সংক্ষিপ্তরূপ নেই নিচের কোন স্বরধ্বনির?
A
আ
B
এ
C
ঋ
D
অ
উত্তরের বিবরণ
‘অ’ এর কোনো সংক্ষিপ্ত রূপ বা ‘কার’ নেই।
কারের সংজ্ঞা:
-
যখন কোনো স্বরবর্ণ সংক্ষিপ্ত আকারে ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে যুক্ত হয়, তাকে কার বলা হয়।
-
অ-ভিন্ন অন্য দশটি স্বরধ্বনির সংক্ষিপ্ত রূপ বাংলায় বিদ্যমান।
বাংলার কারসমূহ এবং উদাহরণ:
-
আ-কার (া): মামা, বাবা, মা, পাখা, চাকা
-
ই-কার (ি): বিশ্ব, মিথ্যা, পানি, চিনি, গাড়ি
-
ঈ-কার (ী): শীতল, মন্ত্রী, নীতি, পত্নী, পরীক্ষা
-
উ-কার (ু): বুবু, খুকু, ফুফু
-
ঊ-কার (ূ): মূল্যবান, পূর্তি, অপূর্ব, পূজা, চূর্ণ
-
ঋ-কার (ৃ): নৃত্য, বৃথা, বৃষ্টি, গৃহ, কৃতী
-
এ-কার (ে): দেশ, শেষ, মেঘ, মেয়ে, ছেলে
-
ঐ-কার (ৈ): মৈত্রী, দৈত্য, সৈন্য, চৈত্র, বৈশাখ
-
ও-কার (াে): খোলা, দোলনা, বোকা, খোকা, ধোঁকা
-
ঔ-কার (ৗে): নৌকা, ভৌত, পৌষ, কৌতুক, যৌথ
0
Updated: 1 month ago
'যথোচিত' শব্দের শুদ্ধ সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
Created: 2 months ago
A
যথাঃ + উচিত
B
যথঃ + উচিত
C
যথা + উচিত
D
যথো + উচিত
স্বরসন্ধি (Vowel Sandhi) – ও-ধ্বনিতে রূপান্তর
নিয়ম:
-
প্রথম পদের শেষের অ-ধ্বনি / আ-ধ্বনি এবং দ্বিতীয় পদের প্রথম হয়-উ ধ্বনি / দীর্ঘ-ঊ ধ্বনি একত্রিত হলে ও-ধ্বনি হয়।
-
বানানে, এটি ও-কারের রূপ নিয়ে আগের বর্ণে যুক্ত হয়।
উদাহরণসমূহ:
-
অ + উ = ও
-
সর্ব + উচ্চ → সর্বোচ্চ
-
সূর্য + উদয় → সূর্যোদয়
-
দীর্ঘ + উচ্চারণ → দীর্ঘোচ্চারণ
-
প্রশ্ন + উত্তর → প্রশ্নোত্তর
-
-
অ + ঊ = ও
-
নব + ঊঢ়া → নবোঢ়া
-
সর্ব + ঊর্ধ্ব → সর্বোর্ধ্ব
-
-
আ + উ = ও
-
যথা + উচিত → যথোচিত
-
কথা + উপকথন → কথোপকথন
-
যথা + উপযুক্ত → যথোপযুক্ত
-
-
আ + ঊ = ও
-
গঙ্গা + ঊর্মি → গঙ্গোর্মি
-
মহা + ঊর্মি → মহোর্মি
-
মহা + ঊর্ধ্ব → মহোর্ধ্ব
-
সূত্র: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ
0
Updated: 2 months ago
কোনটি সম্মুখ স্বরধ্বনি?
Created: 1 month ago
A
[অ]
B
[উ]
C
[এ]
D
[আ]
সম্মুখ স্বরধ্বনি হলো সেই স্বরধ্বনি, যার উচ্চারণের সময় জিভ সামনের দিকে উঁচু বা নিচু অবস্থায় থাকে। উদাহরণ: [ই], [এ], [অ্যা]।
মধ্য স্বরধ্বনি হলো [আ], যা উচ্চারণে জিভ মধ্যবর্তী অবস্থানে থাকে।
পশ্চাৎ স্বরধ্বনি হলো সেই স্বরধ্বনি, যার উচ্চারণের সময় জিভ পিছনের দিকে উঁচু বা নিচু অবস্থায় থাকে। উদাহরণ: [অ], [ও], [উ]।
0
Updated: 1 month ago
নিম্নবিবৃত স্বরধ্বনি কোনটি?
Created: 1 month ago
A
আ
B
ই
C
এ
D
অ্যা
স্বরধ্বনিকে মূলত জিভের অবস্থান এবং ঠোঁটের উন্মুক্তির ভিত্তিতে ভাগ করা হয়।
-
নিম্নবিবৃত স্বরধ্বনি: আ।
-
জিভের অবস্থান অনুযায়ী স্বরধ্বনি: উচ্চারণের সময় জিভের উচ্চতা ও সম্মুখ-পশ্চাৎ অবস্থানের ভিত্তিতে স্বরধ্বনি চার ভাগে বিভক্ত:
১. উচ্চ স্বরধ্বনি: ই, উ।
২. উচ্চ-মধ্য স্বরধ্বনি: এ, ও।
৩. নিম্ন-মধ্য স্বরধ্বনি: অ্যা, অ।
৪. নিম্ন স্বরধ্বনি: আ। -
ঠোঁটের উন্মুক্তি অনুযায়ী স্বরধ্বনি: স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় ঠোঁট কতটা খোলা বা বন্ধ থাকে তার ভিত্তিতে চার ভাগে ভাগ করা হয়:
-
সংবৃত: ই, উ (ঠোঁট কম খোলা)
-
অর্ধ-সংবৃত: এ, ও
-
বিবৃত: আ (ঠোঁট বেশি খোলা)
-
অর্ধ-বিবৃত: অ্যা, অ
-
-
স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় ঠোঁটের ভূমিকা: সংবৃত স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় ঠোঁট কম খোলে, আর বিবৃত স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় ঠোঁট বেশি খোলে।
0
Updated: 1 month ago