কোনটি 'মহুয়া' পালা'র চরিত্র?
A
হুমরা বেদে
B
নদের চাঁদ
C
সাধু
D
সবগুলোই
উত্তরের বিবরণ
'মহুয়া' পালা হলো ময়মনসিংহ গীতিকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাব্য, যা নমশূদ্রের ব্রাহ্মণ কবি দ্বিজ কানাই প্রায় ১৬৫০ খৃষ্টাব্দে রচনা করেছিলেন বলে অধ্যাপক দীনেশচন্দ্র ধারণা করেন। পালার রচনায় কবির উদার নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ পেয়েছে, যা তার ব্যক্তিজীবনের সংস্কারমুক্ত মানবিক বোধের প্রতিফলন। মৈমনসিংহ গীতিকায় মোট ১০টি গীতিকা ও রূপকথা স্থান পেয়েছে, যার মধ্যে 'মহুয়া' পালা বিশেষভাবে ময়মনসিংহ গীতিকার বৈশিষ্ট্য ফুটিয়ে তোলে। পালার কাহিনীর সঙ্গে কবির ব্যক্তিগত প্রেমবঞ্চনার বেদনার সাদৃশ্যও লক্ষ্য করা যায়।
মহুয়ার পালার প্রধান চরিত্র:
-
মহুয়া
-
নদের চাঁদ
-
হুমরা বেদে
-
সাধু
0
Updated: 1 month ago
কত সালে 'দুর্গেশনন্দিনী' উপন্যাস প্রথম প্রকাশিত হয়?
Created: 1 month ago
A
১৮৬০
B
১৮৬১
C
১৮৬৫
D
১৮৬৭
‘দুর্গেশনন্দিনী’ বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস হিসেবে পরিচিত। এটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচনা এবং ১৮৬৫ সালে প্রকাশিত হয়। উপন্যাসের শিরোনাম ‘দুর্গেশনন্দিনী’ শব্দের অর্থ প্রধানের কন্যা।
উপন্যাসের কেন্দ্রীয় নারী চরিত্র হলো তিলোত্তমা এবং অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চরিত্রের মধ্যে রয়েছে বীরেন্দ্র সিংহ, ওসমান, জগৎসিংহ, তিলোত্তমা, আয়েশা, এবং বিমলা।
উপন্যাসের গুরুত্বপূর্ণ দিকসমূহ:
-
এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস।
-
প্রকাশিত হয়েছে ১৮৬৫ খ্রিষ্টাব্দে।
-
কেন্দ্রীয় নারী চরিত্র: তিলোত্তমা।
-
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চরিত্র: বীরেন্দ্র সিংহ, ওসমান, জগৎসিংহ, তিলোত্তমা, আয়েশা, বিমলা।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ছিলেন ঔপন্যাসিক, সাংবাদিক এবং বাংলার নবজাগরণের অন্যতম প্রধান সাহিত্যিক। তিনি ১৮৩৮ সালে চব্বিশ পরগনা জেলার কাঁঠালপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বঙ্কিমচন্দ্রকে বাংলা উপন্যাসের জনক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সাহিত্য ও রচনা সংক্রান্ত মূল তথ্য:
-
প্রথম উপন্যাস: রাজমোহনস ওয়াইফ (ইংরেজিতে লেখা)।
-
প্রথম বাংলা সার্থক উপন্যাস: দুর্গেশনন্দিনী (১৮৬৫)।
-
প্রথম কাব্যগ্রন্থ: ললিতা তথা মানস (১৮৫৬)।
-
দ্বিতীয় বাংলা উপন্যাস: কপালকুণ্ডলা (১৮৬৬)।
-
ত্রয়ী উপন্যাস: আনন্দমঠ, দেবী চৌধুরানী, সীতারাম।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অন্যান্য উপন্যাস:
-
কপালকুণ্ডলা
-
মৃণালিনী
-
বিষবৃক্ষ
-
ইন্দিরা
-
যুগলাঙ্গুরীয়
-
চন্দ্রশেখর
-
রাধারানী
-
রজনী
-
কৃষ্ণকান্তের উইল
-
রাজসিংহ
0
Updated: 1 month ago
'সধবার একাদশী' প্রহসনের মূল উপজীব্য কী?
