: 3 months ago
A
কাজী নজরুল ইসলাম
B
জীবনানন্দ দাশ
C
সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
D
বুদ্ধদেব বসু
• সুধীন্দ্রনাথ দত্ত রচিত কোনো উপন্যাস গ্রন্থ নেই।
• সুধীন্দ্রনাথ দত্ত:
• সুধীন্দ্রনাথ দত্ত (১৯০১-১৯৬০) ছিলেন কবি, প্রাবন্ধিক ও পত্রিকা সম্পাদক। ১৯০১ সালের ৩০ অক্টোবর কলকাতার হাতীবাগানে তাঁর জন্ম।
• ১৯৩১ সাল থেকে দীর্ঘ বারো বছর তিনি পরিচয় পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। প্রমথ চৌধুরীর সবুজপত্রের সঙ্গেও তাঁর সম্পৃক্ততা ছিল।
• সুধীন্দ্রনাথ কর্মজীবনের পাশাপাশি সাহিত্যচর্চাও করেছেন। আধুনিক মনন ও বৈশ্বিক চেতনার কারণে তিনি বাংলা কাব্যে স্বতন্ত্র স্থান লাভ করেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি:
কাব্য:
• তন্বী,
• অর্কেস্ট্রা,
• ক্রন্দসী,
• উত্তরফাল্গুনী,
• সংবর্ত,
• দশমী।
গদ্যগ্রন্থ:
• স্বগত ,
• কুলায় ও কালপুরুষ।
• এছাড়া প্রতিধ্বনি (১৯৫৪) নামে তাঁর একটি অনুবাদগ্রন্থও আছে।
অন্যদিকে,
• বুদ্ধদেব বসু রচিত উপন্যাসসমূহ:
- তিথিডোর,
- সাড়া,
- সানন্দা,
- লালমেঘ,
- পরিক্রমা,
- কালো হাওয়া,
- নির্জন স্বাক্ষর,
- নীলাঞ্জনার খাতা ইত্যাদি।
• জীবনানন্দ দাশ রচিত উপন্যাসগুলো হলো:
- মাল্যবান;
- সতীর্থ;
- কল্যাণী।
• কাজী নজরুল ইসলাম রচিত উপন্যাস:
- বাঁধন-হারা,
- মৃত্যুক্ষুধা,
- কুহেলিকা।
উৎস: বাংলাপিডিয়া এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা সৌমিত্র শেখর।
0
Updated: 3 months ago
শামসুর রাহমানের রচিত উপন্যাস -
Created: 1 week ago
A
পতঙ্গ পিঞ্জর
B
প্রেম একটি লাল গোলাপ
C
রৌদ্র করোটিতে
D
অদ্ভুত আঁধার এক
শামসুর রাহমান একজন খ্যাতনামা কবি ও সাংবাদিক, যিনি বাংলা সাহিত্যের বিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তাঁর জন্ম ১৯২৯ সালের ২৩ অক্টোবর পুরান ঢাকার ৪৬ নম্বর মাহুতটুলীতে। শামসুর রাহমানের কবিতার প্রতি আকর্ষণ প্রথম প্রকাশ পায় ১৯৬০ সালে, যখন তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ "প্রথম গান দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে" প্রকাশিত হয়।
তাঁর বিখ্যাত কবিতা ‘স্বাধীনতা তুমি’ এবং ‘তোমাকে পাওয়ার জন্য, হে স্বাধীনতা’ মুক্তিযুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যুদ্ধকালীন সময়ে লেখা কবিতাগুলি ‘বন্দী শিবির থেকে’ নামে কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয়। এই কবিতাগুলি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ের অমূল্য স্মৃতিরূপে চিহ্নিত হয়।
শামসুর রাহমান কাব্যগ্রন্থ ছাড়াও বেশ কিছু উপন্যাসও রচনা করেন, যার মধ্যে অদ্ভুত আঁধার এক অন্যতম। ১৯৮৫ সালে এই উপন্যাসটি প্রকাশিত হয়। তাঁর অন্য উপন্যাসগুলোর মধ্যে রয়েছে অক্টোবাস, নিয়ত মন্তাজ, এবং এলো সে অবেলায়।
শামসুর রাহমানের কাব্যগ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য রচনাগুলোর মধ্যে রয়েছে:
-
বাংলাদেশ স্বপ্ন দ্যাখে,
-
প্রথম গান দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে,
-
রৌদ্র করোটিতে,
-
বিধ্বস্ত নীলিমা,
-
নিরালোকে দিব্যরথ,
-
নিজ বাসভূমে,
-
বন্দী শিবির থেকে,
-
ফিরিয়ে নাও ঘাতক কাঁটা,
-
আমি অনাহারী,
-
প্রতিদিন ঘরহীন ঘরে,
-
উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ,
-
বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়,
-
হরিণের হাড়,
-
তুমি নিঃশ্বাস তুমি হৃদস্পন্দন।
এছাড়া, ‘পতঙ্গ পিঞ্জর’ উপন্যাসের রচয়িতা শওকত ওসমান, এবং ‘প্রেম একটি লাল গােলাপ’ উপন্যাসের লেখক রশীদ করীম।
0
Updated: 1 week ago
'বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত' কার রচনা?
