'শাহনামা' মৌলিক গ্রন্থটি কার?
A
মালিক জয়সী
B
ফেরদৌসী
C
সৈয়দ হামজা
D
কাজী দৌলত উজির বাহরাম খাঁ
উত্তরের বিবরণ
শাহনামা
- শাহনামা পারস্যের (বর্তমান ইরান) কবি ফেরদৌসী দ্বারা লিখিত একটি দীর্ঘ মহাকাব্য।
- এটি একই সাথে ইরানের ও সারা বিশ্বের ফার্সি ভাষাভাষী লোকদের জন্য জাতীয় মহাকাব্য।
- ফেরদৌসী ৯৭৭ থেকে ১০১০ সালের মধ্যে ৩০ বছরের অধিক সময় ধরে এই মহাকাব্য রচনা করেন।
- শাহনামায় প্রায় ষাট হাজার শ্লোক রয়েছে।
- ইরানের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে তুলে আনা হয়েছে এই মহাকাব্যে।
- এটিকে বলা হয় ইরানের জাতীয় মহাকাব্য।
- ভারতীয় উপমহাদেশে এটির একটি সংকলন প্রকাশিত হয় ১৮২৯ সালে।
- প্রথম মুঘল সম্রাট বাবর এই মহাকাব্য থেকে কিছু পঙ্ক্তি উদ্ধৃত করেছিলেন।
- বাংলার নবাব আলীবর্দী খাঁও শাহনামা পড়ে উদ্দীপ্ত হয়েছিলেন।
উৎস: কালের কন্ঠ, ৩১ জুলাই, ২০১৫, ‘শাহনামা' গ্রন্থ- কবি ফেরদৌসী।

0
Updated: 1 month ago
কোন গ্রন্থটি মহাকাব্য?
Created: 1 month ago
A
অবকাশ রঞ্জিনী
B
বৃত্রসংহার
C
বিরহ বিলাপ
D
বীরাঙ্গনা কাব্য
বৃত্রসংহার
- 'বৃত্রসংহার' হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত মহাকাব্য।
- মহাভারতের কাহিনী অবলম্বনে রচিত হয়েছে এ কাব্যটি এবং এটি তাঁর শ্রেষ্ঠ রচনা।
- এতে মূলত সমসাময়িক সমাজের অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের জয় ঘোষিত হয়েছে।
- 'বৃত্রসংহার' মহাকাব্যের প্রথম খণ্ড ১৮৭৫ ও দ্বিতীয় খণ্ড ১৮৭৭ সালে প্রকাশিত হয়।
অন্যদিকে,
- নবীনচন্দ্র সেন রচিত কাব্য- অবকাশ রঞ্জিনী।
- 'বিরহ বিলাপ' কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা কায়কোবাদ। এটি তাঁর রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ।
- বাংলা সাহিত্যের প্রথম পত্রকাব্য মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত বীরাঙ্গনা কাব্য। ১৮৬২ সালে এই গ্রন্থ রচিত ও প্রকাশিত হয়।
---------------------
• হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়:
- তিনি হুগলির গুলিটা গ্রামে ১৮৩৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
- কর্মজীবনে হেমচন্দ্র আইনজীবী হিসেবেই প্রতিষ্ঠা লাভ করেন।
- হিন্দু জাতীয়তাবাদের আদর্শে তিনি তাঁর রচনায় দেশপ্রেমকে তুলে ধরেন।
• তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থ:
- চিন্তাতরঙ্গিণী (হেমচন্দ্রের প্রথম কাব্যগ্রন্থ যা ১৮৬১ সালে প্রকাশিত হয়)।
- আশাকানন।
- ছায়াময়ী।
- দশমহাবিদ্যা।
- চিত্তবিকাশ।
- বীরবাহু কাব্য (এটি আখ্যানকাব্য যা ১৮৬৪ সালে প্রকাশিত হয়)।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর ও বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago
সৈয়দ মুজতবা আলীর প্রবন্ধ গ্রন্থ কোনটি?
