জীবনানন্দ দাশের রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ কোনটি?
A
ধূসর পাণ্ডু লিপি
B
মহাপৃথিবী
C
ঝরা পালক
D
রূপসী বাংলা
উত্তরের বিবরণ
জীবনানন্দ দাশ বাংলা সাহিত্যের অন্যতম আধুনিক কবি ও একজন শিক্ষাবিদ হিসেবে পরিচিত। তিনি ১৮৯৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁদের আদি নিবাস ছিল বিক্রমপুরের গাওপাড়া গ্রামে। তাঁর মা কুসুমকুমারী দাশ নিজেও ছিলেন একজন কবি। জীবনানন্দ দাশের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ হলো ঝরা পালক।
তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থসমূহ
-
ধূসর পাণ্ডুলিপি
-
বনলতা সেন
-
মহাপৃথিবী
-
সাতটি তারার তিমির
-
রূপসী বাংলা
-
বেলা অবেলা কালবেলা
তাঁর রচিত উপন্যাস
-
মাল্যবান
-
সতীর্থ
তাঁর রচিত প্রবন্ধগ্রন্থ
-
কবিতার কথা

0
Updated: 19 hours ago
কবি কায়কোবাদ রচিত 'মহাশ্মশান' কাব্যের ঐতিহাসিক পটভূমি ছিল-
Created: 1 month ago
A
পলাশীর যুদ্ধ
B
তৃতীয় পানিপথের যুদ্ধ
C
১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ
D
ছিয়াত্তরের মন্বন্তর
কায়কোবাদের ‘মহাশ্মশান’ কাব্য
-
রচনা প্রসঙ্গ: কাব্যটি পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধকে কেন্দ্র করে রচিত।
-
প্রকাশ ও ধারাবাহিকতা: কাব্যটি ধারাবাহিকভাবে ‘কোহিনূর’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়, সম্পাদনা করেন মহম্মদ রওশন আলী।
-
কাব্যের খন্ড ও সর্গ:
-
মোট খন্ড: ৩টি
-
প্রথম খণ্ড: ১৯ সর্গ
-
দ্বিতীয় খণ্ড: ২৪ সর্গ
-
তৃতীয় খণ্ড: ৭ সর্গ
-
-
উৎস: মুনীর চৌধুরীর রক্তাক্ত প্রান্তরের কাহিনি।
-
প্রকাশকাল: ১৯০৪ সাল
-
প্রধান চরিত্র: এব্রাহিম কার্দি, জোহরা বেগম, হিরণ বালা, আতা খাঁ, লঙ্গ, রত্নজি, সুজাউদ্দৌলা, সেলিনা, আহমদ শাহ্ আব্দালী।
কায়কোবাদ
-
মূল নাম: কাজেম আল কোরেশী
-
প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: বিরহ-বিলাপ
-
সাহিত্যে অবদান:
-
বাঙালি মুসলমানদের মধ্যে প্রথম মহাকাব্য রচয়িতা
-
আধুনিক বাংলা সাহিত্যে প্রথম মুসলিম কবি
-
-
অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ: বিরহ-বিলাপ, অমিয়ধারা, অশ্রুমালা, কুসুমকানন, শিবমন্দির ইত্যাদি
সূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র ও শেখর; বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
'অগ্নিবীণা' কাব্যগ্রন্থ কাকে উৎসর্গ করা হয়েছে?
Created: 1 week ago
A
বারীন্দ্রকুমার ঘোষ
B
চিত্তরঞ্জন দাশ
C
সুভাষচন্দ্র বসু
D
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
কাজী নজরুল ইসলাম ও ‘অগ্নিবীণা’ কাব্যগ্রন্থ
-
অগ্নিবীণা:
-
প্রথম কাব্যগ্রন্থ: কাজী নজরুল ইসলামের
-
প্রকাশকাল: ১৩২৯ বঙ্গাব্দের কার্তিক মাস (সেপ্টেম্বর, ১৯২২ খ্রিস্টাব্দ)
-
প্রথম কবিতা: প্রলয়োল্লাস
-
মোট কবিতা সংখ্যা: ১২টি
-
উৎসর্গ: বিপ্লবী বারীন্দ্রকুমার ঘোষ
-
-
কবিতার তালিকা:
-
প্রলয়োল্লাস
-
বিদ্রোহী
-
রক্তাম্বর-ধারিণী মা
-
আগমণী
-
ধূমকেতু
-
কামাল পাশা
-
আনোয়ার
-
রণভেরী
-
শাত-ইল-আরব
-
খেয়াপারের তরণী
-
কোরবানী
-
মহররম
-

0
Updated: 1 week ago
কোনটি কাব্যগ্রন্থ?
Created: 2 months ago
A
শেষ প্রশ্ন
B
শেষ লেখা
C
শেষের কবিতা
D
শেষের পরিচয়
‘শেষলেখা’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষজীবনের এক গভীর আত্মস্মরণ ও দার্শনিক বোধের কাব্যগ্রন্থ। এই গ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৯৪১ সালে, কবির মৃত্যুর পর। জীবনের অন্তিম প্রহরে রচিত এই কবিতাগুলি যেন তাঁর অন্তরের নীরব প্রতিধ্বনি।
বিষয়টি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ এই কারণে যে, এই গ্রন্থের নাম ‘শেষলেখা’ কবি নিজে নির্ধারণ করে যেতে পারেননি। তাঁর মৃত্যুর পর এই নামকরণ করা হয়।
এখানে অন্তর্ভুক্ত অধিকাংশ কবিতা তিনি লিখেছেন মৃত্যুর মাত্র কয়েকদিন আগে, আর কিছু কবিতা রচিত হয়েছিল মুখে মুখে—যার সাক্ষী ছিলেন তাঁর সেবক ও সঙ্গীরা।
এই কাব্যগ্রন্থে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন:
"রূপ-নারায়ণের কূলে,
জেগে উঠিলাম;
জানিলাম এ জগৎ
স্বপ্ন নয়।"
এই কয়েকটি চরণ যেন তাঁর চেতন ও অবচেতন জগতের মিলনবিন্দু, যা তাঁকে জীবনের শেষ মুহূর্তেও আলোর পথে এগিয়ে রাখে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্যকর্মে 'শেষ' শব্দটি বহুভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন:
-
‘শেষ কথা’ — একটি প্রখ্যাত ছোটগল্প, যেখানে সম্পর্ক, সমাজ ও মানবিক দ্বন্দ্ব চিত্রিত হয়েছে।
-
‘শেষের কবিতা’ — একটি দর্শনভিত্তিক উপন্যাস, যেখানে প্রেম, বুদ্ধিবৃত্তি ও আত্মনিরীক্ষার মোহজাল তুলে ধরা হয়েছে।
অন্যদিকে, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ‘শেষ’ শব্দ ব্যবহার করে লিখেছেন দুটি বিখ্যাত উপন্যাস:
-
‘শেষ প্রশ্ন’ — যেখানে ব্যক্তিগত ও সামাজিক প্রশ্নে টানাপোড়েন তুলে ধরা হয়েছে।
-
‘শেষের পরিচয়’ — একটি সম্পর্কের শেষ ধাপে গঠিত জটিলতার প্রতিচ্ছবি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 2 months ago