'তৈল' কোন ধরনের শব্দ?
A
মৌলিক শব্দ
B
যৌগিক শব্দ
C
রূঢ়ি শব্দ
D
যোগরূঢ় শব্দ
উত্তরের বিবরণ
তৈল হলো একটি রূঢ়ি শব্দ।
রূঢ়ি শব্দ হলো সেই শব্দ, যা মূল শব্দে প্রত্যয় বা উপসর্গ যুক্ত হলেও মূল অর্থের সঙ্গে সরাসরি মিল রেখে না, অন্য কোনো বিশেষ অর্থ প্রকাশ করে।
-
উদাহরণ:
-
হস্তী: হস্ত + ইন; মূল অর্থ হস্তযুক্ত; রূঢ়ি অর্থে একটি পশু বোঝায়।
-
গবেষণা: গো + এষণা; মূল অর্থ গরু খোঁজা; বর্তমান অর্থ ব্যাপক অধ্যয়ন ও পর্যালোচনা।
-
বাঁশি: বাঁশ দিয়ে তৈরি কোনো সাধারণ বস্তু নয়, শব্দটি বিশেষ সুরের বাদ্যযন্ত্র বোঝায়।
-
তৈল: শুধু তিলজাত স্নেহ পদার্থ নয়, যে কোনো উদ্ভিজ্জ স্নেহ পদার্থ বোঝায়; যেমন: বাদাম তেল।
-
প্রবীণ: প্রকৃষ্ট রূপে বীণা বাজানো ব্যক্তিকে বোঝানো উচিত; রূঢ়ি অর্থে ‘অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বয়স্ক ব্যক্তি’।
-
সন্দেশ: শব্দগত অর্থ ‘সংবাদ’; রূঢ়ি অর্থে ‘মিষ্টান্ন বিশেষ’।
-
0
Updated: 1 month ago
কোনটি দেশি শব্দ?
Created: 1 month ago
A
বালতি
B
টোপর
C
ডোম
D
নগদ
• বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে,
দেশি শব্দ - টোপর।

• দেশি শব্দ:
বাংলা অঞ্চলের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ভাষা থেকে কিছু শব্দ বাংলা ভাষায় স্থান পেয়েছে, এগুলোকে দেশি শব্দ বলা হয়।
যথা: চিকচিক, পেট, ডাব, টোপর, ঠেক, ডিঙা, ইত্যাদি।
অন্যদিকে,
• ‘বালতি’ পর্তুগিজ ভাষার শব্দ।
• ডোম - ফরাসি শব্দ।
• 'নগদ' আরবি শব্দ।
0
Updated: 1 month ago
'উনপাঁজুরে' বাগ্ধারার অর্থ কী?
Created: 1 month ago
A
হতবুদ্ধি
B
অমিতব্যয়ী
C
ব্যক্তিত্বহীন
D
সামান্য ব্যক্তি
বাংলা বাগ্ধারা সংক্ষিপ্তভাবে মানুষের স্বভাব, দুর্বলতা বা বিশেষ পরিস্থিতি প্রকাশ করে। নিচে কয়েকটি বাগ্ধারার অর্থ দেওয়া হলো—
-
উনপাঁজুরে অর্থ দুর্বল ও ব্যক্তিত্বহীন।
-
আক্কেল গুড়ুম অর্থ হতবুদ্ধি হয়ে যাওয়া।
-
উড়নচণ্ডী অর্থ অমিতব্যয়ী বা অস্থিরচরিত্র।
-
চুনোপুটি অর্থ সামান্য বা তুচ্ছ ব্যক্তি।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
'ব্রাহ্মণ' শব্দের 'হ্ম' যুক্তবর্ণটি কোন কোন বর্ণের সমন্বয়ে গঠিত?
Created: 1 month ago
A
ক্ + ষ
B
ষ্ + হ
C
হ্ + ম
D
ম্ + হ
‘ব্রাহ্মণ’ শব্দের মধ্যে ব্যবহৃত ‘হ্ম’ যুক্তবর্ণ আসলে হ্ + ম বর্ণের সমন্বয়ে গঠিত। বাংলা ভাষায় এ ধরনের একাধিক বর্ণ একত্রে মিলিত হয়ে যুক্তবর্ণ তৈরি করে। যুক্তবর্ণকে আবার দুটি ভাগে ভাগ করা হয়— স্বচ্ছ যুক্তবর্ণ এবং অস্বচ্ছ যুক্তবর্ণ। যে যুক্তবর্ণগুলো দেখলে সহজে বোঝা যায়, সেগুলোকে স্বচ্ছ যুক্তবর্ণ বলা হয়। আর যেগুলো সহজে চেনা যায় না, সেগুলোকে অস্বচ্ছ যুক্তবর্ণ বলা হয়।
বাংলা ভাষার কিছু গুরুত্বপূর্ণ যুক্তবর্ণ হলো
-
ক্ + স = ক্স
-
ক্ + ষ = ক্ষ
-
হ্ + ম = হ্ম
-
হ্ + ন = হ্ন
-
ষ + ণ = ষ্ণ
-
ক্ + ষ + ম = ক্ষ্ম
উৎস:
0
Updated: 1 month ago