অর্থ অনুসারে শব্দের শ্রেণিবিভাগের অন্তর্ভুক্ত নয় কোনটি?
A
মৌলিক শব্দ
B
যৌগিক শব্দ
C
রূঢ়ি শব্দ
D
যোগরূঢ় শব্দ
উত্তরের বিবরণ
অর্থ অনুযায়ী শব্দগুলোকে তিনটি প্রধান শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। এই শ্রেণিবিভাগে মৌলিক শব্দ অন্তর্ভুক্ত নয়।
-
যৌগিক শব্দ
-
রূঢ়ি শব্দ
-
যোগরূঢ় শব্দ
মৌলিক শব্দ অর্থানুসারে এই শ্রেণিবিভাগের অন্তর্ভুক্ত নয়।

0
Updated: 19 hours ago
তারিখবাচক শব্দের ১ থেকে ৪ পর্যন্ত সংখ্যাশব্দ কোন নিয়মে সাধিত হয়?
Created: 2 days ago
A
বাংলা
B
হিন্দি
C
সংস্কৃত
D
কোনোটিই নয়
বাংলা ভাষায় তারিখ নির্দেশ করার জন্য সংখ্যাশব্দের পূরণবাচক ব্যবহার করা হয়। এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট দিনে বা তারিখে বোঝানো হয়।
-
উদাহরণস্বরূপ:
১লা → পহেলা বা পয়লা
২রা → দোসরা
৩রা → তেরসা
৪ঠা → চৌঠা
৫ই → পাঁচই
৬ই → ছয়ই -
লক্ষ্যণীয়, প্রথম চারটি তারিখবাচক শব্দ (১–৪) হিন্দি নিয়ম অনুসারে গঠিত, বাকিগুলো বাংলার নিজস্ব নিয়মে গঠিত।
উৎস:

0
Updated: 2 days ago
'তাতে সমাজজীবন চলে না।' - এ বাক্যটির অস্তিবাচক রূপ কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
তাতে সমাজজীবন চলে।
B
তাতে না সমাজজীবন চলে।
C
তাতে সমাজজীবন অচল হয়ে পড়ে।
D
তাতে সমাজজীবন সচল হয়ে পড়ে।
বাক্য রূপান্তর হলো একটি প্রক্রিয়া যেখানে মূল ভাব বা অর্থ অপরিবর্তিত রেখে একটি বাক্যকে অন্য ধরনের বাক্যে পরিবর্তন করা হয়। নেতিবাচক বাক্যকে অস্তিবাচক বাক্যে রূপান্তর করার জন্য কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন, যা মূল অর্থ বজায় রাখে।
-
মূল অর্থ অপরিবর্তিত রাখা: বাক্য পরিবর্তন করার পরও বাক্যের মৌলিক অর্থ অক্ষুণ্ণ থাকতে হবে।
উদাহরণ:
নেতিবাচক: সেটা কখনোই সফল হতে পারে না।
অস্তিবাচক: সেটা সর্বদাই অসফল হয়। -
নেংর্থক পদ সরানো ও হ্যা-বাচক ভাব তৈরি করা: 'না', 'নয়', 'নি', 'নেই', 'নহে' ইত্যাদি নেতিবাচক পদগুলো তুলে দিয়ে বাক্যকে হ্যা-বাচক অর্থে রূপান্তর করা হয়।
উদাহরণ:
নেতিবাচক: কোথাও শান্তি ছিল না
অস্তিবাচক: সর্বত্র অশান্তি ছিলো। -
বাক্যাংশ অনুযায়ী নেতিবাচক শব্দ প্রতিস্থাপন: প্রয়োজনমতো নেতিবাচক শব্দের জায়গায় অস্তিবাচক শব্দ বসিয়ে বাক্যকে সম্পূর্ণ অস্তিবাচক করা হয়।
উদাহরণ:
নেতিবাচক: শহিদের মৃত্যু নেই।
অস্তিবাচক: শহিদেরা অমর।নেতিবাচক: তাতে সমাজজীবন চলে না।
অস্তিবাচক: তাতে সমাজজীবন অচল হয়ে পড়ে।

0
Updated: 2 weeks ago
বাংলা ভাষায় কয়টি খাঁটি বাংলা উপসর্গ আছে?
Created: 2 months ago
A
উনিশ
B
কুড়ি
C
একুশ
D
বাইশ
উপসর্গ
বাংলা ভাষায় যেসব শব্দখণ্ড বা শব্দাংশ ধাতুর পূর্বে বসে নতুন শব্দ গঠন করে, সেগুলোকে বলে উপসর্গ।
• বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত উপসর্গকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
১. খাঁটি বাংলা উপসর্গ,
২. সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ এবং
৩. বিদেশি উপসর্গ।
• খাঁটি বাংলা উপসর্গ:
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত নিজস্ব উপসর্গকে খাঁটি বাংলা উপসর্গ বলা হয়। খাঁটি বাংলা উপসর্গ ২১টি।
যথা: অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, ঊন (ঊনা), কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।
[বাংলা উপসর্গের মধ্যে আ, সু, বি, নি এই চারটি উপসর্গ তৎসম শব্দেও পাওয়া যায়।]
• সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ:
বাংলা ভাষায় যেসকল সংস্কৃত উপসর্গ ব্যবহার করা হয় তাদের সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ বলে। সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ ২০টি।
যথা: প্র, পরা, অপ, সম, নি, অনু, অব, নির, দুর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অভি, অপি, উপ, আ।
• বিদেশি উপসর্গ:
আরবি, ফারসি, ইংরেজি, হিন্দি এসব ভাষার বহু শব্দ দীর্ঘকাল ধরে বাংলা ভাষায় প্রচলিত আছে।
এছাড়া কিছু বিদেশি উপসর্গও বাংলায় চালু আছে।
• বিদেশি উপসর্গ অনির্দিষ্ট বা অনির্ণেয়।
যেমন:
- আরবি উপসর্গ: আম, খাস, লা, গর, বাজে এবং খয়ের।
- ফারসি উপসর্গ: কার, দর, না, নিম, ফি, বদ, বে, বর, ব, কম।
- উর্দু উপসর্গ: হর।
- ইংরেজি উপসর্গ: হেড, সাব, ফুল, হাফ।
উৎস: প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি, ড. হায়াৎ মামুদ এবং মাধ্যমিক বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি (২০২২ সংস্করণ)।

0
Updated: 2 months ago