'রুপ লাগি আঁখি ঝুরে গুণে মন ভোর' কার রচনা?
A
চণ্ডিদাস
B
জ্ঞানদাস
C
বিদ্যাপতি
D
লোচনদাস
উত্তরের বিবরণ
'রূপ লাগি আঁখি ঝুরে গুণে মন ভোর' পঙ্ক্তিটির রচয়িতা- জ্ঞানদাস।
-----------------------
• 'জ্ঞানদাস':
- জ্ঞানদাস ছিলেন চৈতন্যোত্তর বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি।
- জ্ঞানদাস বাংলা ও ব্রজবুলি ভাষায়, রাধাকৃষ্ণ বিষয়ক প্রায় ২শ(মতান্তরে চারশ) পদ লেখেন।
- তাঁর রচিত মাথুর ও মুরলীশিক্ষা বৈষ্ণবগীতিকাব্যের দুটি মূল্যবান গ্রন্থ।
• বিরহের মর্মস্পর্শী আর্তি ফুটে উঠেছে জ্ঞানদাসের কবিতায়:
রূপ লাগি আঁখি ঝুরে গুণে মন ভোর।
প্রতি অঙ্গ লাগি কান্দে প্রতি অঙ্গ মোর।।
• তাঁর আরো একটি বিখ্যাত পদ:
সুখের লাগিয়া এ ঘর বাঁধিনু আনলে পুড়িয়া গেল।
অমিয়-সাগরে সিনান করিতে সকলি গরল ভেল।।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম।
0
Updated: 3 months ago
‘ফুড কনফারেন্স’- এর রচয়িতা কে?
Created: 2 months ago
A
মীর মশাররফ হোসেন
B
কাজী নজরুল ইসলাম
C
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
D
আবুল মনসুর আহমদ
আবুল মনসুর আহমদ (১৮৯৮ - ১৯৭৯) রচিত গল্পগ্রন্থ 'ফুড কনফারেন্স' (১৯৪৪)
0
Updated: 2 months ago
কোনটি রবীন্দ্রনাথের রচনা?
Created: 3 months ago
A
চতুরঙ্গ
B
চতুষ্কোণ
C
চতুর্দশী
D
চতুষ্পাঠী
চতুরঙ্গ উপন্যাস পরিচিতি
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও শেষ উপন্যাস 'চতুরঙ্গ' প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯১৬ সালে। এটি সাধু ভাষায় রচিত হওয়ায় রবীন্দ্রনাথের উপন্যাসগুলোর মধ্যে এর ভাষা ও ধরণ কিছুটা ভিন্ন এবং বিশেষভাবে সমালোচকদের মধ্যে বিভ্রান্তির কারণ হয়েছিল।
'চতুরঙ্গ' উপন্যাসের অধ্যায়গুলি প্রথমে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল ১৩২১ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত, মাসিক সাহিত্য পত্রিকা ‘সবুজপত্র’-এ। তবে সেই সময় পাঠকরা উপন্যাসটির চারটি অংশকে আলাদা আলাদা গল্প ভেবে থাকতেন, কারণ প্রতিটি অধ্যায় আলাদা গল্পের শিরোনামে প্রকাশ পেতো।
উপন্যাসের চারটি প্রধান অংশ ও চরিত্র
উপন্যাসের নামের মতোই এর কাঠামো চতুরঙ্গ অর্থাৎ চারটি অংশে বিভক্ত:
-
জ্যাঠামশায়
-
শচীশ
-
দামিনী
-
শ্রীবিলাস
এই চারটি অংশের প্রতিটি চরিত্রই উপন্যাসের মূল চালিকাশক্তি। 'সবুজপত্র' পত্রিকায় যখন এই অধ্যায়গুলো প্রকাশ পেত, তখন পাঠকরা ভাবতেন আলাদা আলাদা গল্প পাচ্ছেন। তবে পরে জানা যায় এগুলো মূলত একই কাহিনীর বিভিন্ন দিক।
প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্য
-
‘চতুরঙ্গ’ নামক একটি সাহিত্য পত্রিকা ছিল, যা হুমায়ুন কবির সম্পাদনা করতেন।
-
অন্যদিকে, বাংলা সাহিত্যে 'চতুষ্কোণ' নামে একটি উপন্যাস রয়েছে, যা ১৯৪৮ সালে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত।
-
এছাড়াও, বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়ের ১৯৪৭ সালের কাব্যগ্রন্থ ‘চতুর্দশী’ বাংলায় উল্লেখযোগ্য।
উৎস:
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর
-
'চতুরঙ্গ' — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
0
Updated: 3 months ago
কোনটি কাজী নজরুল ইসলাম রচতি গ্রন্থ?
Created: 3 months ago
A
বিষের বাঁশী
B
বন্দীর বন্দনা
C
সন্দ্বীপের চর
D
রূপসী বাংলা
কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ‘বিষের বাঁশী’ বাংলা সাহিত্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও সাহসী সংযোজন। ১৩৩১ বঙ্গাব্দের শ্রাবণ মাসে (আগস্ট, ১৯২৪) এই কাব্যগ্রন্থটি কবি নিজ উদ্যোগে প্রকাশ করেন।
প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার বইটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে—এই কাব্যই নজরুলের প্রথম নিষিদ্ধকৃত রচনা। দীর্ঘ ২১ বছর পর, ১৯৪৫ সালের ২৭ এপ্রিল এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়।
এই কাব্যে নজরুলের কাব্যিক বলিষ্ঠতা, উদ্দাম যৌবনের শক্তি, মানবতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি, সামাজিক প্রতিচিন্তা ও গীতিময় প্রতিভার পূর্ণ প্রকাশ ঘটেছে। ‘বিষের বাঁশী’-র কবিতাগুলোর অন্তর্নিহিত ভাবধারা মূলত উদারনৈতিক চেতনায় গঠিত।
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ ও কবি:
-
‘বন্দীর বন্দনা’ রচনা করেছেন বুদ্ধদেব বসু।
-
‘সন্দ্বীপের চর’ কাব্যগ্রন্থের কবি হলেন বিষ্ণু দে।
-
আর ‘রূপসী বাংলা’ রচনা করেছেন স্বনামধন্য কবি জীবনানন্দ দাশ।
কাজী নজরুল ইসলাম: এক বিদ্রোহী আত্মার নাম
বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে খ্যাত কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন অবিভক্ত বাংলার সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সমাজ চেতনার এক অগ্রদূত। তাঁর জন্ম ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ, অর্থাৎ ২৪ মে ১৮৯৯ সালে, পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে। শৈশবে তিনি পরিচিত ছিলেন ‘দুখু মিয়া’ নামে।
বাংলা সাহিত্যে তিনি পরিচিত ‘বিদ্রোহী কবি’ হিসেবে, যিনি অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে কলমের মাধ্যমে রুখে দাঁড়িয়েছেন। পাশাপাশি আধুনিক বাংলা গানের ভুবনে তাঁর অবদান তাঁকে এনে দিয়েছে ‘বুলবুল’ উপাধি।
উৎস: বাংলা ভাষা সাহিত্য জিজ্ঞাসা (সৌমিত্র শেখর) এবং বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 3 months ago