কাজী নজরুল ইসলামের রচিত প্রথম নাটক কোনটি?
A
আলেয়া
B
ঝিলিমিলি
C
পুতুলের বিয়ে
D
মধুমালা
উত্তরের বিবরণ
কাজী নজরুল ইসলাম ২৪ মে ১৮৯৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে তিনি বিদ্রোহী কবি নামে পরিচিত। আধুনিক বাংলা গানের জগতে তিনি বুলবুল নামে খ্যাত। নজরুলের কবি ও শিল্পী জীবনের শুরু লেটোদল থেকে। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে স্বীকৃত। ২৯ আগস্ট ১৯৭৬ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
কাজী নজরুল ইসলামের রচিত নাটক
ঝিলিমিলি
-
এটি নজরুলের প্রথম নাটক।
-
এটি একটি নাটকের সংকলন।
-
এতে তিনটি নাটক সংকলিত হয়েছে।
অন্যান্য নাটক
-
আলেয়া (গীতিনাট্য, ১৯৩১)
-
পুতুলের বিয়ে (কিশোর নাটক, ১৯৩৩)
-
মধুমালা (গীতিনাট্য, ১৯৫৯)
0
Updated: 1 month ago
সেক শুভোদয়া গ্রন্থের গল্প প্রথম কোন রাজার রাজসভায় উপস্থাপন করা হয়?
Created: 2 months ago
A
সামন্ত সেনের
B
বিজয় সেনের
C
লক্ষ্মণ সেনের
D
বল্লাল সেনের
‘সেক শুভোদয়া’
-
রচয়িতা: হলায়ুধ মিশ্র
-
এটি একটি পীর মাহাত্ম্য-ব্যঞ্জক চম্পুকাব্য, যা সংস্কৃত গদ্যপদ্যে লেখা।
-
বাংলা ভাষা ও সংস্কৃত শব্দের অশুদ্ধ ব্যবহার থাকায় সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় এটিকে ‘dog Sanskrit’ বলেছেন।
-
ড. মুহাম্মদ এনামুল হক এর মতে, এটি খ্রিস্টীয় ত্রয়োদশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে রচিত।
গ্রন্থের বিষয়বস্তু ও প্রকাশনা
-
গল্প পরিবেশন করেছেন শেখ জালালুদ্দীন তাবরেজি, যিনি লক্ষ্মণ সেনের সভায় এটি উপস্থাপন করেন।
-
গ্রন্থে বাংলা ছড়া ও বাগধারা ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।
-
গদ্যপদ্য মিলিয়ে গ্রন্থে ২৫টি অধ্যায় আছে।
-
১৩২০-২১ বঙ্গাব্দে মণীন্দ্রমোহন বসু ১৩টি পরিচ্ছেদ বঙ্গানুবাদসহ ‘কায়স্থ’ পত্রিকায় প্রকাশ করেন।
-
১৩৩৪ বঙ্গাব্দে সুকুমার সেনের সম্পাদনায় গ্রন্থটি প্রথম মুদ্রিত হয়।
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
0
Updated: 2 months ago
নিচের কোনটি দেশি শব্দ নয়?
Created: 1 month ago
A
পান্তা
B
ডাব
C
ডিঙা
D
মরিচ
দেশি শব্দ হলো সেইসব শব্দ যা বাংলা অঞ্চলের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় স্থান পেয়েছে। এই শব্দগুলো মূলত স্থানীয় ভাষা ও সংস্কৃতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত।
যেমন কিছু দেশি শব্দ:
-
ডিঙা
-
পেট
-
পান্তা
-
ডাব
-
টোপর
-
ঘাঁটি
অন্যদিকে, মরিচ শব্দটি সংস্কৃত উৎসের।
0
Updated: 1 month ago
ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর কোন কাব্য রচনা করেন?
Created: 3 weeks ago
A
অভয়া মঙ্গল
B
শিব মঙ্গল
C
অন্নদা মঙ্গল
D
শীতলা মঙ্গল
ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর বাংলা মধ্যযুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি, যিনি রচনা করেছিলেন ‘অন্নদা মঙ্গল’ কাব্য। এটি বাংলা সাহিত্যের বিখ্যাত মঙ্গলকাব্য ধারার একটি শ্রেষ্ঠ নিদর্শন, যেখানে ধর্মীয় উপাখ্যানের সঙ্গে মানবজীবনের আনন্দ-বেদনা ও সমাজজীবনের বাস্তব চিত্র একসঙ্গে ফুটে উঠেছে।
মূল তথ্যসমূহ:
কবি পরিচয়: ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর ১৮শ শতকের কবি ছিলেন। তাঁর জন্ম হুগলির ট্রিবেনী অঞ্চলে। তিনি বাংলা কাব্যজগতে রস, ভাষা ও ছন্দের এক নতুন মাত্রা যুক্ত করেন। তাঁর রচনায় ধর্মীয় ভাব, কাব্যিক সৌন্দর্য এবং মানবিক আবেগ একত্রে মিশে আছে।
কাব্যের প্রকৃতি ও উদ্দেশ্য: ‘অন্নদা মঙ্গল’ কাব্যটি মূলত দেবী অন্নদার মহিমা বর্ণনা করে রচিত হলেও এর মধ্যে নিহিত আছে মানবজীবনের নৈতিক শিক্ষা ও সমাজবাস্তবতার প্রতিফলন। এটি শুধু ধর্মীয় কাহিনি নয়, বরং সামাজিক ও নৈতিক মূল্যবোধের প্রতিচ্ছবি।
গঠন ও বিষয়বস্তু: কাব্যটি দুটি ভাগে বিভক্ত—বিষ্ণুপুরের রাজা শিবচন্দ্র ও রানি অন্নদা, এবং উষ্ণানন্দ ও সুন্দরীর কাহিনি। উভয় অংশেই প্রেম, ভক্তি ও দেবী অন্নদার কৃপা মিলিত হয়ে কাহিনিকে গভীরতা দিয়েছে।
ভাষা ও শৈলী: ভারতচন্দ্রের ভাষা ছিল সহজ, মধুর ও ছন্দবদ্ধ। তিনি সংস্কৃত ও তৎসম শব্দের সঙ্গে দেশজ শব্দ ব্যবহার করে ভাষাকে প্রাণবন্ত করেছেন। তাঁর কবিতায় রস, অলঙ্কার ও ছন্দের মেলবন্ধন অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর।
সাহিত্যিক মূল্য: ‘অন্নদা মঙ্গল’ কাব্যে ভারতচন্দ্র ধর্মীয় ভাবকে সাহিত্যিক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। এটি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাব্য হিসেবে স্বীকৃত। এখানে দেবতা ও মানুষের সম্পর্ক, পুণ্য ও পাপ, ভক্তি ও প্রেম—সব কিছু কাব্যিকভাবে প্রকাশ পেয়েছে।
সাংস্কৃতিক গুরুত্ব: এই কাব্য বাংলা সমাজে দেবী অন্নদার পূজার প্রচলন ও নারীশক্তির মাহাত্ম্য তুলে ধরেছে। পাশাপাশি এটি মধ্যযুগীয় বাংলার ধর্মীয় বিশ্বাস ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের দলিল হিসেবেও গণ্য হয়।
অতএব, বলা যায়, ‘অন্নদা মঙ্গল’ কাব্যই ভারতচন্দ্র রায়গুণাকরের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি, যা তাঁকে বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় কবি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
0
Updated: 1 week ago