Created: 3 months ago
A
মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ্
B
মুহাম্মদ আবদুল হাই
C
মুনীর চৌধুরী
D
মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্: একজন জ্ঞানতাপস ভাষাবিদ ও সাহিত্যসাধক
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ (১৮৮৫–১৯৬৯) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের এক অসামান্য বাঙালি মনীষী—একাধারে ভাষাবিদ, শিক্ষক, দার্শনিক এবং বহুভাষা-জ্ঞানসম্পন্ন বিদ্বান।
১৮৮৫ সালের ১০ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনার পেয়ারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এই প্রতিভাধর ব্যক্তি, যিনি পরবর্তীতে 'জ্ঞানতাপস' উপাধিতে সমাদৃত হন। তাঁকে অনেকে 'চলিষ্ণু অভিধান' নামেও আখ্যায়িত করেন, তাঁর বিস্তৃত জ্ঞান ও পাণ্ডিত্যের কারণে।
ড. শহীদুল্লাহ্ ১৯৫৫ থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ও সংস্কৃত বিভাগের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁকে ‘প্রফেসর ইমেরিটাস’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি—এই তিনটি ক্ষেত্রেই তাঁর প্রভাব ছিল অসামান্য। তিনি বহু গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ রচনা করেছেন এবং সম্পাদনার কাজেও রেখেছেন অবদান। ‘আল-ইসলাম’ পত্রিকার সহকারী সম্পাদক এবং ‘বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকা’র যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে তিনি তার সাহিত্যিক বিচক্ষণতা প্রমাণ করেছেন। তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় মুসলিম বাংলার প্রথম শিশুপত্রিকা ‘আঙুর’, যা ছিল একটি নতুন দিগন্তের সূচনা। পাশাপাশি তিনি সম্পাদনা করেন ‘দি পীস’ (ইংরেজি মাসিক), ‘বঙ্গভূমি’ (বাংলা মাসিক) এবং ‘তকবীর’ (পাক্ষিক) পত্রিকা।
বাংলা ভাষা ও জাতিসত্তা নিয়ে তাঁর চিন্তা ছিল গভীর এবং মানবিক। ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে তাঁর এক বিখ্যাত উক্তি:
“আমরা হিন্দু বা মুসলমান যেমন সত্য, তার চেয়ে বেশি সত্য আমরা বাঙালি।”
এই বক্তব্য তাঁর অসাম্প্রদায়িক ও প্রগতিশীল মননচর্চার প্রতিফলন।
তাঁর রচনার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ ‘বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত’, যা ১৯৫৯ সালে প্রকাশিত হয়। এটি বাংলা ভাষার উৎস ও বিকাশ নিয়ে গবেষণালব্ধ একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনাগুলোর মধ্যে রয়েছে:
-
সিন্দবাদ সওদাগরের গল্প
-
ভাষা ও সাহিত্য
-
বাঙ্গালা ব্যাকরণ
-
দীওয়ান-ই-হাফিজ
-
শিকওয়াহ ও জওয়াব-ই-শিকওয়াহ
-
রুবাইয়াত-ই-উমর খয়্যাম
-
Essays on Islam
-
আমাদের সমস্যা
-
পদ্মাবতী
-
বাংলা সাহিত্যের কথা (২ খণ্ড)
-
বিদ্যাপতি শতক
-
বাংলা আদব কী তারিখ
-
বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত
-
কুরআন শরীফ
-
অমরকাব্য
-
সেকালের রূপকথা
তাঁর সম্পাদিত আঞ্চলিক ভাষার অভিধান এবং ড. মুহম্মদ আবদুল হাই-এর সঙ্গে যৌথভাবে রচিত “Traditional Culture in East Pakistan” (১৯৬১) গ্রন্থ দুটি গবেষণাক্ষেত্রে অনন্য অবদান হিসেবে বিবেচিত।
উৎস: বাংলাপিডিয়া এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।
0
Updated: 3 months ago