চার আর তিনে সাত হয়।' বাক্যটি ক্রিয়ার কোন কাল নির্দেশ করে?
A
পুরাঘটিত বর্তমান
B
সাধারণ অতীত
C
ঘটমান বর্তমান
D
নিত্যবৃত্ত বর্তমান
উত্তরের বিবরণ
নিত্যবৃত্ত বর্তমান কাল হলো সাধারণ বর্তমান কালের এমন ব্যবহার যা স্বাভাবিকতা বা অভ্যস্ততা প্রকাশ করে।
-
উদাহরণ:
-
সন্ধ্যায় সূর্য অস্ত যায়। (স্বাভাবিকতা)
-
আমি রোজ সকালে বেড়াতে যাই। (অভ্যস্ততা)
-
নিত্যবৃত্ত বর্তমান কালের বিশেষ প্রয়োগ:
১. স্থায়ী সত্য প্রকাশে:
-
উদাহরণ: চার আর তিনে সাত হয়।
২. ঐতিহাসিক বর্তমান: অতীতের কোনো ঐতিহাসিক ঘটনায় সাধারণ বর্তমান কালের ব্যবহার।
-
উদাহরণ: বাবরের মৃত্যুর পর হুমায়ুন দিল্লির সিংহাসনে আরোহণ করেন।
৩. কাব্যের ভণিতায়:
-
উদাহরণ: মহাভারতের কথা অমৃত সমান। কাশীরাম দাস ভনে শুনে পুণ্যবান।
৪. অনিশ্চয়তা প্রকাশে:
-
উদাহরণ: কে জানে দেশে আবার সুদিন আসবে কি না।
৫. ‘যদি’, ‘যখন’, ‘যেন’ প্রভৃতি শব্দের প্রয়োগে অতীত ও ভবিষ্যৎ কাল জ্ঞাপনের জন্য সাধারণ বর্তমান কালের ব্যবহার।
-
উদাহরণ:
-
বৃষ্টি যদি আসে, আমি বাড়ি চলে যাব।
-
সকলেই যেন সভায় হাজির থাকে।
-
বিপদ যখন আসে, তখন এমনি করেই আসে।
-
0
Updated: 1 month ago
ক্রিয়ার কাল ব্যাকরণের কোন অংশে আলোচিত হয়?
Created: 1 week ago
A
রূপতত্ত্ব
B
ধ্বনিতত্ত্ব
C
বাক্যতত্ত্ব
D
ভাষাতত্ত্ব
শব্দতত্ত্ব বা রূপতত্ত্ব (Morphology) একটি ভাষাতত্ত্বের শাখা, যা শব্দের গঠন, রূপ ও তার উপাদানগুলোর সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করে। এটি শব্দের মূল অংশ (ধাতু) এবং তার বিভিন্ন উপাদান যেমন সমাস, প্রকৃতি-প্রত্যয়, উপসর্গ, বচন, পুরুষ-স্ত্রীবাচক শব্দ, এবং অন্যান্য শব্দের শ্রেণীবিভাগ নিয়ে কাজ করে।
-
সমাস: দুটি বা ততোধিক শব্দের সমন্বয়ে নতুন শব্দ গঠন। এটি বাংলা ভাষায় প্রাচীনতম এবং গুরুত্বপূর্ণ রূপতাত্ত্বিক প্রক্রিয়া।
-
প্রকৃতি-প্রত্যয়: প্রকৃতি শব্দের সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি প্রত্যয়ের দ্বারা শব্দের গঠন পরিবর্তিত হয়। প্রকৃতি শব্দগুলির মধ্যে প্রাতিপদিক এবং ক্রিয়াপদ অন্তর্ভুক্ত থাকে, যা স্বাধীন শব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
উপসর্গ: যে শব্দের অংশ অন্য কোনো শব্দের আগে যুক্ত হয়ে শব্দটির অর্থ পরিবর্তন করে। উদাহরণস্বরূপ, "অবধি" শব্দের উপসর্গ "অ"।
-
বচন: একটি শব্দের একবচন এবং বহুবচন রূপের পার্থক্য। বাংলা ভাষায় “গাছ” (একবচন) এবং “গাছগুলি” (বহুবচন) এই পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়।
-
পুরুষ ও স্ত্রীবাচক শব্দ: পুরুষ এবং স্ত্রীবাচক শব্দের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে, যা সাধারণত প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে। উদাহরণস্বরূপ, "পুরুষ" (পুরুষবাচক) এবং "মহিলা" (স্ত্রীবাচক)।
-
দ্বিরুক্ত শব্দ: একটি শব্দের পুনরাবৃত্তি হয়ে যাওয়া, যেমন "নতুন নতুন"।
-
সংখ্যাবাচক শব্দ: যে শব্দগুলি সংখ্যা নির্দেশ করে, যেমন "এক", "দুই", "তিন"।
-
পদাশ্রিত নির্দেশক: যে শব্দগুলি অন্য কোনো শব্দের মাধ্যমে নির্দিষ্ট একটি কাজ বা নির্দেশনা প্রদান করে।
-
ধাতু: শব্দের মূল, যার মাধ্যমে তার অর্থ নির্ধারিত হয়। যেমন "খাওয়া" বা "দৌড়ানো"।
-
শব্দের শ্রেণীবিভাগ: শব্দগুলির গঠনভিত্তিক শ্রেণীবিভাগের মধ্যে প্রাতিপদিক, ক্রিয়াপদ, বিশেষণ, সর্বনাম, ক্রিয়াবিশেষণ ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত।
এগুলো সকলেই শব্দতত্ত্বের মূল উপাদান, যা ভাষার গঠন এবং ব্যবহারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
0
Updated: 1 week ago
নিচের কোনটি ঘটমান অতীত কাল নির্দেশ করে?