Created: 4 weeks ago
A
পঞ্চতন্ত্র
B
কালান্তর
C
প্রবন্ধ সংগ্রহ
D
শাশ্বত বঙ্গ
সৈয়দ মুজতবা আলীর গুরুত্বপূর্ণ রচনা ও গ্রন্থসমূহ
পঞ্চতন্ত্র:
-
সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘পঞ্চতন্ত্র’ (১৯৫২) একটি ব্যক্তিগত প্রবন্ধ সংকলন, যা দুই ভাগে বিভক্ত।
-
প্রথম পর্বে: ৩৪টি রচনা
-
দ্বিতীয় পর্বে: ৩১টি রচনা
-
মোট: ৬৫টি প্রবন্ধ
-
-
উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধ: বই কেনা, মোপাসাঁ, চেখফ্-রবীন্দ্রনাথ, বিদেশে, মেশেদিনী, অনুবাদ সাহিত্য, অর্থং অর্থং ইত্যাদি।
-
এই প্রবন্ধগুলো মূলত ‘বসুমতী’ ও ‘দেশ’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
-
এতে মুজতবা আলীর সরস ও প্রাঞ্জল গদ্যশৈলী এবং বিচিত্র বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ পেয়েছে।
-
গ্রন্থটি সাধারণত রম্যসাহিত্যের অন্তর্ভুক্ত।
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ:
-
কালান্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষ জীবনে রচিত রাজনৈতিক প্রবন্ধ সংকলন।
-
শাশ্বত বঙ্গ (কাজী আবদুল ওদুদ): বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও বাঙালির সাংস্কৃতিক ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ।
সৈয়দ মুজতবা আলী: জীবন ও সাহিত্যিক পরিচিতি
-
জন্ম: ১৩ সেপ্টেম্বর ১৯০৪, করিমগঞ্জ, শ্রীহট্ট (সিলেট)। পৈতৃক নিবাস: মৌলভীবাজার, উত্তরসুর গ্রাম।
-
শিক্ষা: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯২৬ সালে স্নাতক।
-
সাহিত্যিক জীবন:
-
প্রথম স্বীকৃতি: ‘দেশে-বিদেশে’ – কাবুলে অবস্থানের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও অন্তরঙ্গ উপলব্ধি থেকে উদ্ভূত।
-
বিশেষ রচনা: ‘পূর্ব-পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা’।
-
ভূমিকা রচনা: কাজী নজরুল ইসলামের ‘রুবাইয়াৎ-ই-ওমর খৈয়াম’ গ্রন্থে।
-
-
মৃত্যু: ১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৪, ঢাকা।
লেখাগুলি ভাগ করা যায়:
-
উপন্যাস: অবিশ্বাস্য, শবনম
-
রম্য রচনা: পঞ্চতন্ত্র, ময়ূরকণ্ঠী
-
ছোটগল্প সংকলন: চাচা-কাহিনী, টুনি মেম
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 4 weeks ago
কোন গ্রন্থটি এয়াকুব আলী চৌধুরী প্রণীত?
Created: 1 month ago
A
মোস্তফা চরিত
B
নয়াজাতির স্রষ্টা হযরত মোহাম্মদ
C
বিশ্বনবী
D
মানব-মুকুট
মোহাম্মদ এয়াকুব আলী চৌধুরী
- মোহাম্মদ এয়াকুব আলী চৌধুরী ছিলেন একজন লেখক ও সাংবাদিক।
- ১৩৯৫ বঙ্গাব্দের ১৮ কার্তিক (নভেম্বর, ১৮৮৮) ফরিদপুর জেলার পাংশা উপজেলার অন্তর্গত মাগুরাডাঙ্গা গ্রামে তাঁর জন্ম।
- এয়াকুব আলী চৌধুরী কংগ্রেস রাজনীতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন। ১৯২০-২১ সালে অসহযোগ ও খিলাফত আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে তিনি কারাবরণ করেন। এর ফলে তাঁর শিক্ষকজীবনেরও অবসান ঘটে।
- অতঃপর তিনি কলকাতা গিয়ে অনুজ আওলাদ আলী চৌধুরীর সঙ্গে সাংবাদিকতার কাজে যোগ দেন এবং বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতির (১৯১১) সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত হন। তিনি কিছুকাল এ সমিতির সম্পাদকও ছিলেন।
- তাঁর ও কবি গোলাম মোস্তফার যুগ্ম সম্পাদনায় ১৯২৭ সালের জানুয়ারি মাসে সমিতির মুখপত্র মাসিক সাহিত্যিক প্রকাশিত হয়।
- জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা মোহাম্মদ রওশন আলী চৌধুরী সম্পাদিত মাসিক কোহিনূরে প্রবন্ধ লিখে তিনি সাহিত্যসাধনা শুরু করেন।
- বিশ শতকের প্রথম দিকে বাঙালি মুসলমানের মাতৃভাষা বাংলা না উর্দু হবে এ বিতর্কে তিনি বাংলা ভাষাকেই সমর্থন করেন।
তাঁর প্রধান রচনাগুলো হলো:
- ধর্মের কাহিনী (১৯১৪),
- নূরনবী (১৯১৮),
- শান্তিধারা (১৯১৮) ও
- মানব মুকুট (১৯২৬)।
অন্যদিকে,
• মাওলানা আকরম খাঁ রচিত হজরত মোহাম্মদ (স.)-এর জীবনী 'মোস্তফা চরিত'।
• ‘বিশ্বনবী’ গদ্যগ্রন্থটির রচয়িতা গোলাম মোস্তফা।
• ‘নয়াজাতি স্রষ্টা: হযরত মুহাম্মদ’ মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ্ রচিত গ্রন্থ।
উৎস: বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago