মুক্তিযুদ্ধকালীন 'বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল' কত নং সেক্টরে অবস্থিত ছিল?
A
১ নং
B
২ নং
C
৪ নং
D
৯ নং
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল
-
মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য গড়ে উঠেছিল ফিল্ড হাসপাতাল।
-
২ নং সেক্টরে অবস্থিত এই হাসপাতালটি ‘বাংলাদেশ হাসপাতাল’ নামে পরিচিত।
-
প্রতিটি সেক্টরের হেডকোয়ার্টারের সঙ্গে একটি করে মেডিকেল ইউনিট ছিল। ২ নং সেক্টর বিস্তৃত ছিল বৃহত্তর নোয়াখালী, কুমিল্লা জেলার আখাউড়া-ভৈরব রেললাইন পর্যন্ত, ঢাকা শহর ও ফরিদপুর জেলার পূর্বাংশ পর্যন্ত।
-
২ নং সেক্টরের হেডকোয়ার্টার: ভারতের আগরতলা (প্রথমে মতিনগর, পরে মেলাঘর)। নেতৃত্বে ছিলেন মেজর খালেদ মোশাররফ। ঢাকায় গেরিলাযুদ্ধের পরিকল্পনা ও পরিচালনা মূলত এই সেক্টর থেকেই করা হতো।
চিকিৎসা ও পরিচালনা:
-
আহতদের জটিল ও সমন্বিত চিকিৎসা মূলত ভারতীয় হাসপাতালে দেওয়া হতো, তবে বাংলাদেশ হাসপাতাল সম্পূর্ণ বাংলাদেশি জনবল ও অর্থায়নে পরিচালিত হয়।
-
হাসপাতালের নেপথ্য কারিগররা: ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ডা. এম এ মোবিন, প্রয়াত ডা. আখতার আহমেদ, ডা. নাজিমুদ্দীন আহমেদ ও ডা. সিতারা বেগম।
-
ক্যাপ্টেন আখতার মেজর খালেদের সঙ্গে পরামর্শ করে কুমিল্লা সীমান্তের শ্রীমন্তপুর এলাকায় হাসপাতালের উদ্যোগ নেন।
-
ডা. আখতার কমান্ডিং অফিসার হলেও মূল কাজকর্ম চালাতেন ডা. নাজিম।
-
মে মাসে হাসপাতালে যোগ দেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও ডা. এম এ মোবিন।
-
সেপ্টেম্বর মাসে যোগ দেন ক্যাপ্টেন সিতারা বেগম।
-
১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় অর্জন পর্যন্ত সক্রিয় ছিলেন ডা. আখতার, ডা. নাজিম, ডা. সিতারা এবং পরামর্শক হিসেবে ডা. মোবিন।
-
২ নং সেক্টরের সাবসেক্টরগুলোতে ফার্স্ট এইডে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যোদ্ধারা দায়িত্বে থাকতেন।
0
Updated: 1 month ago
Which is known as the 'Gate of Tears'?
Created: 1 month ago
A
Bosporus
B
Gibraltar
C
Bab el-Mandeb
D
Hormuz
বাব এল-মান্দেব প্রণালী, যা 'Gate of Tears' নামে পরিচিত, আরব এবং দক্ষিণ-পশ্চিম আফ্রিকার মধ্যবর্তী একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রণালী। এটি এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশকে পৃথক করে এবং লোহিত সাগর, এডেন উপসাগর ও ভারত মহাসাগরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে।
-
বাব এল-মান্দেব প্রণালী আরবি নাম বাব আল-মান্দব।
-
প্রণালীটির মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ১৪৮০ কিমি এবং গড় প্রস্থ প্রায় ৪৮০ কিমি।
-
এটি লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগর এবং দক্ষিণ-পূর্বে ভারত মহাসাগরের সঙ্গে সংযুক্ত।
-
এডেন উপসাগর একটি গভীর জলের অববাহিকা, যা লোহিত সাগর এবং আরব সাগরের মধ্যে প্রাকৃতিক সমুদ্র সংযোগ তৈরি করে।
-
প্রণালীটি এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশকে পৃথক করেছে।
-
প্রণালীটির প্রস্থ ৩২ কিমি, যা পেরিম দ্বীপ দ্বারা দুটি চ্যানেলে বিভক্ত; পশ্চিম চ্যানেল প্রায় ২৬ কিমি প্রশস্ত এবং পূর্ব চ্যানেল প্রায় ৩ কিমি প্রশস্ত।
-
সুয়েজ খাল নির্মাণের ফলে প্রণালীটি ভূমধ্যসাগর এবং পূর্ব এশিয়ার মধ্যে সংযোগের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত।
-
প্রণালীটির আরবি নামের অর্থ ‘কান্নার দ্বার’।
তথ্যসূত্র:
0
Updated: 1 month ago
Which countries are divided by the Medicine Line (boundary)?
Created: 1 month ago
A
Brazil and Bolivia
B
United States and Canada
C
Germany and Poland
D
Egypt and Sudan
মেডিসিন লাইন (Medicine Line) হলো যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মধ্যকার বিখ্যাত সীমারেখা, যা বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ ও অরক্ষিত আন্তর্জাতিক সীমান্ত হিসেবে পরিচিত। এটি ভৌগোলিক ও ঐতিহাসিক উভয় দিক থেকেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিচে এর বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করা হলো—
-
অবস্থান ও পরিচয়: মেডিসিন লাইন হলো যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মধ্যকার সীমারেখা, যা বিশেষভাবে ৪৯° উত্তর অক্ষরেখা (49th Parallel) বরাবর বিস্তৃত।
-
ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য: ৪৯° উত্তর অক্ষরেখা হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার দীর্ঘতম আন্তর্জাতিক সীমান্তের একটি সোজা রেখা, যা পশ্চিম দিকের বৃহৎ অংশ জুড়ে বিস্তৃত।
-
দৈর্ঘ্য: প্রায় ৫,৫২৫ মাইল (৮,৮৯১ কিলোমিটার) দীর্ঘ, যা একে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ অরক্ষিত (unfortified) সীমান্ত হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
-
চুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠা: এই সীমারেখা ১৮৪৬ সালের ওরেগন ট্রিটি (Oregon Treaty) দ্বারা নির্ধারিত হয়েছিল, যা ব্রিটিশ উত্তর আমেরিকা (বর্তমান কানাডা) ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার ভূখণ্ড বিতর্কের অবসান ঘটায়।
-
নামকরণের ইতিহাস: কানাডার স্থানীয় আদিবাসীরা এই সীমারেখাকে “মেডিসিন লাইন” নামে অভিহিত করেন। তাদের বিশ্বাস ছিল, এই অদৃশ্য রেখা অতিক্রম করলেই যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা আর তাদের অনুসরণ করত না—যেন এই রেখায় কোনো অলৌকিক ক্ষমতা কাজ করত।
-
গুরুত্ব: এটি শুধু ভৌগোলিক সীমানাই নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সম্পর্কের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
0
Updated: 1 month ago
সার্ক কোন দেশসমূহের একটি বহুপাক্ষিক আঞ্চলিক সহযোগিতা ফোরাম?
Created: 1 month ago
A
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার
B
দক্ষিণ- পশ্চিম এশিয়ার
C
দক্ষিণ এশিয়ার
D
দক্ষিণ-উত্তর এশিয়ার
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতা ও উন্নয়নের উদ্দেশ্যে গঠিত একটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সংগঠন হলো South Asian Association for Regional Cooperation (SAARC)। এটি দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
-
সার্ক প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৫ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকায়।
-
সদরদপ্তর অবস্থিত কাঠমান্ডু, নেপাল।
-
সার্কের বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৮টি দেশ।
-
সার্কের প্রথম মহাসচিব ছিলেন বাংলাদেশের আবুল আহসান।
-
বর্তমান মহাসচিব হলেন গোলাম সারওয়ার।
-
সার্কের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সংখ্যা ছিল ৭টি দেশ।
-
বর্তমান সদস্য দেশগুলো হলো বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, মালদ্বীপ ও আফগানিস্তান।
-
সর্বশেষ সদস্য আফগানিস্তান, যা ২০০৭ সালের ৩ এপ্রিল সার্কে যোগ দেয়।
0
Updated: 1 month ago