অমিয় চক্রবর্তী রচিত কাব্যগ্রন্থ কোনটি?
A
কঙ্কাবতী
B
দময়ন্তী
C
মর্মবাণী
D
মাটির দেওয়াল
উত্তরের বিবরণ
অমিয় চক্রবর্তী ১৯০১ সালে পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তিরিশের পঞ্চকবির একজন প্রধান কবি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রেক্ষাপটে তিনি 'বাংলাদেশ' কবিতা রচনা করেন, যা 'অনিঃশেষ' কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত এবং অক্ষরবৃত্ত ছন্দে রচিত।
-
অমিয় চক্রবর্তী রচিত কাব্যগ্রন্থ:
-
কবিতাবলী
-
উপহার
-
অনিঃশেষ
-
খসড়া
-
এক মুঠো
-
মাটির দেওয়াল
-
অভিজ্ঞান বসন্ত
-
হারানো অর্কিড
-
পুষ্পিত ইমেজ
-
অমরাবতী ইত্যাদি
-
-
বুদ্ধদেব বসু রচিত কাব্যগ্রন্থ:
-
কঙ্কাবতী
-
দময়ন্তী
-
মর্মবাণী
-

0
Updated: 19 hours ago
সাহিত্যের রূপ ও রীতির বিচারে কোন গ্রন্থটি ব্যতিক্রম?
Created: 1 week ago
A
বাংলা কাব্য
B
দিবারাত্রির কাব্য
C
শেষের কবিতা
D
নদী ও নারী
সাহিত্যের রূপ ও রীতির বিচারে ব্যতিক্রমী গ্রন্থটি হলো বাংলা কাব্য। কারণ, দিবারাত্রির কাব্য, শেষের কবিতা এবং নদী ও নারী — এই তিনটি গদ্যসাহিত্য তথা উপন্যাস, যেখানে বাংলা কাব্য পদ্যে রচিত।
• দিবারাত্রির কাব্য উপন্যাস
-
লেখক: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
-
প্রকাশকাল: ১৯৩৫ সাল
-
প্রধান চরিত্র: হেরম্ব ও আনন্দ প্রমুখ
• শেষের কবিতা উপন্যাস
-
এটি একটি রোমান্টিক-মনস্তাত্ত্বিক কাব্যিক উপন্যাস
-
প্রকাশকাল: ১৯২৯ সাল
-
একে কাব্যোপন্যাস বলা হয়
-
এতে বিংশ শতকের বাংলার নবশিক্ষিত অভিজাত সমাজের জীবনকথা চিত্রিত হয়েছে
• নদী ও নারী উপন্যাস
-
লেখক: হুমায়ুন কবির
-
এটি তাঁর একমাত্র উপন্যাস, প্রথমে ইংরেজিতে Men and Rivers নামে রচিত হয় (১৯৪৫ সালে)
-
বাংলা সংস্করণ প্রকাশিত হয় ১৯৫২ সালে
-
উপন্যাসে পূর্ববঙ্গ তথা বর্তমান বাংলাদেশের পদ্মাবিধৌত ফরিদপুর অঞ্চলের ভূমিহীন কৃষিশ্রমজীবী বাঙালি মুসলমানের জীবনচিত্র ফুটে উঠেছে
-
এটি বাংলাদেশের সমাজ-ইতিহাসে এক মাইলফলক হিসেবে গণ্য
-
উপন্যাসে নদী ও নারীর প্রভাব মানুষের জীবনে কেমন গভীরভাবে আলোড়ন তোলে তা স্পষ্টভাবে চিত্রিত হয়েছে
-
চরিত্রগুলোর মাধ্যমে লেখক বাঙালি মুসলমানের সমাজ, সংস্কৃতি ও জীবনের ভেতর-বাহিরকে নিপুণভাবে তুলে ধরেছেন
-
মানুষের জীবন আসলে এক অবিরাম সংগ্রাম, পদ্মার চরাঞ্চলের মানুষের জীবনের মধ্য দিয়ে এ সত্য উপন্যাসে প্রকাশ পেয়েছে

0
Updated: 1 week ago
'দারিদ্র্য' কবিতাটি নজরুল ইসলামের কোন কাব্যের অন্তর্ভুক্ত?
Created: 2 months ago
A
সাম্যবাদী
B
বিষের বাঁশী
C
সিন্ধু হিন্দোল
D
নতুন চাঁদ
'দারিদ্র্য' কবিতাটি কাজী নজরুল ইসলামের 'সিন্ধু হিন্দোল' কাব্যের অন্তর্গত।
• 'সিন্ধু হিন্দোল' কাব্য:
- সিন্ধু হিন্দোল কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত একটি কাব্যগ্রন্থ।
- ১৯২৭ খৃষ্টাব্দে এই গ্রন্থটি প্রথম প্রকাশিত হয়। ১৯টি কবিতা নিয়ে এই কাব্যগ্রন্থ।
- ''দারিদ্র'' কবিতাটি এই কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত।
এই কবিতার কয়েকটি লাইন-
"হে দারিদ্র্য, তুমি মোরে করেছ মহান্।
তুমি মোরে দানিয়াছ খ্রীষ্টের সম্মান
কন্টক-মুকুট শোভা।-দিয়াছ, তাপস,
অসঙ্কোচ প্রকাশের দুরন্ত সাহস;
উদ্ধত উলঙ্গ দৃষ্টি, বাণী ক্ষুরধার,
বীণা মোর শাপে তব হ’ল তরবার!"