Created: 1 month ago
A
পড়ছিলাম
B
পৌঁছেছিলাম
C
উঠতাম
D
করেছিলাম
অতীত কালের প্রকারভেদ
বাংলা ভাষায় অতীত কালের ক্রিয়াকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়, যা ক্রিয়ার সময় এবং ঘটনার প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে।
• ঘটমান অতীত:
যে ক্রিয়া অতীত কালে চলছিল বা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চলছিল, তাকে ঘটমান অতীত বলে।
উদাহরণ: আমরা তখন বই পড়ছিলাম।
• সাধারণ অতীত:
অতীত কালে যে কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে, তাকে সাধারণ অতীত বলে।
উদাহরণ: তারা সেখানে বেড়াতে গেল।
• পুরাঘটিত অতীত:
অতীতের যে ক্রিয়া বহু পূর্বেই ঘটে গেছে এবং পরে অন্য ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, তার কালকে পুরাঘটিত অতীত বলে।
উদাহরণ:
-
বৃষ্টি শেষ হওয়ার আগেই আমরা বাড়ি পৌছেছিলাম।
-
দায়িত্বটি আমি পালন করেছিলাম।
• নিত্য অতীত:
অতীত কালে এমন ক্রিয়া যা প্রায়ই ঘটত, তাকে নিত্য অতীত বলে।
উদাহরণ: খুব সকালে ঘুম থেকে উঠতাম।
0
Updated: 1 month ago
’তিথি অঙ্কটি করেছে।’- বাক্যটি কোন কালের উদাহরণ?
Created: 1 month ago
A
সাধারণ অতীত
B
পুরাঘটিত বর্তমান
C
অনুজ্ঞা বর্তমান
D
পুরাঘটিত অতীত
বর্তমান কালের বিভাজন
সাধারণ বর্তমান:
যে ক্রিয়া বর্তমান কালে নিয়মিত বা অভ্যাসগতভাবে ঘটে, তাকে সাধারণ বর্তমান কাল বলে।
উদাহরণ:
-
আমি স্কুলে যাই।
-
সূর্য পূর্ব দিকে ওঠে।
ঘটমান বর্তমান:
যে ক্রিয়া বর্তমানে ঘটছে বা চলছে, তাকে ঘটমান বর্তমান কাল বলে।
উদাহরণ:
-
আমি স্কুলে যাচ্ছি।
-
আমাদের পরীক্ষা চলছে।
পুরাঘটিত বর্তমান:
যে ক্রিয়া অতি সম্প্রতি সম্পন্ন হয়েছে, তাকে পুরাঘটিত বর্তমান কাল বলে।
উদাহরণ:
-
তিথি অঙ্কটি করেছে।
-
তারা বাড়িতে ফিরেছে।
অনুজ্ঞা বর্তমান:
যে ক্রিয়ার মাধ্যমে বর্তমান কালে আদেশ, অনুমতি, অনুরোধ, প্রার্থনা, আমন্ত্রণ, আশীর্বাদ, অভিশাপ, উপদেশ বা উপেক্ষা প্রকাশ পায়, তাকে অনুজ্ঞা বর্তমান কাল বলে।
উদাহরণ:
-
তাড়াতাড়ি কাজটি করো।
-
সকলের মঙ্গল হোক।
0
Updated: 1 month ago