'তৈল' কোন ধরনের শব্দ?
A
মৌলিক শব্দ
B
যৌগিক শব্দ
C
রূঢ়ি শব্দ
D
যোগরূঢ় শব্দ
উত্তরের বিবরণ
তৈল হলো একটি রূঢ়ি শব্দ।
রূঢ়ি শব্দ হলো সেই শব্দ, যা মূল শব্দে প্রত্যয় বা উপসর্গ যুক্ত হলেও মূল অর্থের সঙ্গে সরাসরি মিল রেখে না, অন্য কোনো বিশেষ অর্থ প্রকাশ করে।
-
উদাহরণ:
-
হস্তী: হস্ত + ইন; মূল অর্থ হস্তযুক্ত; রূঢ়ি অর্থে একটি পশু বোঝায়।
-
গবেষণা: গো + এষণা; মূল অর্থ গরু খোঁজা; বর্তমান অর্থ ব্যাপক অধ্যয়ন ও পর্যালোচনা।
-
বাঁশি: বাঁশ দিয়ে তৈরি কোনো সাধারণ বস্তু নয়, শব্দটি বিশেষ সুরের বাদ্যযন্ত্র বোঝায়।
-
তৈল: শুধু তিলজাত স্নেহ পদার্থ নয়, যে কোনো উদ্ভিজ্জ স্নেহ পদার্থ বোঝায়; যেমন: বাদাম তেল।
-
প্রবীণ: প্রকৃষ্ট রূপে বীণা বাজানো ব্যক্তিকে বোঝানো উচিত; রূঢ়ি অর্থে ‘অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বয়স্ক ব্যক্তি’।
-
সন্দেশ: শব্দগত অর্থ ‘সংবাদ’; রূঢ়ি অর্থে ‘মিষ্টান্ন বিশেষ’।
-

0
Updated: 19 hours ago
প্রত্যক্ষ কোনো বস্তুর সাথে পরোক্ষ কোন বস্তুর তুলনা করলে বস্তুটিকে বলা হয়—
Created: 3 weeks ago
A
উপমান
B
রূপক
C
উপমেয়
D
উপমিত
ত্যক্ষ কোনো বস্তুর সাথে পরোক্ষ কোনো বস্তুর তুলনা করলে প্রত্যক্ষ বস্তুটিকে বলা হয় উপমেয়, এবং যার সাথে তুলনা করা হয়েছে তাকে বলা হয় উপমান।) এরূপ- তুষারের ন্যায় শুভ্র= তুষারশুভ্র, অরুণের ন্যায় রাঙা= অরুণরাঙা, রক্তের ন্যায় লাল= রক্তলাল, চন্দনের মতো স্নিগ্ধ= চন্দনস্নিগ্ধ।

0
Updated: 3 weeks ago
অনুকার দ্বিত্বের উদাহরণ কোনটি?
Created: 5 days ago
A
জ্বর জ্বর
B
মোটাসোটা
C
খক খক
D
কুট কুট
বাংলা ভাষায় দ্বিত্ব শব্দগঠন বাক্য ও ভাবকে আরও প্রাঞ্জল ও রঙিন করে। দ্বিত্বের তিনটি প্রধান ধরন নিচে ব্যাখ্যা করা হলো।
-
অনুকার দ্বিত্ব
-
সংজ্ঞা: পরপর প্রয়োগ হওয়া কাছাকাছি চেহারার শব্দকে অনুকার দ্বিত্ব বলে। এতে প্রথম শব্দটি অর্থপূর্ণ হলেও দ্বিতীয় শব্দটি সাধারণত অর্থহীন এবং প্রথম শব্দের অনুকরণে তৈরি হয়।
-
উদাহরণ: গুটিশুটি, মোটাসোটা, আম টাম, এলোমেলো
-
-
ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব
-
সংজ্ঞা: কোনো প্রাকৃতিক ধ্বনির অনুকরণে যেসব শব্দ তৈরি হয়, সেগুলোকে ধ্বন্যাত্মক শব্দ বলা হয়। এই ধ্বন্যাত্মক শব্দের পুনরাবৃত্তিকে ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব বলে।
-
উদাহরণ: কুটুস-কুটুস, কুট কুট, খক খক, খুটুর খুটুর, টুং টুং, জ্বলজ্বল, ঝমঝম, চকচক, টসটস
-
-
পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব
-
সংজ্ঞা: কোনো শব্দ পুনরায় আবৃত্ত হলে তাকে পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব বলা হয়।
-
উদাহরণ: জ্বর জ্বর, পর পর, কবি কবি, কথায় কথায়, ঘুম ঘুম
-
উৎস:

0
Updated: 5 days ago
'সে কৌতুক করার কৌতূহল সংবরণ করতে পারল না।'- এই বাক্য কী কারণে ত্রুটিপূর্ণ?
Created: 1 week ago
A
বানান ভুল আছে
B
বাক্যের পদবিন্যাস যথাযথ নয়
C
অর্থ অনুযায়ী শব্দের প্রয়োগ হয়নি
D
বিশেষ্য-বিশেষণের অপপ্রয়োগ ঘটেছে
এই প্রশ্নে মূল সমস্যা হলো শব্দের অর্থ যথাযথভাবে ব্যবহার করা হয়নি। বাক্য বিশ্লেষণ করলে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
-
"কৌতূহল" শব্দের অর্থ হলো কোনো বিষয়ে জানার আগ্রহ, অনুসন্ধিৎসা বা কুরিয়োসিটি (Curiosity)। এটি সাধারণত তথ্য, ঘটনা বা রহস্য বোঝার ইচ্ছাকে নির্দেশ করে।
-
বাক্যে ব্যবহৃত "কৌতুক করার কৌতূহল" বলতে বোঝানো হয়েছে রসিকতা করার আগ্রহ, যা "কৌতূহল" শব্দের প্রকৃত অর্থের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ।
-
কোনো কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশের জন্য যথাযথ শব্দ হবে "আগ্রহ", "ইচ্ছা" বা "প্রবৃত্তি"।
-
সঠিক রূপে বাক্য লেখা যেতে পারে:
-
"সে কৌতুক করার আগ্রহ সংবরণ করতে পারল না।"
-
"সে কৌতুক করার ইচ্ছা দমন করতে পারল না।"
-
অন্যান্য অপশন বিশ্লেষণ:
-
ক) বানান ভুল নেই; "কৌতুক", "কৌতূহল", "সংবরণ" শব্দগুলির বানান সঠিক।
-
খ) বাক্যের পদবিন্যাস যথাযথ; কর্তা–কর্ম–ক্রিয়ার অবস্থান ঠিকভাবে আছে। যেমন: "সে" (কর্তা), "কৌতুক করার কৌতূহল" (কর্ম), "সংবরণ করতে পারল না" (ক্রিয়া)।
-
ঘ) বিশেষ্য-বিশেষণের অপপ্রয়োগ ঘটেনি; "কৌতুক করার" বিশেষণটি "কৌতূহল" বিশেষ্যকে সঠিকভাবেই বিশেষিত করছে।

0
Updated: 1 week ago