-------------------
• কাজী নজরুল ইসলাম:
- কাজী নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশের জাতীয় কবি এবং অবিভক্ত বাংলার সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব।
- তিনি ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে ১৮৯৯) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
- তাঁর ডাক নাম ছিল ‘দুখু মিয়া’।
- তাঁর প্রথম প্রকাশিত কবিতার নাম ‘মুক্তি’।
- 'মুক্তি' কবিতাটি বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
- ‘অগ্নি-বীণা’ কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ।
- কাজী নজরুলের রচিত প্রথম উপন্যাস ‘বাঁধন-হারা’।
- তাঁর প্রথম প্রকাশিত প্রবন্ধের নাম তুর্কিমহিলার ঘোমটা খোলা।
- তাঁর প্রথম প্রকাশিত নাটক - ঝিলিমিলি।
কাজী নজরুল ইসলামের কাব্যগ্রন্থ:
- অগ্নিবীণা,
- বিষের বাঁশি,
- ভাঙার গান,
- সাম্যবাদী,
- সর্বহারা,
- ঝিঙে ফুল,
- ফণি-মনসা,
- জিঞ্জির,
- সন্ধ্যা,
- নতুন চাঁদ,
- প্রলয় শিখা ইত্যাদি।
উৎস: বাংলাপিডিয়া এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা- ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 2 months ago
'সাত সাগরের মাঝি' কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা কে?
Created: 2 months ago
A
কাজী নজরুল ইসলাম
B
ফররুখ আহমদ
C
আব্দুল কাদির
D
বন্দে আলী মিয়া
‘সাত সাগরের মাঝি’ কাব্যগ্রন্থ
কবি ফররুখ আহমদের সাহিত্যিক জীবনের সূচনাপর্বে প্রকাশিত অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাব্যগ্রন্থ হলো ‘সাত সাগরের মাঝি’, যা ১৯৪৪ সালে প্রথমবারের মতো পাঠকের সামনে আসে। এটি তাঁর প্রথম ও অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত। এই গ্রন্থে মোট ১৯টি কবিতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। গ্রন্থটির শেষ কবিতার নামও ‘সাত সাগরের মাঝি’, যা শিরোনামের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। বইটিতে আরও যেসব উল্লেখযোগ্য কবিতা রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে সিন্দাবাদ, পাঞ্জেরি, লাশ, আউলাদ, এবং দরিয়ার শেষরাত্রি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
ফররুখ আহমদ: একজন মুসলিম পুনর্জাগরণবাদী কবি
ফররুখ আহমদ ১৯১৮ সালের ১০ই জুন জন্মগ্রহণ করেন মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার মাঝাইল গ্রামে। বাংলা সাহিত্যে তিনি পরিচিত মুসলিম পুনর্জাগরণের কবি হিসেবে। তাঁর কবিতায় ইসলামী ভাবধারা, সমাজসচেতনতা এবং সংস্কৃতির গভীর প্রভাব প্রতিফলিত হয়েছে। ১৯৪৪ সালে কলকাতার দুর্ভিক্ষকে কেন্দ্র করে রচিত ‘লাশ’ কবিতা তাঁকে সাহিত্যিক খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছে দেয়।
তিনি কাহিনিনির্ভর কবিতার ক্ষেত্রেও অনন্য। তাঁর লেখা ‘হাতেমতায়ী’ কাব্যের জন্য তিনি ১৯৬৬ সালে আদমজী পুরস্কার অর্জন করেন। একই বছরে তাঁর ‘পাখির বাসা’ নামক শিশুতোষ রচনার জন্য তিনি ইউনেস্কো পুরস্কার লাভ করেন।
ফররুখ আহমদের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থসমূহ
ফররুখ আহমদের সাহিত্যকর্মে যে কাব্যগ্রন্থগুলো বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, তার মধ্যে রয়েছে:
-
সাত সাগরের মাঝি
-
সিরাজাম মুনীরা
-
নৌফেল ও হাতেম
-
মুহূর্তের কবিতা
-
সিন্দাবাদ
-
হাতেমতায়ী
-
নতুন লেখা
-
হাবেদা মরুরকাহিনী
তথ্যসূত্র:
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা — ড. সৌমিত্র শেখর
বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 months ago