‘মহুয়া’ পালার রচয়িতা কে?
A
চন্দ্রাবতী
B
দ্বিজ ঈশান
C
দ্বিজ কানাই
D
দ্বিজ বংশীদাস
উত্তরের বিবরণ
'মহুয়া' পালা হলো ময়মনসিংহ অঞ্চলের প্রচলিত গানগুলোর মধ্যে অন্যতম, যা ময়মনসিংহ গীতিকার বৈশিষ্ট্য সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলে। এই পালার রচয়িতা ছিলেন দ্বিজ কানাই, যিনি নমশূদ্রের ব্রাহ্মণ কবি ছিলেন। অধ্যাপক দীনেশচন্দ্রের ধারণা অনুযায়ী, দ্বিজ কানাই প্রায় ১৬৫০ খ্রিস্টাব্দের দিকে এই পালা রচনা করেছিলেন। কাহিনীর সঙ্গে কবির ব্যক্তিগত প্রেমবঞ্চনার বেদনার সাদৃশ্যও লক্ষ্য করা যায়।
মহুয়ার পালার প্রধান চরিত্র:
-
মহুয়া
-
নদের চাঁদ
-
হুমরা বেদে
-
সাধু
0
Updated: 1 month ago
'আলোছায়া' শব্দটি কোন সমাসের উদাহরণ?
Created: 2 months ago
A
তৎপুরুষ সমাস
B
দ্বন্দ্ব সমাস
C
কর্মধারয় সমাস
D
বহুব্রীহি সমাস
দ্বন্দ্ব সমাস
সংজ্ঞা
যে সমাসে প্রতিটি সমস্যমান পদের অর্থ সমান প্রাধান্য পায়, তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে।
বৈশিষ্ট্য
-
প্রতিটি পদের অর্থ সমানভাবে রক্ষিত হয়।
-
ব্যাসবাক্যে (পূর্ণ বাক্যে) “এবং / ও / আর” ইত্যাদি অব্যয় দ্বারা সম্পর্ক প্রকাশ পায়।
উদাহরণ
-
আলো + ছায়া → আলোছায়া (আলো ও ছায়া)
-
তাল + তমাল → তালতমাল (তাল ও তমাল)
-
দোয়াত + কলম → দোয়াতকলম (দোয়াত ও কলম)
-
মাতা + পিতা → মাতাপিতা (মাতা ও পিতা)
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি, ২০১৮ সংস্করণ
0
Updated: 2 months ago
'সংশপ্তক' উপন্যাসের রচয়িতা কে?
Created: 1 month ago
A
আলাউদ্দিন আল আজাদ
B
আবু ইসহাক
C
আল মাহমুদ
D
শহীদুল্লাহ কায়সার
'সংশপ্তক' উপন্যাসটি শহীদুল্লাহ কায়সারের রচিত একটি মহাকাব্যিক সাহিত্যকর্ম, যা হিন্দু-মুসলিম সম্মিলিত জীবনযাপন এবং অসাম্প্রদায়িক জীবনবোধকে কেন্দ্র করে রচিত। উপন্যাসের নাম সংশপ্তক মহাভারত থেকে নেওয়া হয়েছে, অর্থ “যে সৈনিকেরা জীবন-মরণ পণ করে যুদ্ধে লড়ে।” বিশ্বযুদ্ধ, দাঙ্গা, দুর্ভিক্ষ, সাম্প্রদায়িকতা ইত্যাদি প্রাসঙ্গিক সামাজিক ও ঐতিহাসিক ঘটনাগুলোও এতে সংযুক্ত করা হয়েছে।
-
মূল বিষয়: হিন্দু-মুসলিম সম্মিলিত জীবন, অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধ, সমাজের বিভিন্ন সংকট।
-
উপন্যাসের উল্লেখযোগ্য চরিত্র: রাবেয়া খাতুন (রাবু), জাহেদ, সেকেন্দার, মালু, হুরমতি, লেকু, রমজান, রামদয়াল ইত্যাদি।
শহীদুল্লাহ কায়সার:
-
জন্ম: ১৯২৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি, ফেনি।
-
পূর্ণ নাম: আবু নঈম মহাম্মদ শহীদুল্লাহ।
-
জহির রায়হানের সহোদর।
-
ভ্রমণবৃত্তান্তমূলক গ্রন্থ: পেশোয়ার থেকে তাসখন্দ।
-
স্মৃতিকথামূলক গ্রন্থ: রাজবন্দীর রোজনমাচা (১৯৬২ সালে প্রকাশিত)।
রচিত উপন্যাসসমূহ:
-
সারেং বৌ
-
সংশপ্তক
-
কৃষ্ণচূড়া মেঘ
-
তিমির বলয়
-
দিগন্তে ফুলের আগুন
-
সমুদ্র ও তৃষ্ণা
-
চন্দ্রভানের কন্যা
-
কবে পোহাবে বিভাবরী (অসমাপ্ত)
রচিত ভ্রমণবৃত্তান্ত:
-
পেশোয়ার থেকে তাসখন্দ
রচিত স্মৃতিকথা:
-
রাজবন্দীর রোজনমাচা
0
Updated: 1 month ago
বিভক্তিযুক্ত শব্দ ও ধাতুকে কী বলা হয়?
Created: 1 month ago
A
কারক
B
পদ
C
অক্ষর
D
প্রত্যয়
বাংলা ভাষার ব্যাকরণে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে, যেগুলো সঠিকভাবে বোঝা জরুরি। নিচে সেগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো।
-
পদ হলো বিভক্তিযুক্ত শব্দ। অর্থাৎ, কোনো শব্দে বিভক্তি যুক্ত হলেই তা পদ হিসেবে গণ্য হয়।
-
বাক্যে ব্যবহৃত প্রতিটি শব্দেই বিভক্তি থাকে।
-
যেসব শব্দে বিভক্তি প্রকাশ পায় না, সেখানে শূন্য বিভক্তি বিদ্যমান থাকে। তাই বাক্যের প্রতিটি শব্দই পদ।
-
পদ প্রধানত দুই ধরনের হয়— সব্যয় পদ ও অব্যয় পদ।
-
কারক হলো ক্রিয়ার সঙ্গে বাক্যের বিশেষ্য ও সর্বনামের সম্পর্ক।
-
কারক সম্পর্ক বোঝাতে বিশেষ্য ও সর্বনামের সঙ্গে সাধারণত বিভক্তি ও অনুসর্গ যোগ হয়।
-
অক্ষর (ইংরেজি নাম: syllable) হলো অল্প প্রয়াসে একবারে উচ্চারিত ধ্বনি বা ধ্বনিগুচ্ছ। তাই একে শব্দাংশও বলা হয়।
-
প্রত্যয় হলো এমন কিছু অর্থহীন শব্দাংশ, যা শব্দ বা ধাতুর পরে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ তৈরি করে।
0
Updated: 1 month ago