Created: 1 month ago
A
বুড়োর বিধবাকে বিবাহ
B
ইয়ংবেঙ্গল দলের উচ্ছৃঙ্খলতা ও অনাচার
C
লম্পট বুড়োর নারী লোভ
D
নতুন জামাই আগমন নিয়ে হট্টগোল
'সধবার একাদশী' (১৮৬৬) দীনবন্ধু মিত্র রচিত একটি প্রহসন, যা তৎকালীন ইয়ংবেঙ্গল দলের উচ্ছৃঙ্খলতা ও অনাচারের সমাজচিত্র উপস্থাপন করে। নাটকটি সামাজিক বিপর্যয় এবং অনৈতিকতার প্রতি সমালোচনামূলক মনোভাব নিয়ে রচিত।
-
উল্লেখযোগ্য চরিত্র: নিমচাঁদ, কেনারাম, সৌদামিনী, গিন্নী, কাঞ্চন
-
নাটক ও প্রহসন: নাটকটি প্রহসনের মাধ্যমে সামাজিক অনাচারের বিভিন্ন দিক ফুটিয়ে তোলে।
দীনবন্ধু মিত্র:
-
রায়বাহাদুর দীনবন্ধু মিত্র ছিলেন একজন বিশিষ্ট নাট্যকার।
-
১৮৩০ সালে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার চৌবেড়িয়া গ্রামে এক দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
-
পিতার নাম গন্ধর্বনারায়ণ।
-
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের অনুপ্রেরণায় কবিতা লিখতেন এবং কলেজ জীবনে সংবাদ প্রভাকর, সাধুরঞ্জন প্রভৃতি পত্রিকায় কবিতা প্রকাশিত হয়।
-
নাটক ও প্রহসন লিখে তিনি সর্বাধিক খ্যাতি অর্জন করেন।
-
তাঁর শ্রেষ্ঠ নাটক ও রচনা হলো 'নীলদর্পণ'।
প্রহসনসমূহ:
-
সধবার একাদশী
-
বিয়ে পাগলা বুড়ো
-
জামাই বারিক
0
Updated: 1 month ago
কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম উপন্যাস কোনটি?
Created: 1 month ago
A
কুহেলিকা
B
বাঁধন-হারা
C
মৃত্যুক্ষুধা
D
জননী
বাঁধন-হারা হলো কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম উপন্যাস।
-
বাংলা সাহিত্যের প্রথম পত্রোপন্যাস
-
পূর্ণাঙ্গ প্রকাশ: ১৯২৭
-
উপন্যাসে ১৮টি পত্র রয়েছে
-
রচনা: কাজী নজরুল ইসলাম করাচীতে অবস্থানকালে শুরু
-
প্রকাশ মাধ্যম: ধারাবাহিকভাবে মোসলেম ভারত পত্রিকায়
-
কেন্দ্রীয় চরিত্র: নায়ক নুরুল হুদা
-
অন্যান্য চরিত্র: রবিউল, রাবেয়া, সােফিয়া, মাহবুবা প্রমুখ
কাজী নজরুল ইসলাম
-
বাংলাদেশের জাতীয় কবি, অবিভক্ত বাংলার সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব
-
জন্ম: ২৪ মে ১৮৯৯, পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রাম
-
ডাক নাম: দুখু মিয়া
-
খেতাব: ‘বিদ্রোহী কবি’
-
আধুনিক বাংলা গানের জগতে ‘বুলবুল’ নামে পরিচিত
কাজী নজরুল ইসলামের রচিত উপন্যাস:
-
বাঁধন-হারা (১৯২৭)
-
মৃত্যুক্ষুধা (১৯৩০)
-
কুহেলিকা (১৯৩১)
0
Updated: 1 month ago