"জাত গেল জাত গেল বলে একি আজব কারখানা।" - চরণটির রচয়িতা কে?
A
সিরাজ শাহ
B
শাহ আব্দুল করিম
C
সাবিরিদ খান
D
লালন শাহ
উত্তরের বিবরণ
লালন ফকিরের উল্লেখযোগ্য গানগুলো বাংলা বাউল ধারার মধ্যে বিশেষভাবে পরিচিত। তার গানে মানবজীবনের গভীর দার্শনিক ও মরমি অনুভূতি ফুটে ওঠে।
-
"খাঁচার ভিতর অচিন পাখি কেমনে আসে যায়"
-
"আমি অপার হয়ে বসে আছি ও হে দয়াময়, পারে লয়ে যাও আমায়"
-
"জাত গেল জাত গেল বলে একি আজব কারখানা"
লালন শাহ ছিলেন বাউল সাধনার প্রধান গুরু, বাউল গানের শ্রেষ্ঠ রচয়িতা এবং প্রখ্যাত গায়ক। তাঁর জন্ম ১১৭৯ বঙ্গাব্দের ১ কার্তিক ঝিনাইদহ জেলার হরিশপুর গ্রামে বা মতান্তরে কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালীর ভাঁড়রা গ্রামে এক কায়স্থ পরিবারে হয়েছিল বলে বিভিন্ন সূত্রে উল্লেখ পাওয়া যায়। লালনের গান মরমি ব্যঞ্জনা এবং শিল্পগুণে সমৃদ্ধ, যা বাউল সংগীতের অনন্য বৈশিষ্ট্য হিসেবে বিবেচিত।
0
Updated: 1 month ago
রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান সাহিত্যধারার কবি নয় কে?
Created: 1 month ago
A
আবদুল হাকিম
B
কোরেশী মাগন ঠাকুর
C
আলাওল
D
দ্বিজ মাধব
রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান হলো একটি সাহিত্যধারা, যা মূলত মুসলিম চরিত্রনির্ভর ও প্রেমসংক্রান্ত বিষয়বস্তু নিয়ে রচিত। এটি অনুবাদ সাহিত্যের মধ্যযুগীয় একটি ধারা, যেখানে মুসলিম সাহিত্যিকরা বিদেশি কাব্য বা কাহিনীর অনুবাদ রচনা করেন।
-
দ্বিজ মাধব এই ধারার কবি নন; তিনি ছিলেন চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের একজন শ্রেষ্ঠ কবি।
-
এই ধারার কিছু প্রধান কবি হলেন:
-
শাহ মুহম্মদ সগীর
-
সৈয়দ সুলতান
-
আবদুল হাকিম
-
আলাওল
-
কোরেশী মাগন ঠাকুর প্রমুখ
-
-
'রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান' অনুবাদ সাহিত্যসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কাব্য:
-
ইউসুফ-জোলেখা
-
লায়লী মজনু
-
মধুমালতী
-
গুলে বকাওলী
-
চন্দ্রাবতী
-
পদ্মাবতী
-
সতীময়না-লোর-চন্দ্রানী ইত্যাদি
-
0
Updated: 1 month ago
'যে জাতি যত নিরানন্দ সে জাতি তত নির্জীব।' বিখ্যাত উক্তিটি কার?
Created: 1 month ago
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
প্রমথ চৌধুরী
C
সুফিয়া কামাল
D
মোতাহের হোসেন চৌধুরী
প্রমথ চৌধুরী ছিলেন বাংলা সাহিত্যের একজন প্রখ্যাত সাহিত্যিক এবং চলিত গদ্যরীতির প্রবর্তক। তিনি ১৮৬৮ সালের ৭ আগস্ট যশোরে জন্মগ্রহণ করেন এবং সাহিত্যিক ছদ্মনাম ‘বীরবল’ ব্যবহার করতেন। তাঁর সাহিত্যকর্মে বিদ্যমান চিন্তা ও দর্শন তাঁর বিখ্যাত উক্তিগুলোতেও প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রমথ চৌধুরীর বিখ্যাত উক্তি:
-
সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।
-
ভাষা মানুষের মুখ থেকে কলমের মুখে আসে, উল্টোটা করতে গেলে মুখে শুধু কালিই পড়ে।
-
আনন্দের ধর্ম এই যে তা সংক্রামক।
-
সাহিত্যে মানবত্মা খেলা করে এবং সেই খেলার আনন্দ উপভোগ করে।
-
যে খেলার ভিতর আনন্দ নেই কিন্তু উপরি পাওনার আশা আছে, তার নাম খেলা নয়, জুয়াখেলা।
-
যে জাতি যত নিরানন্দ সে জাতি তত নির্জীব।
প্রমথ চৌধুরীর সাহিত্যকর্ম ও অবদান:
-
প্রথম চলিত রীতির প্রয়োগ করেছেন ‘বীরবলের হালখাতা’ (১৯০২, ভারতী পত্রিকা)
-
বাংলা কাব্য সাহিত্যে ইতালীয় সনেটের প্রবর্তক
-
সম্পাদনা করেছেন ‘সবুজপত্র’ পত্রিকা
রচিত কাব্যগ্রন্থ:
-
সনেট পঞ্চাশৎ
-
পদচারণ
রচিত প্রবন্ধগ্রন্থ:
-
তেল নুন লকড়ি
-
বীরবলের হালখাতা
-
নানাকথা
-
আমাদের শিক্ষা
-
রায়তের কথা
-
নানাচর্চা
-
আত্মকথা
-
প্রবন্ধসংগ্রহ ইত্যাদি
রচিত গল্পগ্রন্থ:
-
চার ইয়ারী কথা
-
আহুতি
-
নীললোহিত
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
'ললিতা তথা মানস' কাব্যগ্রন্থটি রচনা করেন কে?
Created: 2 months ago
A
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
B
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
C
জীবনানন্দ দাশ
D
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
-
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৮৩৮ সালে চব্বিশ পরগনা জেলার কাঁঠালপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
-
তিনি ছিলেন ঔপন্যাসিক, সাংবাদিক এবং বাংলার নবজাগরণের অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব। তাঁকে বাংলা উপন্যাসের জনক বলা হয়।
-
তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ হলো ‘ললিতা তথা মানস’ (১৮৫৬)।
-
তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘রাজমোহন’স ওয়াইফ’, যা ইংরেজি ভাষায় রচিত।
-
বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস হিসেবে স্বীকৃত তাঁর রচনা ‘দুর্গেশনন্দিনী’ (১৮৬৫)।
-
তাঁর উল্লেখযোগ্য তিনটি উপন্যাস হলো— আনন্দমঠ, দেবী চৌধুরানী ও সীতারাম; যা বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাস-ত্রয়ী হিসেবে পরিচিত।
-
তিনি ১৮৯৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago