নাথ সাহিত্যের আদি ও প্রধান কবি কে?
A
শ্যামদাস সেন
B
মীননাথ
C
শেখ ফয়জুল্লাহ
D
দৌলত উজির বাহারাম খান
উত্তরের বিবরণ
নাথ সাহিত্য হলো শিব উপাসক নাথ-যোগী ও সিদ্ধাচার্যদের রচিত সাহিত্য, যা মূলত নাথ ধর্মের সাধনতত্ত্ব এবং প্রাসঙ্গিক গল্প ও কাহিনির উপর ভিত্তি করে রচিত। নাথ সাহিত্যের আদি ও প্রধান কবি ছিলেন শেখ ফয়জুল্লাহ, যিনি তাঁর রচনায় নাথ যোগীদের অলৌকিক গল্প ও সাধনাচারণকে ফুটিয়ে তুলেছেন। নাথ সাহিত্য সাধারণত দুটি ভাগে বিভক্ত:
-
প্রথম ভাগ: মীন নাথ ও তার শিষ্য গোরক্ষ নাথের কাহিনি
-
দ্বিতীয় ভাগ: রাজা গোপীচন্দ্রের সন্ন্যাস
-
এই দুই কাহিনির মাধ্যমে নাথ যোগীদের অলৌকিক ও সাধনামূলক কাহিনি প্রকাশ পেয়েছে
শেখ ফয়জুল্লাহ সম্পর্কে:
-
তিনি ১৬শ শতকের মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের কবি
-
মর্সিয়া সাহিত্য, যা মূলত কারবালা ও ইসলামি বেদনাগ্রস্ত কাহিনির উপর ভিত্তি করে মুসলমানদের রচিত, এর আদিকবি ছিলেন
-
তাঁর রচিত গ্রন্থের নাম জয়নবের চৌতিশা (১৫৭০ খ্রিষ্টাব্দ)

0
Updated: 19 hours ago
বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম নাটক কোনটি?
Created: 1 month ago
A
ভদ্রার্জুন
B
লিপিমালা
C
শর্মিষ্ঠা
D
কৃষ্ণকুমারী
ভদ্রার্জুন
-
ভদ্রার্জুন বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম নাটক।
-
এটি ১৮৫২ সালে তারাচরণ শিকদারের রচনা হিসেবে প্রকাশিত হয়।
-
‘কীর্তিবিলাস’ বিয়োগান্ত নাটক রচনার প্রথম প্রচেষ্টা হলেও, ‘ভদ্রার্জুন’ হলো ইংরেজি ও সংস্কৃত যুক্ত আদর্শে রচিত প্রথম মৌলিক মধুরান্তিক বাংলা নাটক।
-
নাটকের কাহিনি অর্জুন কর্তৃক সুভদ্রাহরণ নিয়ে।
-
যদিও কাহিনি মহাভারত থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে, তবুও এতে বাঙালি সমাজের বাস্তব পরিবেশ অঙ্কিত হয়েছে।
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম

0
Updated: 1 month ago
কোন উপন্যাসটির রচয়িতা রবীন্দ্রনাথ?
Created: 4 months ago
A
বিষবৃক্ষ
B
গণদেবতা
C
আরণ্যক
D
ঘরে বাইরে
‘ঘরে-বাইরে’ উপন্যাস:
‘ঘরে-বাইরে’ (১৯১৬) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম চলিতভাষায় লেখা উপন্যাস। এটি ১৯১৫ সালে ‘সবুজপত্র’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। স্বদেশি আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রচিত এই উপন্যাসে জাতিপ্রেম ও সংকীর্ণ স্বাদেশিকতার সমালোচনা করা হয়েছে। এছাড়া সমাজ ও প্রথার দ্বারা নির্ধারিত নারী-পুরুষের সম্পর্ক, বিশেষত পরস্পরের আকর্ষণ ও বিকর্ষণের বিশ্লেষণও এতে ফুটে উঠেছে।
কাহিনির নায়িকা বিমলা স্বামী নিখিলেশের প্রতি ভালোবেসেও অন্য পুরুষ বিপ্লবী সন্দীপের প্রতি গভীর আকৃষ্ট। একদিকে রয়েছে দেশের রাজনৈতিক উত্তেজনা, অন্যদিকে তিনটি মানুষের ব্যক্তিগত জীবনের দ্বন্দ্ব ও টানাপোড়েন। এই দুই মিলিয়ে উপন্যাসটি গঠিত।
‘ঘরে-বাইরে’ উপন্যাসের ভাবনায় পাশ্চাত্যের ঔপন্যাসিক স্টিভেনসনের ‘প্রিন্স অটো’ উপন্যাসের সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়। স্টিভেনসনের সেরাফিনা, অটো ও গোনড্রেমার্ক যথাক্রমে রবীন্দ্রনাথের বিমলা, নিখিলেশ ও সন্দীপের প্রতিরূপ। তবে স্টিভেনসনের গল্পের উপস্থাপনা ব্যঙ্গাত্মক ও সমাপ্তি মিলনাত্মক হলেও রবীন্দ্রনাথের উপন্যাসটি গুরুতর ও ট্র্যাজিক উপসংহারে শেষ হয়েছে যা অধিক শিল্পসম্মত।
উল্লেখযোগ্য চরিত্র:
-
বিমলা
-
নিখিলেশ
-
সন্দীপ
অন্য উল্লেখযোগ্য উপন্যাস:
-
বিষবৃক্ষ (১৮৭৩)
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত সামাজিক উপন্যাস। এতে বিধবা বিবাহ, পুরুষের একাধিক বিবাহ ও রূপতৃষ্ণা, নৈতিকতার দ্বন্দ্ব, নারীর আত্মসম্মান ও অধিকারবোধের বিষয়গুলো ফুটে উঠেছে। -
গণদেবতা
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের রচিত উপন্যাস। -
আরণ্যক
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিখ্যাত উপন্যাস। এটি ভাগলপুরের বনাঞ্চলের নিম্নবিত্ত মানুষের জীবনকে কেন্দ্র করে রচিত। প্রধান চরিত্র: ভানুমতী, বনোয়ারী, দোবরু, বুদ্ধু সিংহ।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে:
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬১ সালের ৭ মে (১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ) কলকাতার জোড়াসাঁকোর অভিজাত ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ এবং সমাজ সংস্কারক। তার পিতা ছিলেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, আর পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর। ছোটবেলা থেকেই তার কবি প্রতিভার বিকাশ ঘটে; মাত্র পনের বছর বয়সে তার ‘বনফুল’ কাব্য প্রকাশিত হয়। ১৯১৩ সালে ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যের জন্য তিনি নোবেল পুরস্কারে সম্মানিত হন, যা তাকে এশিয়ার বরেণ্য ব্যক্তিদের মধ্যে প্রথম করে তোলে।
১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট (২২ শ্রাবণ, ১৩৪৮) জোড়াসাঁকোর বাড়িতেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত কিছু উল্লেখযোগ্য উপন্যাস:
-
ঘরে-বাইরে
-
চোখের বালি
-
শেষের কবিতা
-
যোগাযোগ
-
নৌকাডুবি
-
বউ ঠাকুরানীর হাট
-
দুই বোন
-
মালঞ্চ
-
চতুরঙ্গ
-
গোরা
-
রাজর্ষি
-
চার অধ্যায়
উৎস:
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর; বাংলাপিডিয়া; বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম।

0
Updated: 4 months ago
কত সালে 'দুর্গেশনন্দিনী' উপন্যাস প্রথম প্রকাশিত হয়?
Created: 2 weeks ago
A
১৮৬০
B
১৮৬১
C
১৮৬৫
D
১৮৬৭
‘দুর্গেশনন্দিনী’ বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস হিসেবে পরিচিত। এটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচনা এবং ১৮৬৫ সালে প্রকাশিত হয়। উপন্যাসের শিরোনাম ‘দুর্গেশনন্দিনী’ শব্দের অর্থ প্রধানের কন্যা।
উপন্যাসের কেন্দ্রীয় নারী চরিত্র হলো তিলোত্তমা এবং অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চরিত্রের মধ্যে রয়েছে বীরেন্দ্র সিংহ, ওসমান, জগৎসিংহ, তিলোত্তমা, আয়েশা, এবং বিমলা।
উপন্যাসের গুরুত্বপূর্ণ দিকসমূহ:
-
এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস।
-
প্রকাশিত হয়েছে ১৮৬৫ খ্রিষ্টাব্দে।
-
কেন্দ্রীয় নারী চরিত্র: তিলোত্তমা।
-
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চরিত্র: বীরেন্দ্র সিংহ, ওসমান, জগৎসিংহ, তিলোত্তমা, আয়েশা, বিমলা।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ছিলেন ঔপন্যাসিক, সাংবাদিক এবং বাংলার নবজাগরণের অন্যতম প্রধান সাহিত্যিক। তিনি ১৮৩৮ সালে চব্বিশ পরগনা জেলার কাঁঠালপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বঙ্কিমচন্দ্রকে বাংলা উপন্যাসের জনক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সাহিত্য ও রচনা সংক্রান্ত মূল তথ্য:
-
প্রথম উপন্যাস: রাজমোহনস ওয়াইফ (ইংরেজিতে লেখা)।
-
প্রথম বাংলা সার্থক উপন্যাস: দুর্গেশনন্দিনী (১৮৬৫)।
-
প্রথম কাব্যগ্রন্থ: ললিতা তথা মানস (১৮৫৬)।
-
দ্বিতীয় বাংলা উপন্যাস: কপালকুণ্ডলা (১৮৬৬)।
-
ত্রয়ী উপন্যাস: আনন্দমঠ, দেবী চৌধুরানী, সীতারাম।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অন্যান্য উপন্যাস:
-
কপালকুণ্ডলা
-
মৃণালিনী
-
বিষবৃক্ষ
-
ইন্দিরা
-
যুগলাঙ্গুরীয়
-
চন্দ্রশেখর
-
রাধারানী
-
রজনী
-
কৃষ্ণকান্তের উইল
-
রাজসিংহ

0
Updated: 2 weeks ago