নিচের কোনটি বিষ্ণু দে রচিত কাব্যগ্রন্থ?
A
মাটির দেওয়াল
B
চোরাবালি
C
হারানো অর্কিড
D
অর্কেষ্ট্রা
উত্তরের বিবরণ
বিষ্ণু দে ছিলেন কবি, প্রাবন্ধিক, চিত্রসমালোচক ও শিল্পানুরাগী। তিনি ১৯০৯ সালের ১৮ জুলাই কলকাতার পটলডাঙ্গায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা অবিনাশচন্দ্র দে ছিলেন একজন অ্যাটর্নি। বিষ্ণু দে ত্রিশোত্তর বাংলা কবিতার নব্যধারার আন্দোলনের প্রধান পাঁচজন কবির অন্যতম ছিলেন। তিনি মার্কসবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ ছিলেন এবং তাঁর কবিতায় টি.এস. এলিয়টের কবিতার প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। তিনি ১৯৩১ থেকে ১৯৪৭ পর্যন্ত পরিচয় পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন এবং তাঁর প্রকাশিত অপর পত্রিকা ছিল সাহিত্যপত্র।
তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থ
-
উর্বশী ও আর্টেমিস
-
চোরাবালি
-
স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ
-
সেই অন্ধকার চাই
-
নাম রেখেছি কোমল গান্ধার
-
তুমি শুধু পঁচিশে বৈশাখ
তাঁর রচিত প্রবন্ধ
-
রুচি ও প্রগতি
-
সাহিত্যের ভবিষ্যৎ
-
রবীন্দ্রনাথ ও শিল্প সাহিত্যে আধুনিকতার সমস্যা
অন্যদিকে
-
অমিয় চক্রবর্তীর কাব্যগ্রন্থ: মাটির দেওয়াল, হারানো অর্কিড
-
সুধীন্দ্রনাথ দত্তের কাব্যগ্রন্থ: অর্কেষ্ট্রা
0
Updated: 1 month ago
ভাষা মানুষের মুখ থেকে কলমের মুখে আসে, উল্টোটা করতে গেলে মুখে শুধু কালি পড়ে” কে বলেছেন?
Created: 1 month ago
A
মীর মশাররফ হোসেন
B
প্রথম চৌধুরী
C
মুনীর চৌধুরী
D
মোতাহের হোসেন চৌধুরী
প্রমথ চৌধুরী
-
সাহিত্যিক ও বাংলা চলিত গদ্যরীতির প্রবর্তক।
-
জন্ম: ১৮৬৮ সালের ৭ আগস্ট, যশোরে।
-
সাহিত্যিক ছদ্মনাম: ‘বীরবল’।
-
তাঁর রচনা ‘বীরবলের হালখাতা’ ১৯০২ সালে ভারতী পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়। এই গ্রন্থে তিনি প্রথম চলিত রীতির প্রয়োগ ঘটান।
-
বাংলা কাব্য সাহিত্যে তিনিই প্রথম ইতালীয় সনেটের প্রবর্তন করেন।
-
তিনি ‘সবুজপত্র’ পত্রিকাটি সম্পাদনা করেন।
বিখ্যাত কিছু উক্তি:
-
সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।
-
ভাষা মানুষের মুখ থেকে কলমের মুখে আসে, উল্টোটা করতে গেলে মুখে শুধু কালিই পড়ে।
-
আনন্দের ধর্ম এই যে তা সংক্রামক।
-
সাহিত্যে মানবত্মা খেলা করে এবং সেই খেলার আনন্দ উপভোগ করে।
-
যে খেলার ভিতর আনন্দ নেই কিন্তু উপরি পাওনার আশা আছে, তার নাম খেলা নয়, জুয়াখেলা।
-
যে জাতি যত নিরানন্দ সে জাতি তত নির্জীব।
0
Updated: 1 month ago
'মৈথিল কোকিল' নামে খ্যাত কে?
Created: 2 months ago
A
বিদ্যাপতি
B
চণ্ডীদাস
C
আলাওল
D
কালিদাস
বিদ্যাপতি
পরিচয়:
-
মিথিলার রাজসভার কবি।
-
পঞ্চদশ শতকের কবি।
উপাধি:
-
মিথিলার রাজা শিবসিংহ তাঁকে কবিকন্ঠহার উপাধিতে ভূষিত করেন।
-
তাঁকে মৈথিল কোকিল বলা হয়।
-
কারণ: কোকিল যেমন সুললিত সুমধুর গান গেয়ে সকলকে মুগ্ধ করে, বিদ্যাপতি মৈথিলি ভাষায় সুন্দর পদাবলি ও গীতিকবিতা রচনা করে সকলকে মুগ্ধ করেছিলেন।
-
সাহিত্যিক ভূমিকা:
-
বৈষ্ণব কবি।
-
পদসঙ্গীত ধারার রূপকার।
-
শ্রেষ্ঠ কীর্তি: ব্রজবুলিতে রচিত রাধাকৃষ্ণ বিষয়ক পদ।
উৎস:
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
0
Updated: 2 months ago
'আমি কি দুঃখেরে ডরাই'- উক্তিটি কার রচনা?
Created: 1 month ago
A
মালাধর বসু
B
রামনিধি গুপ্ত
C
রামপ্রসাদ সেন
D
মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
রামপ্রসাদ সেন
১. পরিচিতি
-
শাক্তসঙ্গীত/শ্যামাসঙ্গীত রচনায় বিখ্যাত, শাক্ত পদাবলীর আদি ও শ্রেষ্ঠ কবি।
-
জন্ম: পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার কুমারহট্ট গ্রামে, কবিরাজ বংশে।
-
শ্যামাসঙ্গীতের সংখ্যা প্রায় ৩০০।
-
নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় তাঁকে রাজসভায় যোগদানের আহবান জানান এবং 'কবিরঞ্জন' উপাধিতে ভূষিত করেন।
-
রামপ্রসাদী সুর: ভক্তিভাব, রাগ ও বাউল সুরের মিশ্রণে তাঁর সৃষ্টি সঙ্গীত।
২. বিখ্যাত উক্তি
"আমি কি দুঃখেরে ডরাই"
৩. কিছু জনপ্রিয় গান
-
"মন রে কৃষি কাজ জানো না"
-
"ডুব দেরে মন কালী বলে"
-
"মা আমায় ঘুরাবি কত"
0
Updated: 1 month ago